নিউজিল্যান্ডের আশা-ভরসার সমাপ্তি দিনের দ্বিতীয় ওভারেই। রাচিন রাভিন্দ্রা আউট সেঞ্চুরির আগেই। মূল বাধা সরানোর পর বাকি কাজটুকু শেষ করতেও খুব একটা সময় নিলেন না প্রবাথ জয়াসুরিয়া। দারুণ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
গল টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৬৩ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলেও পরে ব্যাটে-বলে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই জয় আদায় করে নিল লঙ্কানরা।
প্রথম ইনিংসে চার উইকেটের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে লঙ্কানদের জয়ের নায়ক প্রবাথ জয়াসুরিয়া। ১৫ টেস্টে ৮৮ উইকেট হয়ে গেল এই বাঁহাতি স্পিনারের। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি অষ্টমবার। ম্যাচে ১০ উইকেটও দুই দফায় পাওয়া হয়ে গেল তার।
শ্রীলঙ্কা ও জয়ের মধ্যে শেষ দিনে বাধা ছিলেন কেবল রাচিন রাভিন্দ্রা। জয়ের জন্য ৬৮ রান দরকার ছিল কিউইদের, লঙ্কানদের কেবল দুটি উইকেট। সেই বাধা দূর হয়ে যায় দ্রুতই। দিনের দ্বিতীয় ওভারে জায়াসুরিয়ার আর্ম ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন রাভিন্দ্রা। ৯১ রানে দিন শুরু করা বাঁহাতি এ দিন যোগ করতে পারেন আর কেবল এক রান। নিজের পরের ওভারেই উইল ও’রোককে বোল্ড করে পঞ্চম শিকার ধরার পাশাপাশি ম্যাচ শেষ করে দেন জয়াসুরিয়া। শেষ দিনে ৩.৪ ওভারেই খেলা শেষ। ২৭৫ রান তাড়ায় ২১১ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড।
১৫ টেস্টেই পঞ্চমবার ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কার জিতে গেলেন জয়াসুরিয়া। তার হাত ধরে সাফল্যের দেখা পেলেন পূর্বসূরী বিখ্যাত জয়াসুরিয়া। শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে সানাৎ জয়াসুরিয়ার টানা দ্বিতীয় জয় এটি। কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ড সফরে ওভালে দারুণ এক জয় পেয়েছেন তারা। লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ম্যাচ শেষে বললেন, ওভালের জয়ই তাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে এখানে।
তিনি জানান, “ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এই বিশ্বাসটা পেয়েছি যে, টেস্ট জয়ের সামর্থ্য আমাদের আছে।”
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯ টেস্টে শ্রীলঙ্কার দশম জয় এটি। সবশেষ জয়টি ছিল ২০১৯ সালে এই গলেই। এরপর দেশে ও নিউ জিল্যান্ডে মিলিয়ে টানা তিন টেস্ট হারের পর আবার জয়ের মুখ দেখল তারা। দ্বিতীয় টেস্ট এই মাঠেই বৃহস্পতিবার থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১ম ইনিংস ৩০৫ ও ২য় ইনিংস ৩০৯
নিউ জিল্যান্ড: ১ম ইনিংস: ৩৪০ ও ২য় ইনিংস ২১১
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ