মিরপুর টেস্টের আগে থেকেই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সবুজ উইকেট আলোচনার কেন্দ্রে। সাধারণত মিরপুরের উইকেট হয়ে থাকে স্পিন-বান্ধব। তবে চলমান টেস্ট সিরিজের জন্য পেস-বান্ধব উইকেট বানিয়ে আফগানদের বেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করছে টাইগাররা।
দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারীদের চেয়ে ৩৭০ রানে এগিয়ে টাইগাররা। আফগানিস্তান বাংলাদেশের রানপাহাড়ের চাপায় পড়েছে।
বৃহস্পতিবার খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এবাদত বলেন, ঘরের মাঠে এ ধরনের উইকেট আমার প্রথম দেখা। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে দেশের মাঠে তিনজন ফাস্ট বোলারের এরকম উইকেটে খেলা, যা আমাদের জন্য বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা চেষ্টা করেছি, ওদের যেন কম রানে আটকে ফেলা যায়। আমরা যে পরিকল্পনা করেছিলাম, সেটা কাজে লাগাতে পেরেছি।
এবাদতের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, ৫ উইকেট না পাওয়ায় কোনো অতৃপ্তি আছে কিনা? তার জবাব, না, আলহামদুলিল্লাহ। আফসোস নেই।
এদিন দারুণ বোলিং করে এবাদত চার উইকেট পেয়েছেন। এর পেছনে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। টানা কয়েকটি বল সামনে করে ব্যাটারের মানসিকতা বদলে এরপর বাউন্সার করেন তিনি। তাতেই সফল হয়েছেন বলে জানান এবাদত।
তিনি বলেন, আমি যে উইকেটগুলো পেয়েছি সেগুলো কিন্তু টানা বাউন্সার করার ফলে না। আমি দ্বিধায় ফেলেছি ব্যাটসম্যানকে সামনে বল ফেলে ফেলে। পরে সারপ্রাইজ বাউন্স দিয়ে। যে জিনিসটা হচ্ছে যে, ইনসুইং, আউটসুইং, বাউন্সার আগে ওভারে দুই তিনটা করতাম। ব্যাটসম্যানকে আস্তে আস্তে উইকেটে সেট করে দেন সারপ্রাইজ বাউন্স দিয়ে।
এবাদত বলেন, বাউন্স তো আমরা প্ল্যান থেকে কিছু করতে পারব না। বাউন্স তো উইকেট থেকে পেয়েছে। ওই জিনিসটাই। যেহেতু উইকেটে বাউন্স আছে-পেস আছে, সো আমরাই ওইটাই জাস্ট একটু রিফলেক্ট করার চেষ্টা করেছি। আমরা একটু ইউজ করছি, বাউন্স ও পেস জিনিসটা। আর ওরা ওই জিনিসটাই একটু স্ট্রাগল করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই