২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ২০:২৬

রোবট বানালেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী

নাজমুল হুদা, সাভার :

রোবট বানালেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী

মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ, রোগীর সব তথ্য ডাক্তারকে দেওয়াসহ একজন নার্সের কাজ সুচারুভাবে পালনে সক্ষম রোবট উদ্ভাবন করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শেষ বর্ষের চার নারী শিক্ষার্থী। বিভাগীয় প্রজেক্টের অংশ হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে এটির কাজ সম্পন্ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিভাগীয় প্রধান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাভওয়ার (ABHWR), যেটির পূর্ণ রূপ ‘Advanced Biopola Humanoid Walking Robot’। সাড়া জাগানো এ উদ্ভাবনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- দলনেতা দুর্গা প্রামাণিক, মৌসুমি কণা, সুমনা আক্তার ও আফরিন আহমেদ বৃষ্টি।

রোবটটির বিশেষত্ব সম্পর্কে তারা জানান, নার্সের কাজ ছাড়াও যেকোনো অফিসে এটি রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে। একইসঙ্গে অনলাইনে বিভিন্ন কাজেও সক্ষম রোবটটি। এর সঙ্গে ব্লুটুথ সংযোগ থাকায় অফলাইনেও কাজ করতে পারবে এটি। এছাড়া হাঁটা-চলা ও কথা বলতেও সক্ষম বিশেষ এ উদ্ভাবনটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাস সংলগ্ন নিরিবিলিতে একটি পরীক্ষাগারে এর কাজ শুরু হয়। করোনাজনিত কারণে তিন মাস বিলম্বের পর চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর বেশকিছু প্রক্রিয়া শেষে ২১ সেপ্টেম্বর এটি নিজ বিভাগে উন্মুক্ত করা হয়।

পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সিএসই বিভাগের শিক্ষক শেলিয়া রহমান। কো-সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেন একই বিভাগের শিক্ষক রোয়িনা আফরোজ অ্যানি। এছাড়া প্রযুক্তিগত সহায়তা দেন উজ্জ্বল সরকার। যিনি সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

রোবট উদ্ভাবনের বিষয়ে সিএসই বিভাগের প্রধান মো. করম নেওয়াজ বলেন, ডিপার্টমেন্ট থেকে শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রজেক্ট দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ ধরনের চমৎকার কাজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উঠে আসে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অসাধারণ কর্মদক্ষতার অধিকারী, যার প্রমাণ এ উদ্ভাবন। এটাকে ডেভেলপ করতে আরও কিছু কাজ চলছে। রোবটটির পেছনে যারা কাজ করেছে তারা প্রত্যেকেই মেয়ে। মেয়েরা যেকোনো অংশে পিছিয়ে নেই এটা তার প্রমাণ।

গত বছরের অক্টোবর মাসেও একই বিভাগের ছয়জন শিক্ষার্থী রোবট ‘মিরা’ উদ্ভাবন করেন। যা ওইসময় দেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়। ফলে দেশব্যাপী সেটি দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর