অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে চলমান টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
শনিবার লিগ পর্বে নিজেদের ষষ্ঠ ও শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার এডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
ফলে লিগে ৬ ম্যাচ খেলে ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১১ দলের টুর্নামেন্টে নবম স্থানে থেকে আসর শেষ করল বাংলাদেশ।
এই জয়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে এডিলেড। শেষ চারের অন্য তিন দল যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো কিংসম্যান, পাকিস্তানের পাকিস্তান শাহিনস ও অস্ট্রেলিয়ার পার্থ র্স্কোচার্স একাডেমি।
লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্যে ডারউইনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪০ বলে ৪৮ রানের সূচনা করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জিশান ও নাইম।
২টি চারে ১৫ রান তুলে নাইম ফিরলে তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসানের সাথে ৩৯ রানের জুটি গড়েন জিশান। নাইমের মতো ১৫ রান করে আউট হন সাইফ।
সাইফের পর সাজঘরের পথ ধরেন জিশানও। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৫০ রান করেন জিশান। নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
১৬তম ওভারে ১০৫ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলী। শেষ ২৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭০ রান যোগ করেন তারা। এতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৯ রান তুলে অপরাজিত থাকেন আফিফ। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ বলে অনবদ্য ২৫ রান করেন ইয়াসির।
ম্যাচে হান্নো জ্যাকবস ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন।
জবাবে এডিলেডেকে ৭৬ বলে ১২৩ রানের দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভি ও জ্যাক উইন্টার। ৩৫ রান করা উইন্টারকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
এরপর একই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন স্পিনার সাইফ হাসান। এতে ১৪২ রানে ৩ উইকেট হারায় এডিলেড। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এডিলেডের জয় নিশ্চিত করেন হার্ভি ও হ্যারি মানেনতি। ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ বলে হার্ভি অপরাজিত ১০২ ও মানেনতি ১৪ বলে অনবদ্য ২৫ রান করেন।
ম্যাচে সাইফ ২টি ও মৃত্যুঞ্জয় ১ উইকেট নেন।
এবারের আসরে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২০৮ রান করেছেন জিশান। বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রাকিবুল হাসান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত