২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৬:২১

পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই

অনলাইন ডেস্ক

পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই

সংগৃহীত ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলতি বছরের আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে হারের হ্যাটট্রিকের পর ঘুরে দাঁড়াল ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৩৫ রান তুলেছিল পাঞ্জাব কিংস। যেটা টি-২০ ক্রিকেটে খুব একটা বড় টার্গেট অবশ্যই নয়। আর মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে তো নয়ই। মুম্বাইয়ের শুধু জয়ে ফেরার পালা ছিল। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠল হার্দিকের ব্যাট। বুমরা-পোলার্ডদের দুরন্ত বোলিংয়ে পাঞ্জাবের কাছে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়াল মুম্বাই। যার জেরে জয়ের মুখ দেখল ৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এর আগের দুইটি ম্যাচের একটিতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারের নাটকে হারতে হয়েছিল পাঞ্জাবকে। পরের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিতেছিল রাহুলের পাঞ্জাব। কিন্তু রোহিতের মুম্বাইয়ের কাছে জিততে পারলেন না রাহুলরা। ওপেনিং জুটি বদলে মাঠে নেমেছিল পাঞ্জাব। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের জায়গায় সুযোগ পেয়েছিলেন মনদীপ সিং। ক্যাপ্টেন কেএল রাহুলের সঙ্গে এগুচ্ছিলেনও ঠিকঠাক। কিন্তু ৫.২ ওভারে ক্রুণাল পান্ডিয়ার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন মনদীপ। তারপর মাঠে আসেন ক্রিস গেইল। তবে দলের কাজে আসতে পারেননি। মাত্র ১ রান করেই কায়রন পোলার্ডের শিকার হন ইউনিভার্সাল বস। 

গেইলের পর ছন্দে থাকা কেএল রাহুলের উইকেট তুলে নিয়ে পাঞ্জাবকে বড় ঝটকা দেন পোলার্ড। পাঞ্জাব ক্যাপ্টেনের উইকেট তুলে নিয়ে টি-২০ ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের নজির গড়লেন পোলার্ড। সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেলের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় বোলার হিসেবে এই মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন পোলার্ড। তবে টি-২০ ফর্ম্যাটে ১০ হাজার রান করার পাশাপাশি ৩০০ উইকেট নেওয়ার নজির বিশ্বে আর কোনও ক্রিকেটারের নেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে টি-২০ ক্রিকেটে বিরল নজির গড়লেন পোলার্ড।

পাঞ্জাবের মিডল অর্ডারে নিকোলাস পুরান কিন্তু সেভাবে কোনও ম্যাচেই দলকে ভরসা জাগাতে পারছেন না। এ ম্যাচে মাত্র ২ রান করেই বুমরার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পুরান। তবে এইডেন মার্করাম ও দীপক হুডা দলকে টেনেটুনে শতরানের গণ্ডি পার করেন। রোহিতদের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন মার্করাম। ৪২ রানের দুরন্ত ইনিংস তিনি সাজিয়েছিলেন ৬টি চার দিয়ে। তবে রাহুল চাহার বেশিক্ষণ তাকে ক্রিজে থাকতে দেননি। মার্করাম আরও কিছুক্ষণ বেশি ব্যাট চালিয়ে যেতে পারলে আরও ১০-২০ রান যোগ হয়ে যেত পাঞ্জাবের স্কোরবোর্ডে। এরপর দীপক হুডার উইকেটও তুলে নেন বুমরা। পোলার্ড-বুমরাদের দাপটে ১৩৫ রানে থেমে যায় পাঞ্জাব।

মুম্বাইয়ের সামনে বড় টার্গেট ছিল না। ১২০ বলে ১৩৬ রানটা তেমন কঠিন টার্গেট নয়। শুরুতে মনে হয়েছিল এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে মারমুখী ফর্মে দেখা যাবে মুম্বাইয়ের ওপেনিং জুটিকে। কিন্তু তা নজরে পড়ল না। কম টার্গেটেও মুম্বাইকে থামাতে হলে দ্রুত উইকেট নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না পাঞ্জাবের। আর শুরুতেই মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট তুলে নিয়ে রবি বিষ্ণোই দলকে স্বস্তি দেন। শুধু তাই নয়, পরের বলেই সূর্যকুমার যাদবকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান রবি। ২ উইকেট হারিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কুইন্টন ডি কক ও সৌরভ তিওয়ারি। উইকেটের খোঁজে থাকা পাঞ্জাবকে মুম্বাই ওপেনার ডি ককের উইকেট এনে দিয়ে তৃতীয় সাফল্য দেন মোহম্মদ শামি। ২৭ রান করে মাঠ ছাড়েন ডি কক। 

ঈশান কিষাণের বদলে খেলা সৌরভ তিওয়ারি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যে ফর্মে ছিলেন তাতে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে জেতে পারতেন। কিন্তু সেইসময় বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে নাথান এলিসকে দিয়ে সৌরভ তিওয়ারির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলিয়ে নেন কেএল রাহুল। তিনি ফেরার পর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বাঁধার জন্য আসেন কায়রন পোলার্ড। সেই জুটিই শেষ পর্যন্ত দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন। এই ম্যাচে ফর্মে ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪০ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখলেন হার্দিক। ১৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন পোলার্ড। এই ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল মুম্বাই।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর