শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫ আপডেট: ০০:২৯, রবিবার, ০১ জুন, ২০২৫

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

হজ যেভাবে এলো

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন। প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টির ২০০০ বছর আগে পৃথিবীর প্রথম ঘর কাবা নির্মিত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর কাবা; যা মানুষের জন্য নির্ধারিত। এটি মক্কায় অবস্থিত এবং বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়াত ও বরকতময়’ (সুরা আলে ইমরান-৯৬)। আদম (আ.) পৃথিবীতে আসার পর আল্লাহর নির্দেশে পুনরায় কাবাঘর নির্মাণ করেন। কাবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইবাদতের নির্দেশ পান। হজরত নুহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনে এ ঘর নিশ্চিহ্ন হয়। মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.) কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিকদের মতে, আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-কে নির্দেশ দেন, যেন তিনি বিশ্ববাসীকে এই ঘর জিয়ারতের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দাও। তারা দূরদূরান্ত থেকে হেঁটে ও সব ধরনের ক্ষীণকায় উটে চড়ে আসবে’ (সুরা হজ-২৭)। ইবনে কাসির (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন, হজের ঘোষণার নির্দেশ দিলে ইবরাহিম (আ.) বলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি কীভাবে এ আহ্বান পৌঁছাব? আমার কণ্ঠস্বর তো তাদের কাছে পৌঁছাবে না।’ আল্লাহ বলেন, ‘তুমি আহ্বান জানাও, পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’ ইবরাহিম (আ.) মাকামে ইবরাহিমের পাথর, সাফাপর্বত ও আবু কুবায়েস পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন, ‘হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতিপালক একটি ঘর নির্ধারণ করেছেন। তোমরা এর হজ কর।’ বলা হয়, পৃথিবীর পাহাড়গুলো তখন নিচু হয়ে যায়। ফলে তার ঘোষণা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। মায়ের গর্ভাশয় ও বাবার মেরুদণ্ডে অবস্থানকারী সব মানুষ শুনতে পায়। কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ হজ করবে, তারা লাব্বাইক বলে সাড়া দেয়।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)।

 

প্রাক-ইসলাম ও নবীযুগে হজ

রসুল (সা.)-এর জন্মের আগেও আরবরা হজ পালন করতেন। তারা জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ করতেন না। কাবাঘরকে কেন্দ্র করে দূরদুরান্ত থেকে মানুষ আসতেন; হজের বিভিন্ন রীতি পালন করতেন; যা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দেখানো হজ থেকে ভিন্ন ও বিকৃত ছিল। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, আল্লাহ মহানবীর (সা.) উম্মতের ওপর নবম হিজরিতে হজ ফরজ করেন। হজের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রসুল (সা.) আবু বকর (রা.)-কে দলপতি নিযুক্ত করে হজ পালনে পাঠান। সেবার ৩০০ সাহাবি হজ পালন করেন। এ সময় সুরা তাওবা অবতীর্ণ হয়। এতে মুশরিকদের সঙ্গে থাকা শান্তিচুক্তি ভঙ্গের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়, ‘আজকের পর থেকে মুশরিকরা হারাম শরিফের সীমানায় ঢুকতে পারবে না।’

 

হজের বিধান

ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম হলো হজ। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ইহরাম বেঁধে আরাফার মাঠে অবস্থানসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারিত কিছু আমল করে কাবাঘর তাওয়াফ করাকে হজ বলে। কোনো ব্যক্তি যদি কাবাঘরে যাওয়া ও ফিরে আসা পরিমাণ অর্থের মালিক হয়। এ ছাড়া তার মৌলিক খরচ ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচ থাকে- এ অবস্থায় তার ওপর হজ ফরজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও ওমরা পালন কর’ (সুরা বাকারা-১৯৬)। তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে (মক্কায় কাবা শরিফে) যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর জন্য ওই ঘরের হজ করা তার অবশ্য কর্তব্য’ (সুরা আলে ইমরান-৯৭)। হজের ফরজ তিনটি, আর ওয়াজিব ছয়টি। এ কাজগুলো ৭ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে করতে হয়।

 

যত প্রকার হজ

১. ইফরাদ : শুধু হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওই ইহরামেই হজের সব আমল সম্পন্ন করা। ইফরাদ হজে কোরবানি করা মুস্তাহাব।

২. তামাত্তু : শুধু ওমরার নিয়তে ইহরাম ধারণ করে ওমরার কাজ শেষ করা। এরপর মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া। তারপর ওই সফরেই হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজের সব আমল সম্পাদন করা। তামাত্তু হজে কোরবানি করা ওয়াজিব।

৩. কিরান : একসঙ্গে ওমরা ও হজের নিয়তে ইহরাম ধারণ করে একই ইহরামে ওমরা ও হজ পালন করা। কিরান হজেও কোরবানি করা ওয়াজিব।

এই তিন প্রকারের মধ্যে ‘কিরান হজ’ উত্তম। কিন্তু ইহরাম দীর্ঘায়িত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞাবলি সঠিকভাবে মেনে চলতে না পারার আশঙ্কা থাকে। তাই তামাত্তু হজ করা ভালো। (ফতোয়ায়ে শামি, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৫২৯)।

 

ইহরাম

হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ইহরাম। ইহরাম হলো হজ ও ওমরার জন্য নির্ধারিত একটি অবস্থা। মিকাত নামক নির্ধারিত স্থানগুলো অতিক্রম করার আগে ইহরামের অবস্থা ধারণ করতে হয়। ইহরামের নির্দিষ্ট পোশাক ও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ইহরাম মানে কোনো জিনিসকে নিজের ওপর হারাম বা নিষিদ্ধ করে নেওয়া। হজ ও ওমরা পালনকারী ইহরাম বাঁধার মাধ্যমে নিজের ওপর স্ত্রী সহবাস, মাথার চুল, হাতের নখ, গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের চুল ইত্যাদি কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার, সেলাইযুক্ত কাপড় পরা এবং শিকার করাসহ কিছু বিষয় হারাম করে নেন; এজন্য একে ইহরাম বলে।  ইহরামের পোশাক পরা ইহরাম নয়, বরং নিয়তটাই ইহরাম।

 

তালবিয়া

‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুলক, লা-শারিকা লাক।’ অর্থ : আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির। কোনো শরিক নেই তোমার। আমি হাজির। নিশ্চয় সব প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই। সব সাম্রাজ্যও তোমার। কোনো শরিক নেই তোমার।

 

ওমরা

মক্কায় প্রবেশের পর সম্ভব হলে ওমরা শেষ করে নিতে হয়। ওমরার গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাওয়াফ করা। এটি ফরজ (সহিহ মুসলিম-২১৩৭)। কাবাঘরের চারপাশে সাতবার বৃত্তাকারে ঘোরাকে এক তাওয়াফ বলা হয়। প্রথম তিনবার ঘোরায় বীরত্ব প্রদর্শনে দ্রুত হেঁটে চলতে হয়। যাকে রমল বলে (সহিহ বোখারি-১৫০১)। এরপর ইজতিবা করা (ইহরামের কাপড় ডান হাতের নিচে দিয়ে বাঁ-কাঁধের ওপর রাখা) জরুরি। পরবর্তী চার তাওয়াফ স্বাভাবিকভাবে শেষ করতে হয় (তিরমিজি-৭৮৭)।

 

সাঈ

সাঈ মানে দ্রুত হাঁটা। সাফা পাহাড় থেকে শুরু করে মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে তা শেষ হয়। সর্বমোট সাতবার সাফা-মারওয়ায় দৌড়াতে হয়। এরপর মাথা মুণ্ডন করা ওয়াজিব। হজ শুরু হওয়ার কাছাকাছি সময় হলে চুল খাটো করে ফেলতে হয়। যাতে হজ শেষে আবার মাথা মুণ্ডন করা সম্ভব হয়। এরপর হাজিরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন। ইহরামের সময় নিষিদ্ধ কাজ থেকে অব্যাহতি পান।

 

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন

শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ

পবিত্র হজের অন্যতম ওয়াজিব বিধান হলো জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা। শয়তানকে উদ্দেশ করে হাজিরা তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। জামারায় তিন শয়তানকে ঘৃণাভরে প্রতীকী অর্থে এ পাথর নিক্ষেপ করেন তাঁরা। মিনায় গিয়ে তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন হাজিরা।  প্রথমত জামারাতুল আকাবা (শেষ জামারা), দ্বিতীয়ত জামারাতুল উস্তা (মধ্যম জামারা) এবং তৃতীয়ত জামারাতুল উলা (প্রথম জামারা)।

 

মহান আল্লাহ কাবা শরিফকে নিজের ঘর বলে ঘোষণা করেছেন

মূল কার্যক্রম

৮ জিলহজ : হজ পালনকারীরা ফজরের পর গোসল করেন। হজের নিয়ত করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েন। এরপর মিনার দিকে রওনা হন।

৯ জিলহজ : মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফার দিকে রওনা হন। ইমাম সাহেবের খুতবা শোনেন। মসজিদে নামিরার আশপাশে থাকার চেষ্টা করেন। জোহর ও আসরের নামাজ এক আজানে দুই ইকামতে কসর ও দুই ওয়াক্ত একসঙ্গে আদায় করেন।

মুজদালিফায় অবস্থান : মাগরিবের আজানের পর মুজদালিফার দিকে রওনা হন। পথে মাগরিবের সময় শেষ হয়ে গেলেও নামাজ না পড়ে মুজদালিফায় পৌঁছে পবিত্র হন। এরপর মাগরিব ও ইশার নামাজ কসর পড়েন। সঙ্গে বিতর পূর্ণ আদায় করেন। রাতে সুযোগ হলে অন্যান্য ইবাদত করেন। ৯ জিলহজ রাত ও ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। মুজদালিফা থেকে ৭০টি খেজুরের বিচি বা তার চেয়ে ছোট ধরনের পাথরখণ্ড সংগ্রহ করে নেন। মিনা থেকেও সংগ্রহ করা যায়।

১০ জিলহজ মিনার কার্যক্রম : এদিন শুধু বড় জামারায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। এটি ওয়াজিব। কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে জামারাকে বাঁ-পাশে রেখে কেবলামুখি হয়ে দোয়া করেন। কোরবানির টাকা আগে দিয়ে থাকলে কোরবানি হয়ে গেছে ভেবে মাথা মুণ্ডন করেন। সেক্ষেত্রে হালাল অবস্থায় ফেরা হয়। এদিন সম্ভব হলে এখান থেকেই কাবা গিয়ে ফরজ তাওয়াফ ও সাঈ করে মিনায় ফিরেন।

১১ জিলহজ : এদিন সূর্য ঢলার পর ২১টি কঙ্কর নিয়ে জামারার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ছোট জামারাকে সাতটি, মধ্যমকে সাতটি এবং বড়কে সাতটি করে মোট ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। যদি ১০ তারিখে তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকেন, তাহলে এদিন তাওয়াফ ও সাঈ করেন।

১২ জিলহজ : আগের দিনের মতো এ দিনও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। এ দিন মক্কায় ফিরেন। আগে তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকলে এদিন করতে পারেন।

১৩ জিলহজ : যদি এদিন মিনায় থাকেন, তাহলে আগের দিনের মতো আজও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করে মক্কায় ফিরেন। যদি তাওয়াফ ও সাঈ না করে থাকেন, তাহলে আজ তা পালন করতে পারেন। যদি এদিন মিনায় থাকেন, তাহলে ১৪ তারিখে আবারও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করে মক্কায় ফিরে আসেন।

বিদায়ী তাওয়াফ : তাওয়াফের নিয়ত করে কাবাঘরের হাজরে আসওয়াদের কোনা থেকে শুরু করে চারপাশে সাতবার ঘোরাকে তাওয়াফ বলা হয়। হাজিরা হজে গিয়েই প্রথমে তাওয়াফ করেন। একে ‘তাওয়াফে কুদুম’ বলে। এটি সুন্নত। বিদায়ী তাওয়াফ মক্কা ছাড়ার আগে করতে হয়।

রসুল (সা.)-এর রওজা জিয়ারত :

হজের আগে বা পরে অবশ্যই মদিনা মোনাওয়ারা ও রসুল (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করতে হয়। এখানে শুয়ে আছেন রসুলুল্লাহ (সা.)-সহ তাঁর অসংখ্য সাহাবি।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান

কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান

মসজিদুল হারাম : পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান মসজিদুল হারাম। এটি পবিত্র কাবাঘর ঘিরে অবস্থিত।  কাবাঘরের চারদিকে অবস্থিত তাওয়াফের স্থানকে ‘মাতাফ’ বা চত্বর বলা হয়। কাবার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মাতাফ থেকে দেড় মিটার ওপরে হাজরে আসওয়াদ। পাথরটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান। প্রায় এক হাত। এ পাথরটিই মাকামে ইবরাহিম বা ইবরাহিম (আ.)-এর দাঁড়ানোর স্থান। তিনি এর ওপর দাঁড়িয়ে কাবাঘর নির্মাণ করেছেন। ইবরাহিম (আ.)-এর অলৌকিকতার কারণে শক্ত পাথরটি ভিজে তাতে তাঁর পায়ের দাগ বসে যায়। আজও সেই ছাপ রয়েছে। কাবাঘরের উত্তরে অর্ধবৃত্তাকার উঁচু প্রাচীরে ঘেরা একটি স্থান রয়েছে। যাকে বলা হয় ‘হাতিম’। দুনিয়াতে আল্লাহর যত অনুপম নিদর্শন আছে, এর মধ্যে ‘জমজম কূপ’ অন্যতম। এর পানি সর্বাধিক স্বচ্ছ, উৎকৃষ্ট, পবিত্র ও বরকতময়। রসুল (সা.) বলেন, ‘জমজমের পানি হলো পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি। এতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যাধির আরোগ্য।’ (জামে কাবির-১১০০৪)।

মসজিদে নববি : মদিনায় রসুল (সা.) নিজেই একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। যা মসজিদে নববি হিসেবে পরিচিত। মসজিদে নববি মুসলমান শাসকদের দ্বারা বহুবার সংস্কার ও সম্প্রসারিত হয়েছে। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে মসজিদে নববির গম্বুজে রঙের আস্তরণ দিয়ে সবুজ বানান ওসমানি সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ।

সাফা-মারওয়া : সাফা-মারওয়া মক্কায় অবস্থিত প্রসিদ্ধ দুটি পাহাড়। হজ ও ওমরার অংশ হিসেবে দুই পাহাড়ের মাঝে সাতবার আসা-যাওয়া করতে হয়। একসময় মক্কায় কোনো বসতি ছিল না। চারপাশ ছিল ধু-ধু মরুভূমি।  আল্লাহর নির্দেশে তখন ইবরাহিম (আ.) তাঁর স্ত্রী হাজেরা ও পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সেখানে রেখে আসেন। হাজেরা ইবরাহিম (আ.)-কে বললেন, ‘আপনি আমাদের কার কাছে রেখে যাচ্ছেন?’ ইবরাহিম (আ.) বললেন, ‘আল্লাহর কাছে।’ হাজেরা বললেন, ‘আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ হাজেরার কাছে অল্প কিছু খাবার ও পানি ছিল। দেখতে দেখতে একসময় তা ফুরিয়ে গেল। চারদিকে ছিল কাঠফাটা রোদ। উত্তপ্ত বালুকণা। এদিকে তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাইল। ব্যাকুল হয়ে পড়েন হজরত হাজেরা। ছেলের তেষ্টা মেটাতে দিগি¦দিক ছুটে বেড়ান। একবার সাফা পাহাড়ে ওঠেন, আবার সেখান থেকে নেমে আসেন। ফিরে দেখেন কলিজার টুকরা শিশুকে। ঢালুতে এসে ইসমাইল (আ.) চোখের আড়াল হয়ে যেত। তাই দৌড়ে পর্বত পেরোতেন। চড়তেন মারওয়ায়। এভাবে সাতবার দৌড়ান। আল্লাহর কাছে হাজেরার এ কাজ খুবই পছন্দ হলো। শেষ নবীর উম্মতের জন্য তা অবধারিত করলেন।

আরাফা : মক্কা থেকে ১৫ মাইল পূর্বে তায়েফের পথে অবস্থিত এক মরূদ্যান আরাফা। ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত জাবালে রহমত। আরাফা শব্দের অর্থ পরিচিতি। হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.) মহান আল্লাহর নির্দেশে জান্নাত থেকে বেরোনোর পর পৃথিবীতে পরস্পরকে খুঁজতে খুঁজতে আরাফায় এসে মিলিত হন। এ কারণে এর নাম আরাফা। জিলহজ মাসের ৯ তারিখকে আরাফার দিন বলা হয়। আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজ। আরাফার দিনটি মূলত হজের দিন।

মিনা : মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। আর আরাফার ময়দান থেকে মিনা ১৬ কিলোমিটার। হজ সম্পন্ন করতে হাজিদের প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের কাজটি মূলত ইবরাহিম (আ.)-এর অনুসরণে প্রতীকী আমল হিসেবে করা হয়। ইবরাহিম (আ.) যখন স্বপ্নযোগে তাঁর প্রিয় বস্তু আল্লাহর জন্য কোরবানি করতে আদেশ পান, তখন তিনি কয়েকবার উট কোরবানি করেন। এরপরও তাঁকে স্বপ্নে কোরবানির আদেশ দেওয়া হয়। তিনি বুঝলেন, তাঁর সন্তান ইসমাইলের কথা বলা হচ্ছে। কারণ, তখন তাঁর কাছে ইসমাইলের চেয়ে প্রিয় অন্য কিছু ছিল না। তিনি ছেলেকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করতে মিনায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় শয়তান তাঁকে বিপথে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত হয়। সে মিনার তিনটি স্থানে ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-কে কুমন্ত্রণা দিল। তাঁদের আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করল। কুমন্ত্রণার বিপরীতে তিনি সেই তিন স্থান থেকে পাথর নিক্ষেপ করে শয়তানকে বিতাড়িত করেন।

জমজমের কূপ এক বিস্ময়

জমজমের কূপ এক বিস্ময়

মুসলমানদের কাছে জমজমের পানি অতি বরকতময় ও পবিত্র। হাদিসে এ পানির অশেষ কল্যাণ ও বরকতের কথা উল্লেখ রয়েছে। মক্কার মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত জমজম কূপ। এই কূপের কাছে একটি শক্তিশালী পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হয়। লাখ লাখ মানুষ তৃপ্তিভরে পানি পান করেন এবং পাত্রে ভরে নিয়ে যান। কাবা শরিফের বিভিন্ন জায়গায় পাইপলাইনের মাধ্যমেও জমজমের পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে জমজম কূপের উৎপত্তি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। নবী হজরত ইবরাহিম (আ.) তাঁর স্ত্রী হাজেরা (আ.) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে মক্কার বিরান মরুভূমিতে রেখে আসেন। তাঁর রেখে যাওয়া খাদ্য, পানীয় শেষ হয়ে গেলে হজরত হাজেরা পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে ছোটাছুটি করেছিলেন। এ সময় হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে ভূমি থেকে পানি বেরিয়ে আসে। অন্য একটি বর্ণনানুসারে, আল্লাহ জিবরাইল (আ.)-কে সেখানে প্রেরণ করেন, জিবরাইলের পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানির ধারা বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে এই দৃশ্য দেখে হাজেরা (আ.) পাথর দিয়ে পানির ধারা আবদ্ধ করলে তা কূপে রূপ নেয়। জমজম কূপ বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়। প্রথম থেকে এটি বালু ও পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় এর ওপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরও সংস্কার করেন। ২০১৭-১৮ সালে সৌদি বাদশাহ এটি সংস্কার করেন। বর্তমানে কূপটি কাবা চত্বরে দেখা যায় না। এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং কূপটি থেকে পাম্পের সাহায্যে প্রতিদিন ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তোলিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে শৈশবে মহানবী (সা.)-এর বক্ষ বিদারণ বা সিনা চাক করে কলিজার একটি অংশ বের করে তা এই জমজম কূপের পানিতে ধুয়ে আবার যথাস্থানে স্থাপনের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
আবিষ্কারের কাহিনি
আবিষ্কারের কাহিনি
প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ ও বিতর্কিত ধারণা
প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ ও বিতর্কিত ধারণা
বিশ্বখ্যাত ঐতিহাসিক চত্বর
বিশ্বখ্যাত ঐতিহাসিক চত্বর
এআই কীভাবে রাজনীতিকে প্রতারণাপূর্ণ করে তুলছে
এআই কীভাবে রাজনীতিকে প্রতারণাপূর্ণ করে তুলছে
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশি নির্বাচনি প্রচারণার এআই ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশি নির্বাচনি প্রচারণার এআই ভিডিও
নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
নির্বাচনি প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
স্ক্যাল্পেও চাই সানস্ক্রিন
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
বয়স ৪০, এখনো ব্রণের সমস্যা
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
সোনিয়া রহমান রন্ধনশিল্পী
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
৩৩০০ বছর পরেও নেফারতিতি এখনো বেশ অনুপ্রেরণীয়
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
মুখমণ্ডলের লোম অপসারণ : কী পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা
কখন থেকে সানগ্লাস
কখন থেকে সানগ্লাস
সর্বশেষ খবর
শেষ টেস্টে ছিটকে গেলেন স্টোকস
শেষ টেস্টে ছিটকে গেলেন স্টোকস

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

১৬ বছরের কম বয়সীদের ইউটিউব ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সীদের ইউটিউব ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেটার এআই টুল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইতালি
মেটার এআই টুল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইতালি

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত
ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল-সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকবে : মেয়র শাহাদাত
জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল-সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকবে : মেয়র শাহাদাত

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জয়পুরহাটে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
জয়পুরহাটে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ে বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান
পঞ্চগড়ে বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিএমপির তিন ওসির রদবদল
সিএমপির তিন ওসির রদবদল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফরিদপুরে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি
ফরিদপুরে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবিতে দল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মস্থলে বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকারিতা
শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বাউবিতে দল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মস্থলে বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকারিতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের তৎপরতা
নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের তৎপরতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধোঁকা দেয়ার চিন্তা মনে হয় না কোনো দলের আছে : সালাহউদ্দিন
ধোঁকা দেয়ার চিন্তা মনে হয় না কোনো দলের আছে : সালাহউদ্দিন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিরল সীমান্তে ২ বাংলাদেশি আটক
বিরল সীমান্তে ২ বাংলাদেশি আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদক পাচারের চেষ্টাকালে আটক ৩
মাদক পাচারের চেষ্টাকালে আটক ৩

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার
কলাপাড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাঘ মহড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
মোংলায় বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাঘ মহড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
রাজাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল
এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন ওয়ারেন্ট চায় প্রসিকিউশন
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন ওয়ারেন্ট চায় প্রসিকিউশন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,৩১৬
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,৩১৬

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কে দিদারুলকে স্মরণ, মরণোত্তর পদোন্নতির দাবি
নিউইয়র্কে দিদারুলকে স্মরণ, মরণোত্তর পদোন্নতির দাবি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন
চার খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিধিভঙ্গের ৫১ অভিযোগ
এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিধিভঙ্গের ৫১ অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমাদের প্রধান লক্ষ্য সব যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা : বিআরটিএ চেয়ারম্যান
আমাদের প্রধান লক্ষ্য সব যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা : বিআরটিএ চেয়ারম্যান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন হামলার হুমকিতে উদ্বেগ রাশিয়ার
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন হামলার হুমকিতে উদ্বেগ রাশিয়ার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের পর সক্রিয় হয়ে উঠল রাশিয়ার ক্লুচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি
ভূমিকম্পের পর সক্রিয় হয়ে উঠল রাশিয়ার ক্লুচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
৫ আগস্ট দুপুরে বুঝতে পারি, হাসিনার পতন হবে: জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন
৫ আগস্ট দুপুরে বুঝতে পারি, হাসিনার পতন হবে: জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিবি হারুনকে ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আইজিপির জবানবন্দি
ডিবি হারুনকে ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আইজিপির জবানবন্দি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ
একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে রাখার বিষয়টি জানতাম: জবানবন্দিতে মামুন
ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে রাখার বিষয়টি জানতাম: জবানবন্দিতে মামুন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী
হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার
১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস
বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর
রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু
অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক
মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ
রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে
পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুদকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ
দুদকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করলো ছাত্রদল
এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করলো ছাত্রদল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি
কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি
সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের
‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির আঘাত
রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির আঘাত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় বিপদের আশঙ্কায় সরানো হলো ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের
বড় বিপদের আশঙ্কায় সরানো হলো ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত এগারো মাসে কে কি করেছে তা প্রকাশ করুন: জয়নুল আবদিন ফারুক
গত এগারো মাসে কে কি করেছে তা প্রকাশ করুন: জয়নুল আবদিন ফারুক

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ বৃহস্পতিবার
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ বৃহস্পতিবার

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যেভাবে একদিনে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার খোয়ালেন মেক্সিকান ধনকুবের!
যেভাবে একদিনে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার খোয়ালেন মেক্সিকান ধনকুবের!

৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে
শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে

সম্পাদকীয়

মুরাদনগর রণক্ষেত্র
মুরাদনগর রণক্ষেত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐক্য অনৈক্যের জুলাই সনদ
ঐক্য অনৈক্যের জুলাই সনদ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঘরে ঘরে জ্বরে ভুগছে মানুষ
ঘরে ঘরে জ্বরে ভুগছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকারের যাওয়ার সময় এসেছে
অন্তর্বর্তী সরকারের যাওয়ার সময় এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

চালবাজি বন্ধে কঠোর সরকার
চালবাজি বন্ধে কঠোর সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

পেছনের পৃষ্ঠা

মাফিয়া আমলার সাতকাহন
মাফিয়া আমলার সাতকাহন

প্রথম পৃষ্ঠা

লালমনিরহাটে হাজারো পরিবার পানিবন্দি
লালমনিরহাটে হাজারো পরিবার পানিবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মায় ধরা পড়ল এক মণ ওজনের ডলফিন
পদ্মায় ধরা পড়ল এক মণ ওজনের ডলফিন

পেছনের পৃষ্ঠা

অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন আর নেই
অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন আর নেই

নগর জীবন

গোলাম আকবরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি
গোলাম আকবরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি

নগর জীবন

বাড়ছে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার
বাড়ছে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার

পেছনের পৃষ্ঠা

ইউরোপে অবৈধ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
ইউরোপে অবৈধ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

৩৯ আসনে সীমানা পরিবর্তন
৩৯ আসনে সীমানা পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে সোনার রিজার্ভ ২ হাজার ৬১১ কেজি
দেশে সোনার রিজার্ভ ২ হাজার ৬১১ কেজি

পেছনের পৃষ্ঠা

কেমন আছেন মিথিলা
কেমন আছেন মিথিলা

শোবিজ

কাকে খুঁজছেন তমা
কাকে খুঁজছেন তমা

শোবিজ

জাগপার শফিউল আলম প্রধানের বোন আর নেই
জাগপার শফিউল আলম প্রধানের বোন আর নেই

খবর

রাজনীতির ডামাডোলে নীরবে বাড়ছে ডেঙ্গু
রাজনীতির ডামাডোলে নীরবে বাড়ছে ডেঙ্গু

রকমারি নগর পরিক্রমা

রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা
রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা

সম্পাদকীয়

গঙ্গাচড়ায় হামলায় গ্রেপ্তার ৫
গঙ্গাচড়ায় হামলায় গ্রেপ্তার ৫

পেছনের পৃষ্ঠা

কুসুমের মুগ্ধতা
কুসুমের মুগ্ধতা

শোবিজ

বাংলাদেশ-মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ ‘টাইগার লাইটনিং’ সম্পন্ন
বাংলাদেশ-মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ ‘টাইগার লাইটনিং’ সম্পন্ন

খবর

এ টি এম ভাই বললেন তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে : ইলিয়াস কাঞ্চন
এ টি এম ভাই বললেন তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে : ইলিয়াস কাঞ্চন

শোবিজ

টাঙ্গাইলে এনসিপির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে এনসিপির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

খবর

ভারতে যাওয়ার সময় আটক
ভারতে যাওয়ার সময় আটক

দেশগ্রাম