খুলনা সিটি করপোরেশনের ড্রেন সংস্কার কাজে খোঁড়াখুঁড়িতে ভেঙে পড়ছে সেমিপাকা ঘর ও বাড়ির সীমানাপ্রাচীর। ভুক্তভোগীরা জানান, স্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে খোঁড়াখুঁড়িতে নগরীর শেখপাড়া হাজী ইসমাইল রোডে ঘর সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেন ঘেঁষে তৈরি করা ৫/৬টি সেমিপাকা ঘর খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে। হেলেপড়া বাকি ঘরগুলো বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কোনোমতে ঠেকানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম জানান, বহুপুরানো এসব ঘর কোনো নিয়ম না মেনেই একেবারে ড্রেন ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ড্রেনের সংস্কার কাজে খোঁড়াখুঁড়ি করতে গেলেই ঘর-সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ছে।
জানা যায়, প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মেসার্স রহমান অ্যান্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাজী ইসমাইল রোডের কেডিএ এভিনিউ থেকে পল্লীমঙ্গল মোড় পর্যন্ত সড়ক ও একপাশের ড্রেন নির্মাণ করছে। শেখপাড়া ওজোপাডিকো স্কুলসংলগ্ন ড্রেনে খোঁড়াখুঁড়ি করতে গেলে ঘর-সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়লে কাজে কিছুটা ধীরগতি দেখা দেয়।
নাগরিক সংগঠন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার তদারকির অভাবে নিয়মনীতি ছাড়া শহরে স্থাপনা গড়ে উঠছে। নিয়ম অনুযায়ী সড়কের দিকে আবাসন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ ফুট জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে ড্রেন ঘেঁষে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ড্রেন সংস্কার বা পয়ঃনিষ্কাশন কাজে ভোগান্তি বাড়ছে।
তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, স্কেভেটর মেশিন দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এর বদলে শ্রমিক নিয়োগ করে শাবল-কোদাল দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যাবে।
অপরদিকে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব ড্রেন ও সড়ক নির্মাণকাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।