অপেক্ষাকৃত সহজ লক্ষ্য। শুরুটাও হয় দুরন্ত দারুণ। তবু মিডল অর্ডারে পর পর উইকেট হারিয়ে বসায় সহজ কাজটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একদম শেষ ওভার পর্যন্ত উত্তেজনা ধরে রেখে দিল্লি এলিমিনেটরের বাধা টপকে যায়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আইপিএল থেকে ছিটকে দিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস পেয়ে যায় কোয়ালিফায়ার-টু’র টিকিট।
প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে। জবাবে ১৯.৫ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়েই ১৬৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় ক্যাপিটালস। ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার-টু’র লড়াইয়ের ছাড়পত্র আদায় করে দিল্লি। আইপিএলে নক-আউটে এটিই প্রথম জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।
সানরাইজার্সের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা মাত্র ৮ রান করে আউট হলেও ওপেনিং জুটিতে ৩.১ ওভারে ৩১ রান তুলে ফেলে সানরাইজার্স। অপর ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল ১৯ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান। তিনি ১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। মণীশ পান্ডে সতর্ক হয়ে ব্যাট করেন। তিনি ৩৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন।
কেন উইলিয়ামসন, বিজয় শঙ্কর, মোহম্মদ নবিরা বড় রানের ইঙ্গিত দিয়েও আউট হয়ে বসেন। উইলিয়ামসন ২৭ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বিজয় শঙ্কর ১১ বলে ২৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে ক্রিজ ছাড়েন। নবি ১৩ বলে ২০ রান করে আউট হন। বোলার কীমো পলের সঙ্গে ধাক্কায় দূর্ভাগ্যজনক রানআউট হওয়ার আগে দীপক হুডা মত্র ৪ রান করেন। খাতা কোলার আগেই রশিদ খান আউট হয়ে যান। বাসিল থাম্পি অপরাজিত থাকেন।
দিল্লির পক্ষে কীমো পল ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন। ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নিয়েছেন অমিত মিশ্র। ৩৭ রান দিয়ে ১টি উইকেট দখল করেন ট্রেন্ট বোল্ট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ওপেনিং জুটিতে ৬৬ রান তোলে। শিখর ধাওয়ান ১৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন। শ্রেয়স আইয়ার ৮ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেননি। আইয়ারকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর একই ওভারে পৃথ্বীকেও আউট করেন খলিল আহমেদ। পৃথ্বী সাজঘরে ফেরার আগে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৫৬ রান করেন।
কলিন মুনরো (১৪) ও অক্ষর প্যাটেলকে (০) একই ওভারে আউট করেন রশিদ খান। রাদারফোর্ড ৯ রান করে বিদায় নেন। ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৪৯ রান করে ঋষভ পন্ত দিল্লিকে জয়ের দোরগোড়ায় আনেন বটে, তবে ফিনিশিং টাচ দিতে পারেননি। শেষ ওভারে অমিত মিশ্র ফিল্ডিংয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আউট ঘোষিত হন।
এরপর ২ বলে জয়ের জন্য দরকার ২ রান। ইতোমধ্যে ৮ উইকেট হারিয়েছে দলের। এই অবস্থায় জয়ের জন্য দিল্লি তাকিয়েছিল কীমো পলের দিকে। সানরাইজার্সের জার্সিতে বোলার ছিলেন খলিল আহমেদ। এই ভারতীয় তরুণকে পরাস্ত করেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ওভারের পঞ্চম বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে কীমো পল জয় এনে দেন দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
হায়দরাবাদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর, খলিল আহমেদ ও রশিদ খান। একটি উইকেট দীপক হুডার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ঋষভ পন্ত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর