বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন আজ। একদিকে সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে ১২ বছরের পুরনো সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক। নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিলেও গতকাল শুক্রবার (২ অক্টোবর) বাদল রায় ঘোষণা দিয়েছেন তিনি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি প্রার্থী।
বাফুফের সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০০৮ সালে। সালাউদ্দিনের নির্বাচিত হওয়ার ঘটনায় ফুটবলে বেশ সাড়া পড়েছিল। জনপ্রিয় তারকা সভাপতি হওয়ায় সবাই আশা করেছিল, এবার ফুটবলে গতি ফিরবে। এরপর ২০১২ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ও ২০১৬ সালেও জয়ী হন সালাউদ্দিন। কিন্তু ফুটবলে তেমন কোনো চমক দিতে পারেননি। নিয়মিত লিগ আয়োজনই তার অর্জন। বরং জাতীয় দল ১৯৭ নম্বরে নেমে যায় র্যাঙ্কিংয়ে।
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল থেকে সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন করছেন সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুস সালাম মুর্শেদী। এছাড়াও এই প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে লড়াইয়ে আছেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল, আমিরুল ইসলাম বাবু এবং আতাউর রহমান মানিক।
সমন্বয় পরিষদের প্যানেলে সভাপতি পদে কেউ না থাকলেও সিনিয়র সহসভাপতি পদে শেখ মো. আসলাম এবং সহসভাপতি পদে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান ও এস এম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ। ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ১৯ পদে প্রার্থী দিয়েছে সালাউদ্দিনবিরোধী হিসেবে পরিচিত সমন্বয় পরিষদ। অন্যদিকে সবকটি পদেই প্রার্থী দিয়েছে কাজী সালাউদ্দিন নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ।
এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে বেশ আলোড়ন তুলেছেন বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে তিনি বসুন্ধরা কিংসকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবাই ফুটবল উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্মিলিত পরিষদ বাংলাদেশকে র্যাঙ্কিংয়ে ১৫০-এর কাছাকাছি আনতে চায়। সমন্বয় পরিষদ বৈপ্লবিক পরিবর্তন চায় ফুটবলে।
শফিকুল ইসলাম মানিক চান সবাইকে নিয়ে ফুটবল উন্নয়নের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে। সবারই একই প্রশ্ন বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি হচ্ছেন কে? সালাউদ্দিন নাকি চমকের দেখা মিলবে।
আজ শনিবার দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোট হবে। করোনার কারণে এবারের নির্বাচনী প্রস্তুতি একটু ভিন্ন। ৮টি বুথ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে ১৩৯ জন ভোটার ভোট দেবেন। মোট চারটা ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে (সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি ও সদস্য)। সভাপতি ও সিনিয়র সহসভাপতি পদে ১টি করে, সহসভাপতি পদে ৪টি এবং সদস্য পদে ১৫টি করে ভোট দিতে হবে। কোনো একটা ব্যালটে ভোট দেওয়ার সংখ্যা কম হলেই তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ