চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টের দুই বল আগে শেষ হয়েছে তৃতীয় দিনের খেলা। নেপথ্যে আলোক স্বল্পতার। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানে এগিয়ে ছিল আফগানরা। তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৩৭ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। যার ফলে ৩৭৪ রানের লিড পেয়েছে তারা। নিঃসন্দেহে তৃতীয় দিন শেষেও চট্টগ্রাম টেস্টের লাগাম আফগানিস্তানের হাতে। লিড বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগও থাকছে তাদের। কেননা এখনও তাদের হাতে রয়েছে ২ উইকেট।
চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনে সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১ম ইনিংসে ২০৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ব্যাট করতে পারে মাত্র ১৩ মিনিট। স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১১ রান। প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২০৫ তুলতে সক্ষম হয়। ফলে আফগানিস্তান পেয়েছে ১৩৭ রানের লিড। আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান ৫৫ রানে নেন ৫ উইকেট। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন সাকিব। প্রথম বলে সাকিবকে চার মেরে শুরু করেছিলেন ইহসানউল্লাহ জানাত। এক বল পরই তাকে ফিরিয়ে প্রতিশোধ নেন সাকিব। অফ স্টাম্প থেকে ভেতরে ঢোকা বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করে প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। পরের বলে আরও বড় উইকেট পান সাকিব। বাঁহাতি স্পিনার এবার ফিরিয়ে দেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহকে। সাকিবকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ২৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নাঈম হাসানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন হাসমাতুল্লাহ শাহিদি। তিনি করেন ১২ রান। এরপর ১০৮ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান ও আসগর আফগান। সেই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান (৫০)। এরপর আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানেকে ৮৭ রানে সাজঘরে ফেরান নাঈম হাসান।
এরপর মোহম্মদ নবির উইকেট তুলেন নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নবি করেন ৮ রান। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন রশিদ খান। ফেরার আগে ২২ বলে ৬ চারে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আফগান অধিনায়ক। রশিদের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন কায়েস আহমেদ। সাকিব ফেরান এই লোয়ারঅর্ডারকে। তবে এর আগে ১৪ রান যোগ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ