শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫ আপডেট: ০০:২৯, রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

হজ যেভাবে এলো

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন। প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টির ২০০০ বছর আগে পৃথিবীর প্রথম ঘর কাবা নির্মিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর কাবা; যা মানুষের জন্য নির্ধারিত। এটি মক্কায় অবস্থিত এবং বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়াত ও বরকতময়’ (সুরা আলে ইমরান-৯৬)। আদম (আ.) পৃথিবীতে আসার পর আল্লাহর নির্দেশে পুনরায় কাবাঘর নির্মাণ করেন। কাবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইবাদতের নির্দেশ পান। হজরত নুহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনে এ ঘর নিশ্চিহ্ন হয়। মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.) কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে, আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-কে নির্দেশ দেন, যেন তিনি বিশ্ববাসীকে এই ঘর জিয়ারতের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দাও। তারা দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে ও সব ধরনের ক্ষীণকায় উটে চড়ে আসবে’ (সুরা হজ-২৭)। ইবনে কাসির (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন, হজের ঘোষণার নির্দেশ দিলে ইবরাহিম (আ.) বলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি কীভাবে এ আহ্বান পৌঁছাব? আমার কণ্ঠস্বর তো তাদের কাছে পৌঁছাবে না।’ আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আহ্বান জানাও, পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’ ইবরাহিম (আ.) মাকামে ইবরাহিমের পাথর, সাফাপর্বত ও আবু কুবায়েস পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন, ‘হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালক একটি ঘর নির্ধারণ করেছেন। তোমরা এর হজ কর।’ বলা হয়, পৃথিবীর পাহাড়গুলো তখন নিচু হয়ে যায়। ফলে তার ঘোষণা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। মায়ের গর্ভাশয় ও বাবার মেরুদণ্ডে অবস্থানকারী সব মানুষ শুনতে পায়। কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ হজ করবে, তারা লাব্বাইক বলে সাড়া দেয়।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)।

 

প্রাক-ইসলাম ও নবীযুগে হজ

রসুল (সা.)-এর জন্মের আগেও আরবরা হজ পালন করতেন। তারা জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ করতেন না। কাবাঘরকে কেন্দ্র করে দূরদুরান্ত থেকে মানুষ আসতেন; হজের বিভিন্ন রীতি পালন করতেন; যা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দেখানো হজ থেকে ভিন্ন ও বিকৃত ছিল। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, আল্লাহ মহানবীর (সা.) উম্মতের ওপর নবম হিজরিতে হজ ফরজ করেন। হজের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রসুল (সা.) আবু বকর (রা.)-কে দলপতি নিযুক্ত করে হজ পালনে পাঠান। সেবার ৩০০ সাহাবি হজ পালন করেন। এ সময় সুরা তাওবা অবতীর্ণ হয়। এতে মুশরিকদের সঙ্গে থাকা শান্তিচুক্তি ভঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়, ‘আজকের পর থেকে মুশরিকরা হারাম শরিফের সীমানায় ঢুকতে পারবে না।’

 

হজের বিধান

ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম হলো হজ। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ইহরাম বেঁধে আরাফার মাঠে অবস্থানসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারিত কিছু আমল করে কাবাঘর তাওয়াফ করাকে হজ বলে। কোনো ব্যক্তি যদি কাবাঘরে যাওয়া ও ফিরে আসা পরিমাণ অর্থের মালিক হয়। এ ছাড়া তার মৌলিক খরচ ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচ থাকে- এ অবস্থায় তার ওপর হজ ফরজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও ওমরা পালন কর’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে (মক্কায় কাবা শরিফে) যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর জন্য ওই ঘরের হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। হজের ফরজ তিনটি, আর ওয়াজিব ছয়টি। এ কাজগুলো ৭ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে করতে হয়।

 

যত প্রকার হজ

১. ইফরাদ : শুধু হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই ইহরামেই হজের সব আমল সম্পন্ন করা। ইফরাদ হজে কোরবানি করা মুস্তাহাব।

২. তামাত্তু : শুধু ওমরার নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওমরার কাজ শেষ করা। এরপর মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া। তারপর ওই সফরেই হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজের সব আমল সম্পাদন করা। তামাত্তু হজে কোরবানি করা ওয়াজিব।

৩. কিরান : একসঙ্গে ওমরা ও হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে একই ইহরামে ওমরা ও হজ পালন করা। কিরান হজেও কোরবানি করা ওয়াজিব।

এই তিন প্রকারের মধ্যে ‘কিরান হজ’ উত্তম। কিন্তু ইহরাম দীর্ঘায়িত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞাবলি সঠিকভাবে মেনে চলতে না পারার আশঙ্কা থাকে। তাই তামাত্তু হজ করা ভালো। (ফতোয়ায়ে শামি, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৫২৯)।

 

ইহরাম

হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ইহরাম। ইহরাম হলো হজ ও ওমরার জন্য নির্ধারিত একটি অবস্থা। মিকাত নামক নির্ধারিত স্থানগুলো অতিক্রম করার আগে ইহরামের অবস্থা ধারণ করতে হয়। ইহরামের নির্দিষ্ট পোশাক ও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ইহরাম মানে কোনো জিনিসকে নিজের ওপর হারাম বা নিষিদ্ধ করে নেওয়া। হজ ও ওমরা পালনকারী ইহরাম বাঁধার মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের চুল ইত্যাদি কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাইযুক্ত কাপড় পরা এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয় হারাম করে নেন; এজন্য একে ইহরাম বলে।  ইহরামের পোশাক পরা ইহরাম নয়, বরং নিয়তটাই ইহরাম।

 

তালবিয়া

‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুলক, লা-শারিকা লাক।’ অর্থ : আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির। কোনো শরিক নেই তোমার। আমি হাজির। নিশ্চয় সব প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই। সব সাম্রাজ্যও তোমার। কোনো শরিক নেই তোমার।

 

ওমরা

মক্কায় প্রবেশের পর সম্ভব হলে ওমরা শেষ করে নিতে হয়। ওমরার গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাওয়াফ করা। এটি ফরজ (সহিহ মুসলিম-২১৩৭)। কাবাঘরের চারপাশে সাতবার বৃত্তাকারে ঘোরাকে এক তাওয়াফ বলা হয়। প্রথম তিনবার ঘোরায় বীরত্ব প্রদর্শনে দ্রুত হেঁটে চলতে হয়। যাকে রমল বলে (সহিহ বোখারি-১৫০১)। এরপর ইজতিবা করা (ইহরামের কাপড় ডান হাতের নিচে দিয়ে বাঁ-কাঁধের ওপর রাখা) জরুরি। পরবর্তী চার তাওয়াফ স্বাভাবিকভাবে শেষ করতে হয় (তিরমিজি-৭৮৭)।

 

সাঈ

সাঈ মানে দ্রুত হাঁটা। সাফা পাহাড় থেকে শুরু করে মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে তা শেষ হয়। সর্বমোট সাতবার সাফা-মারওয়ায় দৌড়াতে হয়। এরপর মাথা মুণ্ডন করা ওয়াজিব। হজ শুরু হওয়ার কাছাকাছি সময় হলে চুল খাটো করে ফেলতে হয়। যাতে হজ শেষে আবার মাথা মুণ্ডন করা সম্ভব হয়। এরপর হাজিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন। ইহরামের সময় নিষিদ্ধ কাজ থেকে অব্যাহতি পান।

 

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন

শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ

পবিত্র হজের অন্যতম ওয়াজিব বিধান হলো জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা। শয়তানকে উদ্দেশ করে হাজিরা তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। জামারায় তিন শয়তানকে ঘৃণাভরে প্রতীকী অর্থে এ পাথর নিক্ষেপ করেন তাঁরা। মিনায় গিয়ে তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন হাজিরা।  প্রথমত জামারাতুল আকাবা (শেষ জামারা), দ্বিতীয়ত জামারাতুল উস্তা (মধ্যম জামারা) এবং তৃতীয়ত জামারাতুল উলা (প্রথম জামারা)।

 

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন

মূল কার্যক্রম

৮ জিলহজ : হজ পালনকারীরা ফজরের পর গোসল করেন। হজের নিয়ত করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েন। এরপর মিনার দিকে রওনা হন।

৯ জিলহজ : মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফার দিকে রওনা হন। ইমাম সাহেবের খুতবা শোনেন। মসজিদে নামিরার আশপাশে থাকার চেষ্টা করেন। জোহর ও আসরের নামাজ এক আজানে দুই ইকামতে কসর ও দুই ওয়াক্ত একসঙ্গে আদায় করেন।

মুজদালিফায় অবস্থান : মাগরিবের আজানের পর মুজদালিফার দিকে রওনা হন। পথে মাগরিবের সময় শেষ হয়ে গেলেও নামাজ না পড়ে মুজদালিফায় পৌঁছে পবিত্র হন। এরপর মাগরিব ও ইশার নামাজ কসর পড়েন। সঙ্গে বিতর পূর্ণ আদায় করেন। রাতে সুযোগ হলে অন্যান্য ইবাদত করেন। ৯ জিলহজ রাত ও ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। মুজদালিফা থেকে ৭০টি খেজুরের বিচি বা তার চেয়ে ছোট ধরনের পাথরখণ্ড সংগ্রহ করে নেন। মিনা থেকেও সংগ্রহ করা যায়।

১০ জিলহজ মিনার কার্যক্রম : এদিন শুধু বড় জামারায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। এটি ওয়াজিব। কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে জামারাকে বাঁ-পাশে রেখে কেবলামুখি হয়ে দোয়া করেন। কোরবানির টাকা আগে দিয়ে থাকলে কোরবানি হয়ে গেছে ভেবে মাথা মুণ্ডন করেন। সেক্ষেত্রে হালাল অবস্থায় ফেরা হয়। এদিন সম্ভব হলে এখান থেকেই কাবা গিয়ে ফরজ তাওয়াফ ও সাঈ করে মিনায় ফিরেন।

১১ জিলহজ : এদিন সূর্য ঢলার পর ২১টি কঙ্কর নিয়ে জামারার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ছোট জামারাকে সাতটি, মধ্যমকে সাতটি এবং বড়কে সাতটি করে মোট ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। যদি ১০ তারিখে তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকেন, তাহলে এদিন তাওয়াফ ও সাঈ করেন।

১২ জিলহজ : আগের দিনের মতো এ দিনও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। এ দিন মক্কায় ফিরেন। আগে তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকলে এদিন করতে পারেন।

১৩ জিলহজ : যদি এদিন মিনায় থাকেন, তাহলে আগের দিনের মতো আজও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করে মক্কায় ফিরেন। যদি তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকেন, তাহলে আজ তা পালন করতে পারেন। যদি এদিন মিনায় থাকেন, তাহলে ১৪ তারিখে আবারও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করে মক্কায় ফিরে আসেন।

বিদায়ী তাওয়াফ : তাওয়াফের নিয়ত করে কাবাঘরের হাজরে আসওয়াদের কোনা থেকে শুরু করে চারপাশে সাতবার ঘোরাকে তাওয়াফ বলা হয়। হাজিরা হজে গিয়েই প্রথমে তাওয়াফ করেন। একে ‘তাওয়াফে কুদুম’ বলে। এটি সুন্নত। বিদায়ী তাওয়াফ মক্কা ছাড়ার আগে করতে হয়।

রসুল (সা.)-এর রওজা জিয়ারত :

হজের আগে বা পরে অবশ্যই মদিনা মোনাওয়ারা ও রসুল (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করতে হয়। এখানে শুয়ে আছেন রসুলুল্লাহ (সা.)-সহ তাঁর অসংখ্য সাহাবি।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান

কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান

মসজিদুল হারাম : পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান মসজিদুল হারাম। এটি পবিত্র কাবাঘর ঘিরে অবস্থিত।  কাবাঘরের চারদিকে অবস্থিত তাওয়াফের স্থানকে ‘মাতাফ’ বা চত্বর বলা হয়। কাবার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মাতাফ থেকে দেড় মিটার ওপরে হাজরে আসওয়াদ। পাথরটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান। প্রায় এক হাত। এ পাথরটিই মাকামে ইবরাহিম বা ইবরাহিম (আ.)-এর দাঁড়ানোর স্থান। তিনি এর ওপর দাঁড়িয়ে কাবাঘর নির্মাণ করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর অলৌকিকতার কারণে শক্ত পাথরটি ভিজে তাতে তাঁর পায়ের দাগ বসে যায়। আজও সেই ছাপ রয়েছে। কাবাঘরের উত্তরে অর্ধবৃত্তাকার উঁচু প্রাচীরে ঘেরা একটি স্থান রয়েছে। যাকে বলা হয় ‘হাতিম’। দুনিয়াতে আল্লাহর যত অনুপম নিদর্শন আছে, এর মধ্যে ‘জমজম কূপ’ অন্যতম। এর পানি সর্বাধিক স্বচ্ছ, উৎকৃষ্ট, পবিত্র ও বরকতময়। রসুল (সা.) বলেন, ‘জমজমের পানি হলো পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি। এতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যাধির আরোগ্য।’ (জামে কাবির-১১০০৪)।

মসজিদে নববি : মদিনায় রসুল (সা.) নিজেই একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। যা মসজিদে নববি হিসেবে পরিচিত। মসজিদে নববি মুসলমান শাসকদের দ্বারা বহুবার সংস্কার ও সম্প্রসারিত হয়েছে। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে মসজিদে নববির গম্বুজে রঙের আস্তরণ দিয়ে সবুজ বানান ওসমানি সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ।

সাফা-মারওয়া : সাফা-মারওয়া মক্কায় অবস্থিত প্রসিদ্ধ দুটি পাহাড়। হজ ও ওমরার অংশ হিসেবে দুই পাহাড়ের মাঝে সাতবার আসা-যাওয়া করতে হয়। একসময় মক্কায় কোনো বসতি ছিল না। চারপাশ ছিল ধু-ধু মরুভূমি।  আল্লাহর নির্দেশে তখন ইবরাহিম (আ.) তাঁর স্ত্রী হাজেরা ও পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সেখানে রেখে আসেন। হাজেরা ইবরাহিম (আ.)-কে বললেন, ‘আপনি আমাদের কার কাছে রেখে যাচ্ছেন?’ ইবরাহিম (আ.) বললেন, ‘আল্লাহর কাছে।’ হাজেরা বললেন, ‘আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ হাজেরার কাছে অল্প কিছু খাবার ও পানি ছিল। দেখতে দেখতে একসময় তা ফুরিয়ে গেল। চারদিকে ছিল কাঠফাটা রোদ। উত্তপ্ত বালুকণা। এদিকে তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাইল। ব্যাকুল হয়ে পড়েন হজরত হাজেরা। ছেলের তেষ্টা মেটাতে দিগি¦দিক ছুটে বেড়ান। একবার সাফা পাহাড়ে ওঠেন, আবার সেখান থেকে নেমে আসেন। ফিরে দেখেন কলিজার টুকরা শিশুকে। ঢালুতে এসে ইসমাইল (আ.) চোখের আড়াল হয়ে যেত। তাই দৌড়ে পর্বত পেরোতেন। চড়তেন মারওয়ায়। এভাবে সাতবার দৌড়ান। আল্লাহর কাছে হাজেরার এ কাজ খুবই পছন্দ হলো। শেষ নবীর উম্মতের জন্য তা অবধারিত করলেন।

আরাফা : মক্কা থেকে ১৫ মাইল পূর্বে তায়েফের পথে অবস্থিত এক মরূদ্যান আরাফা। ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত জাবালে রহমত। আরাফা শব্দের অর্থ পরিচিতি। হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.) মহান আল্লাহর নির্দেশে জান্নাত থেকে বেরোনোর পর পৃথিবীতে পরস্পরকে খুঁজতে খুঁজতে আরাফায় এসে মিলিত হন। এ কারণে এর নাম আরাফা। জিলহজ মাসের ৯ তারিখকে আরাফার দিন বলা হয়। আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজ। আরাফার দিনটি মূলত হজের দিন।

মিনা : মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। আর আরাফার ময়দান থেকে মিনা ১৬ কিলোমিটার। হজ সম্পন্ন করতে হাজিদের প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের কাজটি মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর অনুসরণে প্রতীকী আমল হিসেবে করা হয়। ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নযোগে তাঁর প্রিয় বস্তু আল্লাহর জন্য কোরবানি করতে আদেশ পান, তখন তিনি কয়েকবার উট কোরবানি করেন। এরপরও তাঁকে স্বপ্নে কোরবানির আদেশ দেওয়া হয়। তিনি বুঝলেন, তাঁর সন্তান ইসমাইলের কথা বলা হচ্ছে। কারণ, তখন তাঁর কাছে ইসমাইলের চেয়ে প্রিয় অন্য কিছু ছিল না। তিনি ছেলেকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করতে মিনায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় শয়তান তাঁকে বিপথে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত হয়। সে মিনার তিনটি স্থানে ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-কে কুমন্ত্রণা দিল। তাঁদের আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করল। কুমন্ত্রণার বিপরীতে তিনি সেই তিন স্থান থেকে পাথর নিক্ষেপ করে শয়তানকে বিতাড়িত করেন।

জমজমের কূপ এক বিস্ময়

জমজমের কূপ এক বিস্ময়

মুসলমানদের কাছে জমজমের পানি অতি বরকতময় ও পবিত্র। হাদিসে এ পানির অশেষ কল্যাণ ও বরকতের কথা উল্লেখ রয়েছে। মক্কার মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত জমজম কূপ। এই কূপের কাছে একটি শক্তিশালী পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হয়। লাখ লাখ মানুষ তৃপ্তিভরে পানি পান করেন এবং পাত্রে ভরে নিয়ে যান। কাবা শরিফের বিভিন্ন জায়গায় পাইপলাইনের মাধ্যমেও জমজমের পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে জমজম কূপের উৎপত্তি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। নবী হজরত ইবরাহিম (আ.) তাঁর স্ত্রী হাজেরা (আ.) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে মক্কার বিরান মরুভূমিতে রেখে আসেন। তাঁর রেখে যাওয়া খাদ্য, পানীয় শেষ হয়ে গেলে হজরত হাজেরা পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে ছোটাছুটি করেছিলেন। এ সময় হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে ভূমি থেকে পানি বেরিয়ে আসে। অন্য একটি বর্ণনানুসারে, আল্লাহ জিবরাইল (আ.)-কে সেখানে প্রেরণ করেন, জিবরাইলের পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে এই দৃশ্য দেখে হাজেরা (আ.) পাথর দিয়ে পানির ধারা আবদ্ধ করলে তা কূপে রূপ নেয়। জমজম কূপ বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়। প্রথম থেকে এটি বালু ও পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় এর ওপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরও সংস্কার করেন। ২০১৭-১৮ সালে সৌদি বাদশাহ এটি সংস্কার করেন। বর্তমানে কূপটি কাবা চত্বরে দেখা যায় না। এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং কূপটি থেকে পাম্পের সাহায্যে প্রতিদিন ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তোলিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে শৈশবে মহানবী (সা.)-এর বক্ষ বিদারণ বা সিনা চাক করে কলিজার একটি অংশ বের করে তা এই জমজম কূপের পানিতে ধুয়ে আবার যথাস্থানে স্থাপনের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
এআই কীভাবে রাজনীতিকে প্রতারণাপূর্ণ করে তুলছে
এআই কীভাবে রাজনীতিকে প্রতারণাপূর্ণ করে তুলছে
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশি নির্বাচনি প্রচারণার এআই ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশি নির্বাচনি প্রচারণার এআই ভিডিও
নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
জিন্স কাহন
জিন্স কাহন
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানীদের গল্প
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ
সর্বশেষ খবর
সংঘাত থামাতে কঙ্গো সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি
সংঘাত থামাতে কঙ্গো সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদি প্রিন্সের মৃত্যু
২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদি প্রিন্সের মৃত্যু

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৪ বছর পর ক্রিমিয়ায় ঐতিহাসিক মসজিদ উদ্বোধন
১৪ বছর পর ক্রিমিয়ায় ঐতিহাসিক মসজিদ উদ্বোধন

৩১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে নিহত ৩৪, নিখোঁজ ৮
ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে নিহত ৩৪, নিখোঁজ ৮

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

উলভসের হল অব ফেমে দিয়োগো জোতা
উলভসের হল অব ফেমে দিয়োগো জোতা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোনার জার্সিতে মাঠ কাঁপাতে নামলেন গেইল-পোলার্ডরা
সোনার জার্সিতে মাঠ কাঁপাতে নামলেন গেইল-পোলার্ডরা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাসা থেকে জাপানি অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
বাসা থেকে জাপানি অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আওয়ামী রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের উপায়
আওয়ামী রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের উপায়

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তারেক রহমানের প্রতীক্ষায় ১৮ কোটি মানুষ
তারেক রহমানের প্রতীক্ষায় ১৮ কোটি মানুষ

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না : তৃপ্তি
নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না : তৃপ্তি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যারা ভোট চান না তাদের দল করার দরকার কী, প্রশ্ন আমীর খসরুর
যারা ভোট চান না তাদের দল করার দরকার কী, প্রশ্ন আমীর খসরুর

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের যুবাদের সিরিজ জয়
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের যুবাদের সিরিজ জয়

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৫৩ বছরে থেমে গেল ফিশ ভেঙ্কটের জীবন
৫৩ বছরে থেমে গেল ফিশ ভেঙ্কটের জীবন

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সুন্দরবনে ট্রলারসহ হরিণ শিকারের বিপুল পরিমাণ ফাঁদ উদ্ধার
সুন্দরবনে ট্রলারসহ হরিণ শিকারের বিপুল পরিমাণ ফাঁদ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৫৭৭ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারসহ দুইজন আটক
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৫৭৭ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কারসহ দুইজন আটক

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাবিপ্রবিতে শহিদদের স্মরণে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল
শাবিপ্রবিতে শহিদদের স্মরণে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় লাইনচ্যুত পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন
কুমিল্লায় লাইনচ্যুত পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
ঋণের চাপে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৬০ লাখ টাকার সিগারেট ও মোবাইল জব্দ
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৬০ লাখ টাকার সিগারেট ও মোবাইল জব্দ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে ৯ জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ
বাগেরহাটে ৯ জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে গাইবান্ধায় বৃক্ষরোপণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে গাইবান্ধায় বৃক্ষরোপণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিস্তায় ভাঙছে ২০০ মিটার, পাউবো জিওব্যাগ ফেলছে ৩৯ মিটারে
তিস্তায় ভাঙছে ২০০ মিটার, পাউবো জিওব্যাগ ফেলছে ৩৯ মিটারে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় পুকুরে ধরা পড়ল ইলিশ!
কলাপাড়ায় পুকুরে ধরা পড়ল ইলিশ!

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নড়াইলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০
নড়াইলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২০

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছেলের দুর্ঘটনার খবরে স্ট্রোক করে মায়ের মৃত্যু
ছেলের দুর্ঘটনার খবরে স্ট্রোক করে মায়ের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দিনাজপুরে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন
দিনাজপুরে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য উদ্ধার
১০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ
বগুড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এনসিপির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নীলা ইসরাফিল
এনসিপির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নীলা ইসরাফিল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক ছাত্রদের দল গঠনের বুদ্ধি দিয়েছে : কর্নেল অলি
কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক ছাত্রদের দল গঠনের বুদ্ধি দিয়েছে : কর্নেল অলি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভুল করে গির্জায় হামলা, ট্রাম্পকে জানালেন নেতানিয়াহু
ভুল করে গির্জায় হামলা, ট্রাম্পকে জানালেন নেতানিয়াহু

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জের মরদেহগুলো প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জের মরদেহগুলো প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বক্তব্য দিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ জামায়াত আমির
বক্তব্য দিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ জামায়াত আমির

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল : ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল : ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু
জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিক্ষোভে উত্তাল ইবি ক্যাম্পাস
বিক্ষোভে উত্তাল ইবি ক্যাম্পাস

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপিকে ক্ষেপিয়ে কীভাবে মাঠে টিকে থাকবেন : ইলিয়াস
বিএনপিকে ক্ষেপিয়ে কীভাবে মাঠে টিকে থাকবেন : ইলিয়াস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আহত শাহরুখ, নেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
শুটিংয়ে আহত শাহরুখ, নেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশ চলছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশ চলছে

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামায়াত আমিরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
জামায়াত আমিরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওপেনিংয়ে নেমে সাকিব ঝড়,  বল হাতেও পেলেন উইকেট
ওপেনিংয়ে নেমে সাকিব ঝড়, বল হাতেও পেলেন উইকেট

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত নেতাকর্মীদের ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত নেতাকর্মীদের ঢল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কনসার্টে পরকীয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই মার্কিন সিইও বরখাস্ত
কনসার্টে পরকীয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই মার্কিন সিইও বরখাস্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নৈতিক শিক্ষা ও ভালো মানুষ হলেই দেশ উপকৃত হবে: সেনাপ্রধান
নৈতিক শিক্ষা ও ভালো মানুষ হলেই দেশ উপকৃত হবে: সেনাপ্রধান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতে ইসলামী একটি ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি : গোবিন্দ প্রামাণিক
জামায়াতে ইসলামী একটি ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি : গোবিন্দ প্রামাণিক

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হদিস নেই ৭০০ কারাবন্দির
হদিস নেই ৭০০ কারাবন্দির

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‌‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’
‌‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অস্ত্র ছাড়বে না হিজবুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
অস্ত্র ছাড়বে না হিজবুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগে নির্মাণ হবে দুই সেতু : ডিএনসিসি প্রশাসক
আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগে নির্মাণ হবে দুই সেতু : ডিএনসিসি প্রশাসক

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, কিনবেন যেভাবে
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, কিনবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে?
কেন ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই অভ্যুত্থান যতটা বিএনপির, ততটা আর কারও নয়: রুমিন ফারহানা
জুলাই অভ্যুত্থান যতটা বিএনপির, ততটা আর কারও নয়: রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে: মামুনুল হক
রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে: মামুনুল হক

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ফখরুল
বিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ফখরুল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমার কিছু হলে সেনাপ্রধান আসিম মুনির দায়ী থাকবেন: ইমরান খান
আমার কিছু হলে সেনাপ্রধান আসিম মুনির দায়ী থাকবেন: ইমরান খান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধাতব চেইন পরে এমআরআই কক্ষে, অতঃপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা
ধাতব চেইন পরে এমআরআই কক্ষে, অতঃপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

৪ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস
৪ বিভাগে ভারী বর্ষণের আভাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ডেথ সেলে’ অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন ইমরান খান, দাবি পিটিআইয়ের
‘ডেথ সেলে’ অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন ইমরান খান, দাবি পিটিআইয়ের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জামায়াতের বিশাল শোডাউন
জামায়াতের বিশাল শোডাউন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্লাইট নিয়ে বিপাকে ওমরাহ যাত্রীরা
ফ্লাইট নিয়ে বিপাকে ওমরাহ যাত্রীরা

নগর জীবন

মুজিবনগরের সঙ্গে শেখ মুজিবের সম্পর্ক নেই
মুজিবনগরের সঙ্গে শেখ মুজিবের সম্পর্ক নেই

নগর জীবন

নেওয়া হচ্ছে আমেরিকায় গুরুতর আহত শাহরুখ
নেওয়া হচ্ছে আমেরিকায় গুরুতর আহত শাহরুখ

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিদেশেও গাজীর সম্পদের পাহাড়
বিদেশেও গাজীর সম্পদের পাহাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠোর ব্যবস্থা নেব বিপাকে ববিতা
কঠোর ব্যবস্থা নেব বিপাকে ববিতা

শোবিজ

বসুন্ধরায় শেয়ারভিত্তিক মালিকানায় হচ্ছে অত্যাধুনিক মেডিকেল সিটি
বসুন্ধরায় শেয়ারভিত্তিক মালিকানায় হচ্ছে অত্যাধুনিক মেডিকেল সিটি

নগর জীবন

ভারতের সঙ্গে ঢাকায় আসবে না শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান!
ভারতের সঙ্গে ঢাকায় আসবে না শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান!

মাঠে ময়দানে

নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় হুমায়ূনকে স্মরণ
নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় হুমায়ূনকে স্মরণ

নগর জীবন

সুন্দর পাখি বামন মাছরাঙা
সুন্দর পাখি বামন মাছরাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে
শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পপি কেন ফিরবেন না
পপি কেন ফিরবেন না

শোবিজ

এআই কীভাবে রাজনীতিকে প্রতারণাপূর্ণ করে তুলছে
এআই কীভাবে রাজনীতিকে প্রতারণাপূর্ণ করে তুলছে

রকমারি

উচ্চতা নিয়ে মিমের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা
উচ্চতা নিয়ে মিমের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

শোবিজ

‘মাসুদ রানা’য় মৌ
‘মাসুদ রানা’য় মৌ

শোবিজ

ব্যাডমিন্টনে পুরোনো রাজা নতুন রানি
ব্যাডমিন্টনে পুরোনো রাজা নতুন রানি

মাঠে ময়দানে

চাকরি হারাবে ১০ লাখ মানুষ!
চাকরি হারাবে ১০ লাখ মানুষ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

রকমারি

ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ যেন না পায় : তারেক রহমান
ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ যেন না পায় : তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ ভালোর অপেক্ষায় বাংলাদেশ
শেষ ভালোর অপেক্ষায় বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায়নি জামায়াত
বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায়নি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনায় মিরপুরের উইকেট
আলোচনায় মিরপুরের উইকেট

মাঠে ময়দানে

বিপিএল অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় পাকিস্তান
বিপিএল অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

জুলাই মাসেই জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে
জুলাই মাসেই জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে

নগর জীবন

বেশি প্রাণ দিতে হয়েছে ইসলামপন্থিদের
বেশি প্রাণ দিতে হয়েছে ইসলামপন্থিদের

প্রথম পৃষ্ঠা

দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ অপরিহার্য
দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ অপরিহার্য

সম্পাদকীয়

চট্টগ্রামে এনসিপির পদযাত্রা আজ
চট্টগ্রামে এনসিপির পদযাত্রা আজ

নগর জীবন

আওয়ামী রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের উপায়
আওয়ামী রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের উপায়

সম্পাদকীয়

বিতর্কে রাজনৈতিক দলগুলো
বিতর্কে রাজনৈতিক দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা