চলতি নারী এশিয়া কাপে টানা দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই দুরন্ত পাকিস্তানকে থামালো থাইল্যান্ড। আজ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে থাইল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবার বিসমাহ মারুফদের হারিয়েছে থাইরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিদ্রা আমিনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১১৬ রান করে পাকিস্তান। জবাবে থাই ওপেনার নাথাকান চান্থাম হাফ সেঞ্চুরি করেন। তার ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে ৫১ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল বাকি থাকতে জেতে থাইল্যান্ড। ১৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৭ রান করে তারা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১১৬ রানেই থেমে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস। ওপেনার সিদরা আমিন ৬৪ বলে খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। বাকিরা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। ওপেনার মুনিবা আলি ১৪ বলে ১৫, নিদা দার ২২ বলে ১২ আর আলিয়া রিয়াজ ৯ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
থাইল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সরনাইন তিপোচ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন এই অফস্পিনার।
১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করা থাইল্যান্ডকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন ওপেনার নানাপথ কনচারয়েনকাই। ৫১ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় তিনি খেলেন ৬১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। শেষদিকে পাকিস্তানি বোলাররা বেশ চেপে ধরেছিলেন থাইল্যান্ডকে। তবে নানাপথ বলতে গেলে একাই লড়াই করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন।
ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি। তবে তখন থাইল্যান্ডের দরকার মাত্র ১২ রান। জয়ের জন্য ৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ওভারে থাইল্যান্ডের দরকার ছিল ১০ রান। ডিয়ানা বায়াগ ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড দেন, পরের ডেলিভারিতে আসে এক রান।
দ্বিতীয় বলটিই বাউন্ডারিতে পরিণত করেন আট নম্বর ব্যাটার রোসেনান কানোহ। পরের দুই বলে তিনি নেন তিন রান। ম্যাচ তখন টাই। পঞ্চম বলটি মিডউইকেটে স্লগ করেই এক রানের জন্য দৌড়ান বোচাথান। জয়ের উল্লাসে মাতে থাই শিবির।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ