প্রাচীন চৈনিক হিলিং প্র্যাকটিস থেকে অনুপ্রাণিত হলেও মূলধারার বিউটি রুটিনে গুয়া শা স্টোন (পাথর) ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে। চিনা ভাষায় ‘গুয়া শা’ শব্দবন্ধের অর্থ হলো ‘স্ক্র্যাপিং’ অর্থাৎ চেঁছে তোলা। আকারে ছোট এই পাথর ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে, পাশাপাশি মাসকুলোস্কেলিটাল ডিসঅর্ডার নিরাময়ে সাহায্য করে। প্রথম দিকে মহিষের শিং দিয়ে তৈরি হাতল ব্যবহৃত হতো ত্বক ম্যাসাজে। পরবর্তীতে উন্নত দামি পাথরের ব্যবহার শুরু হয়। আলাদা আলাদা পাথর, রং ও আকৃতির, মসৃণ প্রান্তভাগযুক্ত এই গুয়া শা স্টোনের প্রভাবও কিন্তু ভিন্ন।
কত রকম গুয়া শা স্টোন!
► জেড স্টোন : এটি সবচেয়ে পরিচিত স্টোন। ত্বকে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কন্টুরিং, ফেস লিফটিংয়ের ক্ষেত্রেও বেশ সহায়ক।
► গ্রিন অ্যাভেনচুরাইন : এই পাথরকে সৌভাগ্যের প্রতীকও বলা হয়। এটি মুখের বলিরেখা দূর করতে সহায়তা করে।
► বিয়ান স্টোন : এই পাথরটিকে বলা হয় গুয়া শার সবচেয়ে খাঁটি ও প্রাচীনতম পাথর। চীনের সিবিন গ্রামে এর উৎপত্তি। প্রায় ৪০টি খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ এই স্টোন ত্বকের স্বাস্থ্য ও এনার্জির ভারসাম্য বজায় রাখে।
গুয়া শার উপকারিতা : এই স্টোনের মাধ্যমে মুখের পেশিগুলোয় রক্তপ্রবাহ উদ্দীপিত হয়। ফলে ত্বকের কোষগুলোতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ উন্নত হয়। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা দূর হয়। ব্রণ, অ্যাকনের মতো সমস্যা ত্বকে থাবা বসাতে পারে না। এমনকি ত্বকের টক্সিন ও ক্লান্তি দূর করে থাকে। বিশেষ ক্রিম বা প্যাক ব্যবহার না হওয়ার ফলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।