রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

টিমি মাইলস [১৩ বছর]

টিমি মাইলস [১৩ বছর]

আগুন লাগা গাড়ি থেকে বিপদগ্রস্তকে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচিয়ে সত্যিকারের 'হিরো' হয়েছে টিমি মাইলস। এ ধরনের সাহসিকতাপূর্ণ ঘটনার বর্ণনা যেন শুধু গল্প-উপন্যাস আর কিশোর উপন্যাসের অ্যাডভেঞ্চারের বইতেই পাওয়া যায়। এটি ছিল গাইলিন মাইলসের একটি আত্মহত্যার চেষ্টা। গাইলিনকে প্রাণে বাঁচান ১৩ বছর বয়সী টিমি মাইলস। গাইলিন আসলে একজন মানসিক রোগী ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। ২০১১ সালে গাইলিন বাচ্চাদের স্কুল থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাচ্চাদের বাসায় ছেড়ে দিয়ে তিনি বললেন, আমি নিউ মেক্সিকোতে যাচ্ছি। আসলে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ছিলেন। তিনি গাড়ি চালিয়ে চলে গিয়েছিলেন বিখ্যাত জুনি মাউন্টেনে। এই পর্বত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। সেখানে গিয়ে তিনি ভয়ানক এক কাণ্ড করে বসেন। বাচ্চাদের পিল খাওয়ান। তিনি নিজেও পিল খান। তিনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন সময় তার পা পড়ে গাড়ির প্যাডেলে। গিয়ার তুলে গাড়ি ছোটাতে শুরু করেন না চাইতেই। গাইলিন নিয়ন্ত্রণ হারান। গাড়িটিতেও স্পার্ক হয়, আগুন ধরে যায়। পিল খেয়ে প্রায় জ্ঞান হারানো টিমি জ্ঞান ফিরেই দেখে ড্যাসবোর্ডে আগুন জ্বলছে। আগুনের শিখা আর ধোঁয়ায় কাবু তারা। সে দ্রুত গাড়ির অন্যদিক দিয়ে দরজা খুলে বের করে আনে ১০ ও ১১ বছর বয়সী ভাই-বোনকে। তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও গাইলিন পুড়ে যান পুরো গাড়িটির মতোই। পরদিন তারা হেঁটে শহরের কাছাকাছি এলে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

 

সর্বশেষ খবর