চট্টগ্রাম টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। টাইগরাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৩ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এদিকে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ও মোসেলেকে হারিয়েছে সফরকারীরা। ক্যাম্পবেলকে (৩) রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে চতুর্থ বলেই ক্যারিবিয়ান শিবিরে আঘাত হানেন তিনি।
এছাড়াও মোসেলেকে ২ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ।
এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৪৩০ রান। দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ব্যক্তিগত ১০৩ রান করে ফেরেন। রাকিম কর্নওয়ালের বলে বিদায় নেওয়ার আগে ১৬৮ বলে ১৩টি চার হাঁকান তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৮ রানে অপরাজিত ইনিংসটি ছিল তার সেরা ব্যাটিং।
মিরাজের ব্যাটেই দলীয় দলীয় ৪০০ রানের গণ্ডি পার করে বাংলাদেশ। এর আগে নবম উইকেট জুটিতে মিরাজ ও নাঈম হাসান ৫৭ রানের জুটি গড়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত ২৪ রানে এনক্রুমাহ বোনারের বলে বোল্ড হন নাঈম।
মিরাজের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ১৮ রানে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে বিদায় নেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ হারায় অষ্টম উইকেট।
ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে রাকিম কর্নওয়ালের বলে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ১৫০ বল খেলে ৫টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন তিনি।
সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে দলীয় ৩০০ রান পার করে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা ফিফটিও করেছে।
টেস্ট ক্রিকেটে ২ বছর ২ মাস পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার মাঠে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ৮০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এনিয়ে সাদা পোশাকে ২৫তম ফিফটি করলেন এই বাঁহাতি।
বুধবার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই লিটন দাশকে হারায় বাংলাদেশ। এদিন তৃতীয় ওভারে স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে বোল্ড হন এই ডানহাতি। ৯৭ বলে ৪টি চারে ৪১ রান করেছেন তিনি।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন জোমেল ওয়ারিক্যান। দুই উইকেট পান রাকিম কর্নওয়াল। এছাড়া কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও এনক্রুমাহ বোনার একটি করে উইকেট দখল করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান করেছে উইন্ডিজ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন