ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে সময় গড়াতেই সাকিব ফিরছেন স্বরূপে। আগের ম্যাচে ৩৫ রানের ইনিংসের পর এবার ২৭ বল খেলে পেয়ে গেলেন অর্ধশতকের দেখা। এর আগে হিসেবি বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ বার্বাডোজ রয়্যালসকে চড়ে বসতে দেননি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তার এমন পারফর্ম্যান্সের ফলে সিপিএলে নিজেদের পঞ্চম জয়টা তুলে নিয়ে শেষ চারের আশাটাও বাঁচিয়ে রেখেছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে বল হাতে ছিলেন দলের সেরা পারফর্মার, বার্বাডোজের বিপক্ষে তা হলো না। সাকিব এবার জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতে। ১ রানে হেমরাজ চন্দরপল আর চতুর্থ ওভারে ১৮ রানে শেই হোপকে হারানোর পর দল যখন ধুঁকছিল, সাকিব তখনই এসে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন।
পঞ্চম ওভারে কাইল মেয়ার্সকে চার মেরে শুরু, মুজিবের পরের ওভারেও হাঁকিয়েছেন একটি চার। ওবেদ ম্যাকয়ের পরের ওভারে আরও এক চার, সঙ্গে এবার এলো কভারের ওপর দিয়ে বিশাল এক ছক্কাও। রেমন সিমন্ডসের করা নবম ওভারে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারলেন আরও একটি, এর আগে পরে এলো দুটো চারও। দশম ওভারে বাউন্সারকে আপার কাট করে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে সীমানাছাড়া করেন তিনি, এই ছক্কায় ২৭ বলে ফিফটিটাও পূরণ করে ফেলেন সাকিব।
তিনি অবশ্য ফিরেছেন এরপরই, ফেরার আগে খেলে গিয়েছেন ৩০ বলে ৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। তার ফেরার পর ৫৪ বলে ২৯ রানের প্রয়োজন ছিল গায়ানার, তা তুলে নিতে রাহমানউল্লাহ গুরবাজ আর কিমো পলদের কোনো সমস্যাই হয়নি। ৬ উইকেটের ব্যবধানে চলতি মৌসুমের পঞ্চম জয় তুলে নেয় সাকিবের দল গায়ানা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ