বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার

ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার

ব্রাজিলের এক গুরুত্বপূর্ণ শহর রিও ডি জেনিরিও। এখানেই দেখা মিলবে যিশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি। এই মূর্তিটির বিশেষত্বের কারণেই লাখো মানুষ ছুটে যায় সেখানে। মূর্তিটিকে বিশ্বের বৃহত্তম 'আর্ট ডেকো' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৭১৩ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন করকোভাদো পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি।

১৯২১ সালে ভাস্কর্যটি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কিকে। ধীরে ধীরে এর কাজ চলতে থাকে। ভাস্করের পরিকল্পনা মাফিক প্রায় ১০ বছর পর এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সাল ১৯৩১। ভাস্কর্যটি তৈরির উদ্দেশ্য ছিল পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের প্রথম শতবার্ষিকী উদযাপন। গ্রানাইটের তৈরি এই ভাস্কর্যর্টি প্রায় ৩০ মিটার উঁচু। যে বেদিটির ওপর ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে তার উচ্চতা ৬ মিটার। মূর্তিটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন দূর থেকে দেখতে মনে হবে যিশু তার দুই হাত প্রসারিত করে শহরটিকে আলিঙ্গন করছেন। পাহাড় আর পানি দিয়ে ঘেরা রিও ডি জেনিরিও শহরের সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। যিশু খ্রিস্ট যেমন খ্রিস্টধর্মের প্রতীক, এ মূর্তিটিও তেমনি রিও এবং ব্রাজিলের প্রতীক।

ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এতই বিশাল যে, সাধারণ কোনো ক্যামেরা দিয়ে এর ছবি তুলা অসম্ভব। অনেকেই পাহাড়ের চূড়ার নানা প্রান্ত থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন কিন্তু কোনো না কোনো অংশ বাদ পড়ে যায়। আটলান্টিক সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা যিশুর মুখমণ্ডল পর্যটকদের কাছে ভেসে ওঠে মেঘের ফাঁক দিয়ে। তারপর একটু একটু করে সরে যাওয়া মেঘের ফাঁক দিয়ে একটা হাত, তারপর আরেকটা হাত, তারপর ভেসে ওঠে গোটা শরীর। নিজ চোখে না দেখে সে অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করার নয়।

ক্রাইস্টের উপরিভাগ সাবান পাথরে নির্মিত হওয়ায় ভাস্কর্যের গায়ে হাত ছোঁয়ালে সাবানে হাত ছোঁয়ানোর অনুভূত হয়। যদিও এ পাথরে শরীর ধোয়া যায় না কিন্তু ব্রাজিলীয়রা বিশ্বাস করে যে, বৃষ্টির দিনে ক্রাইস্টের গায়ে সাবানের ফেনা দেখা যায় এবং তিনি নিজেই নিজেকে পবিত্র রাখেন।

 

 

সর্বশেষ খবর