সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে তখন সবে ফাইনালে উঠেছেন রজার ফেদেরার। সাংবাদিক সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আচ্ছা, মেয়েদের ফাইনালে সেরেনা উইলিয়ামসকে হারাতে গেলে সিমোনা হালেপকে কী করতে হবে বলে আপনার মনে হয়?’
যে জবাব ফেদেরার দিয়েছিলেন, সেটা পরদিন সকালে সংবাদপত্রে পড়েছিলেন হালেপ। আর সেরেনাকে হারিয়ে উইম্বলডন খেতাব জেতার পর ফেডেরারের সেই পরামর্শগুলোকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন হালেপ।
ফেদেরার বলেছিলেন, ‘হালেপকে সবার আগে জেতার চেষ্টা করতে হবে। জিততে পারি, এটা ভাবতে হবে। ফাইনালে উঠেই খুশি, সামনে সেরেনা, জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই, এগুলো ভাবলে চলবে না। জেতার মানসিকতা থাকতে হবে। ভাবতে হবে, আমিও ফাইনালে উঠেছি। নিজের যোগ্যতা দিয়ে এই জায়গায় পৌঁছেছি। সাধারণ মানের টেনিস খেলে উইম্বলডন ফাইনালে পৌঁছনো যায় না। মনঃসংযোগ করতে হবে। উইম্বলডন ফাইনাল বলে আবেগে ভেসে গেলে চলবে না। হালেপের ক্ষেত্রে ভাল ব্যাপার হল ও একটা স্লাম (গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন) জিতেছে। ফলে জানে, কী করে এই আবেগ সামলাতে হয়।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হালেপ বলেন, ‘ম্যাচের আগে পড়েছিলাম ফেডেরার কী বলেছে। ওকে ধন্যবাদ। ওর বক্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে আমিও পারব।’ তার কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়, ঠিক কখন মনে হয়েছিল, তিনি চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেন?
হালেপ এক কথায় বলেন, ‘ঘাসের কোর্টে কোনোদিন জিততে পারব, এটা মনেই হয়নি। এই বছর শুরু থেকেই মনে হয়েছিল, ঘাসের কোর্টে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছি। একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল। তারপর আজ সেকেন্ড সেটে যখন দেখলাম স্কোরবোর্ডে লেখা রয়েছে ৫-২, তখন মনে হয়েছিল, এটা তাহলে সত্যি।’
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ