দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফিরলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। ফিরেই পেলেন গোলের দেখা। সেই সঙ্গে সতীর্থের গোলে রাখলেন অবদান।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় রেন। ম্যাচ অতিরিক্ত সময় হয়ে গড়ায় টাইব্রেকারে। সেই ভাগ্য পরীক্ষায় আর পারেনি পিএসজি। রোমাঞ্চকর জয়ে ফরাসি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রেন।
১৯৭১ সালের পর প্রথম বড় কোনো শিরোপা জিতল চলতি লিগ ওয়ানে একাদশ স্থানে থাকা রেন। ফরাসি কাপে এই নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো দলটি।
প্যারিসে শনিবার রাতে ফাইনালের নির্ধারিত সময় ২-২ সমতার পর অতিরিক্ত সময়ও স্কোরলাইন অপরিবর্তিত থাকে। ইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জিতে যায় রেন।
দুই ব্রাজিলিয়ানের দারুণ বোঝাপড়ায় ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে নামা নেইমার ডি-বক্সের বাইরে থাকা আলভেস বরাবর কর্নার নেন। আর দুর্দান্ত এক ভলিতে পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন রাইট-ব্যাক আলভেস।
২১তম মিনিটে আরেকটি দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। আনহেল দি মারিয়ার রক্ষণচেরা পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকেই চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সময়ের সবচেয়ে দামি ফুটবলার।
৩৮তম মিনিটে সেনেগালের ফরোয়ার্ড এমবায়ে নিয়াংয়ের বাঁকানো শট পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি। দুই মিনিট পর ফরাসি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বের আত্মঘাতী গোলে লড়াইয়ে ফেরে রেন।
৬৬তম মিনিটে কাছ থেকে হেডে রেনকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার এদসন আন্দ্রে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে বড় এক ধাক্কা খায় পিএসজি। ১১৮তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপে।
টাইব্রেকারে দুদলই নিজেদের প্রথম পাঁচ শটে গোলের দেখা পান। রেন গোল পায় ছয় নম্বর শটেও। কিন্তু পিএসজির ষষ্ঠ শট নিতে আসা ফরাসি মিডফিল্ডার ক্রিস্তোফা এনকুনকু উড়িয়ে মারলে শিরোপা হারায় প্রতিযোগিতার টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। উল্লাসে মেতে ওঠে রেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম