এক শতাব্দীর বেশি সময় পর অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেটের ফেরাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রিকি পন্টিং। দুইটি বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়াযজ্ঞের মাধ্যমে ক্রিকেট আরও ছড়ানোর সুযোগ পাবে।
১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকসে প্রথম ও শেষবার ছিল ক্রিকেট। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস গেমসে আবার দেখা যাবে ব্যাট-বলের লড়াই। গত বছর মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভায় নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। এবার প্যারিস অলিম্পিকস চলাকালে আইসিসি রিভিউয়ে অলিম্পিক কমিটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান পন্টিং।
তিনি জানান, আমাদের খেলাটির জন্য এটি শুধু ইতিবাচকই হতে পারে। গত ১৫-২০ বছরে আমি অনেক কমিটির আলোচনায় বসেছি এবং প্রায় সবগুলোতেই এটি শীর্ষ এজেন্ডা ছিল যে কীভাবে অলিম্পিকে ক্রিকেট ফেরানো যায়। অবশেষে এটি ফিরছে।
তিনি আরও বলেন, আর মাত্র চার বছর দূরে। এর মধ্যে আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের এমএলসি (মেজর লিগ ক্রিকেট) আরও এগিয়ে যাবে। কে জানে, ততদিনে এমএলসিতে দলের সংখ্যা বাড়তেও পারে। আমার মতে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের তৃণমূলে ক্রিকেটের সম্প্রসারণ ঘটতে পারে। তবে অলিম্পিক গেমসের বিষয়টা হলো, এটি শুধু আয়োজক দেশের ব্যাপার নয়, দর্শকদের মধ্যে বিস্তৃতির বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়কের মতে, অলিম্পিকসে প্রত্যাবর্তন ঘটার মাধ্যমে নতুন নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছতে পারবে ক্রিকেট। বিশ্ব জুড়ে অনেক মানুষ অলিম্পিক গেমস দেখে। তাই আমাদের খেলাটি সম্পূর্ণ নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছে যাবে যা প্রতিনিয়ত বাড়ার পথেই আছে। (ক্রিকেট) খেলাটির জন্য এটি শুধুমাত্র ইতিবাচক বিষয়ই হতে পারে।
প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হবে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকস ক্রিকেট। তবে কতগুলো দল অংশ নেবে সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়নি। এই বিষয়ে ধারণা দিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভবিষ্যদ্বাণী করেন পন্টিং।
তিনি বলেন, সুবিধাদি ও অবকাঠামোর বিষয়গুলো মূল হতে চলেছে। এছাড়া কতগুলো দল আসলে খেলার সুযোগ পাবে। তারা ৬-৭ দলের ব্যাপারে আলোচনা করছে। তাই বাছাই প্রক্রিয়া খুবই প্রিমিয়ার হতে চলেছে, যেভাবে আপনি আসলে অলিম্পিক গেমস খেলতে পারবেন। তাই এসব কিছু চিন্তা করে আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত যে খেলাটি কোথায় এগোচ্ছে এবং ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় খেলাটি ছড়িয়ে পড়বে, যা আমরা দেখতে পাচ্ছি।
অলিম্পিকসের মতো মাল্টি-স্পোর্টস ইভেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা আছে পন্টিংয়ের। ১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন তিনি। প্রায় ৩০ বছর পর অলিম্পিক গেমসে ভিন্ন দায়িত্বে থাকার আশা তার। তিনি বলেন, এটি (অলিম্পিকসে কোচ হওয়া) দারুণ হবে। অলিম্পিক গেমসে কোনো ক্রিকেট দলের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে থাকতে পছন্দ করব। কমনওয়েলথ গেমসে খেলার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। গেমস ভিলেজে সব ক্রীড়াবিদের সঙ্গে থাকা ও সব কিছু মিলিয়ে, একজন ক্রিকেটারের জন্য পরাবাস্তব পরিবেশ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ