দুর্যোগ এক করেছে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে। বন্যার্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য দেশজুড়েই চলছে অর্থ সংগ্রহ। রাজশাহীতেও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রমে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন ত্রাণ সংগ্রহের। দিনভর চলে ত্রাণ সংগ্রহের কাজ। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায়, অর্থ সংগ্রহের কাজে নিরলস পরিশ্রম করছেন শিক্ষার্থীরা। নগরীর বিভিন্ন মসজিদে বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হয়। যে যার মতো পারছেন সহায়তা দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারেও অর্থ সংগ্রহের কাজ চলছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার গণমাধ্যমকে জানান, বন্যার্তদের পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সবসময়ই পাশে আছে। ১৭টি হলের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে আছে শুকনো খাবার, ওষুধ, কাপড়সহ অন্যান্য সামগ্রী। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গা থেকে তহবিল সংগ্রহ হচ্ছে। তালাইমারী, ভদ্রা, লক্ষ্মীপুর, রেলগেট সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে বুথ বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহী শহরের প্রতিটি মোড়ে ১৫-২০টা আলাদা আলাদা সংগঠন তহবিল সংগ্রহ করছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০টিম।
এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। তারা বলছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জনসেবামূলক কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। দেশের অনেক জেলাই এখন বন্যার কবলে। রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জনসেবামূলক কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার নগরীর সড়কে নেমেছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য মানুষের কাছে হাত পাতছেন। এই অর্থ চলে যাবে বন্যাদুর্গত এলাকায়। নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মাইক হাতে সাহায্য চাইতে দেখা গেল ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জিকে। তিনি বলেন, এখন সবাইকে একসঙ্গে দেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।