চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরের ফাইনালের আগে হওয়া বিশৃঙ্খলার জন্য শুরুতে লিভারপুলের দিকে আঙুল তোলা হলেও স্বাধীন রিভিউয়ে দোষ দেওয়া হয়েছে উয়েফাকে। নিজেদের ওপর থেকে দায় উঠে যাওয়ায় খুশি ইয়ুর্গেন ক্লপ। ওই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না তিনি। ইংলিশ ক্লাবটির কোচের আশা, নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নেবে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা।
গত ২৮ মে প্যারিসের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ। স্তাদ দে ফ্রান্সে সেদিন লিভারপুল সমর্থকদের অনেকে সময়মতো মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। অনেকটা দাঙ্গার মতো বেঁধে যায় সেখানে। প্যারিসের পুলিশকে দেখা যায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে, আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন নারী ও শিশুরাও।
৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু ফাইনাল ম্যাচটি রিয়াল জিতেছিল ১-০ গোলে। ওই ঘটনার জন্য লিভারপুলের সমর্থকদের কাঠগড়ায় তুলেছিল উয়েফা ও ফরাসির কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি ছিল, টিকেট জালিয়াতির কারণে ওই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পর্তুগালের সংসদ সদস্য তিয়াগো ব্রান্দাও রদ্রিগেসের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন প্যানেল দীর্ঘ তদন্তের পর গত সোমবার ২২০ পাতার রিভিউ প্রকাশ করে, যেখানে অনেক জায়গায় উয়েফার ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়। রিভিউয়ে ওই ঘটনার জন্য উয়েফার অব্যবস্থাপনাকে দায় দেওয়া হয়।ক্লাবের ওয়েবসাইটে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান ক্লপ। জার্মান এই কোচ বলেন, দেরিতে হলেও সত্য উন্মোচিত হয়েছে। তার আশা, ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবে উয়েফা।
তিনি বলেন, আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, তারা সবাই সেখানে ছিল এবং সবাই জানত যে আমাদের সমর্থকরা কেমন আচরণ করেছে। এখন সত্যিই ভালো লাগছে, ঠিক মনে হচ্ছে যে, পুরো বিষয়টি এখন খোলাসা এবং সবাই তা জানে। কারণ, ম্যাচের পরে অনেক কিছু বলা হয়েছিল, আমরা জানতাম তারা ভুল ছিল। সবকিছু ছিল কেবলই মিথ্যা। তাই আমি সত্যিই খুশি যে, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে।
ফাইনালের আগের ঘটনা ও লিভারপুল সমর্থকদের দায় দেওয়া, দুটি বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন উয়েফা সাধারণ সম্পাদক থিওদোর থিওদরিদিস। লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন টুইটারে লিখেছেন, ফাইনালের ওই ঘটনা সবার জন্যই টার্নিং পয়েন্ট।
তিনি বলেন, ফুটবল ভক্তদের দেখভালের জন্য প্যারিসের রিপোর্টটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হওয়া দরকার। অযোগ্য সংগঠনের দ্বারা কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ততই ভাল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ