মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ইনিংসে টাইগাররা ৮৭ রানে পিছিয়ে পড়ায় ভারতের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৪৫ রান। রাহুল-কোহলিরা এই ম্যাচ জিতলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে টাইগাররা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রান করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৩১ রান। এতে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রান।
শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সিরাজের করা দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকান জাকির হাসান। পরের ওভার করতে আসেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। তার করা পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদন হয়, আম্পায়ার অবশ্য তাতে সাড়া দেননি।
রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয় ভারত, উইকেট ছিল মিসিং। ঠিক তার পরের বল আবারও শান্তর প্যাডে লাগে। এই দফায় আর বাঁচতে পারেননি তিনি। এবার অবশ্য রিভিউ নেন শান্ত, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ৩১ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরত গেছেন এই উদ্বোধনী ব্যাটার।
তার কিছুক্ষণ পরই মুমিনুল হকও আউট হন। মোহাম্মদ সিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ১ চারে ৯ বলে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৩৬ বল ক্রিজে থেকে ১৩ রান করা সাকিব আল হাসান আউট হয়েছেন সাদামাটাভাবে। জয়দেব উনাদকাটের বলে এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে সহজ ক্যাচ দেন তিনি শুভমন গিলের হাতে।
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের রান খরা কাটেনি ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টেও। ১৯ বলে ৯ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অবশ্য ব্যতিক্রম জাকির হাসান। হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরই উমেশ যাদবের বলে ডি থার্ডম্যান দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। ১৩৫ বলে ৫১ রান করেন জাকির। আর ৫ বলে ০ রান করে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। এদিন তিনি বেশ ভালো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি বেশিক্ষণ। এগিয়ে এসে অক্ষর প্যাটেলের টার্নে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন এই ব্যাটার। ২ চার ১ ছক্কায় ২৯ বলে ৩১ রান করেন তিনি।
৭ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের আশার আলো নিভে গিয়েছিল এমনিতে। তবে লিটন দাস-তাসকিন আহমেদ জুটিতে কিছুটা হলেও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সিরাজের বল বুঝতে না পেরে বোল্ড আউট হয়ে যান লিটন। শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের আশাও। ৭ চারে ৯৮ বলে ৭৩ রান করেন লিটন।
তার বিদায়ের পর অলআউট হওয়া ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। তাসকিন আহমেদ সেটি বাড়িয়েছেন কেবল। ৪৬ বলে ৩১ রান করে শেষ অবধি অপরাজিত থেকেছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই