বল-বিকৃতি কাণ্ডের পরে অস্ট্রেলীয় জাতীয় খলনায়ক হয়ে উঠেছিলেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রাফট। বাকি দু’জন নিজেদের সে ভাবে প্রমাণ করতে না পারলেও স্মিথের প্রত্যাবর্তন ক্রিকেট ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। চার ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচ খেলে স্মিথের রান ৬১৭। ম্যাকগ্রা মনে করেন, এই পারফরম্যান্সের পরে তাকে অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ সমর্থকরাই ক্ষমা করে দেবেন।
সোমবার এক ইংলিশ সংবাদমাধ্যমকে প্রাক্তন পেসার বলেন, ‘‘২০০১-এর পরে এই প্রথম ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া। আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটা অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। কারণ, ১৮ মাস আগে বল-বিকৃতি কেলেঙ্কারি আমাদের দলকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এ রকম একটি উপহার ওরা ফিরিয়ে দিতে পারে, অনেকেই ধারণা করতে পারেননি।’’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এই জয় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে। আরও একবার ক্রিকেট বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়ে নিতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। হয়তো সমর্থকেরা ওদেরকে এবার ক্ষমা করে দেবে।’’
অ্যাশেজ চলাকালীন স্মিথরা যে ভাবে ক্রিকেট বিশ্বের থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তা দেখে মুগ্ধ কিংবদন্তি পেসার। বলছিলেন, ‘‘ইংল্যান্ডের মাটিতে এক টেস্ট বাকি থাকতে অ্যাশেজের দখল নেওয়া প্রচণ্ড কঠিন। তার উপর এত বড় কলঙ্কের স্বীকার থেকে অস্ট্রেলিয়া ফিরেছে, তাই বিষয়টি কঠিনতর হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে থেকেও চাপমুক্ত মনোভাবে ওরা যে ক্রিকেট উপহার দিয়েছে, তার প্রশংসা না করে থাকা যায় না। এ বার থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আর পিছনে তাকাতে হবে না।’’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ