রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাই ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্ক এবং নিজের এলাকা ও বিশ্বের ভূমিকম্প সংক্রান্ত তথ্য ও খোঁজখবর রাখাটাও বেশ জরুরি।
ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্ক থাকা এবং নিজের এলাকা ও বিশ্বের ভূমিকম্প সংক্রান্ত তথ্য ও খোঁজখবর রাখাটাও বেশ জরুরি। তবে, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় ধরনের প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকম্প ট্র্যাক করার ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। এ সংক্রান্ত বেশকিছু অ্যাপ রয়েছে, যেখান থেকে বিশ্বের যে কোনো স্থানের ভূমিকম্প সম্পর্কে তথ্য পাওয়া সম্ভব।
কুয়েকফিড : ভূমিকম্প ট্র্যাকার অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম কুয়েকফিড। কাস্টমাইজযোগ্য ইন্টারফেসের মাধ্যমে অ্যাপটি ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন এলাকার ভূমিকম্পের মাত্রা অনুসারে ট্র্যাক ও ফিল্টার করতে পারেন। অ্যাপটি ব্যবহারকারীরা প্রতিটি ভূমিকম্পের অবস্থান, মাত্রা এবং গভীরতাসহ বিস্তারিত তথ্য পান। রিয়েল-টাইম নোটিফিকেশন যে কোনো ভূমিকম্প সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে।
আর্থকুয়েক অ্যালার্ট : আর্থকুয়েক ভূমিকম্পের রিয়েল-টাইম তথ্য প্রদানের জন্য ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) থেকে তথ্য ব্যবহার করে থাকে। অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের জন্য ভূমিকম্পের অবস্থান, মাত্রা এবং সময় অনুসারে ফলাফল ফিল্টারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে একটি মানচিত্রের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পের তথ্য জানায়।
আর্থকুয়েক নেটওয়ার্ক : যারা আরও ইন্টার অ্যাক্টিভ ভূমিকম্প ট্র্যাকিং অ্যাপ খুঁজছেন, তাদের জন্য রয়েছে আর্থকুয়েক নেটওয়ার্ক। ব্যবহারকারীরা এখানে ভূমিকম্প সম্পর্কে নিজস্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে পারবেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী একটি কমিউনিটি বেজড ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। এটি ব্যবহারকারীদের ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং তাদের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে নোটিফিকেশন কাস্টমাইজ করে তথ্য দেবে।
মাইশেক : বার্কলে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার তৈরি করেছে মাইশেক অ্যাপটি। যেটি ভূমিকম্প শনাক্ত করতে এবং ব্যবহারকারীদের রিয়েল-টাইম সতর্ক করতে স্মার্টফোন সেন্সর ব্যবহার করে। এ ছাড়া ভূমিকম্প সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে তথ্য সরবরাহ করে নাগরিকদের সিটিজেন-সায়েন্স প্রজেক্টে অবদান রাখার সুযোগ রেখেছে।