বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কার কত বিমান

তানভীর আহমেদ

কার কত বিমান

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন যুক্ত হওয়া অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’

বাংলাদেশের যত এয়ারলাইন্স

বাংলাদেশি পতাকাবাহী বিমান ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’। ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি একটি ডিসি-৩ বিমান নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রা শুরু। ২০০৭ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। এখন বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে এয়ারলাইন্স সেবা প্রদান করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের কেন্দ্রীয় এয়ারপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করছে শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, শাহ আমানত ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম ও ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, সিলেট। অন্যদিকে বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স— এই তিনটি এয়ারলাইন্স কোম্পানি তাদের কেন্দ্রীয় এয়ারপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করছে শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সে এখন সচল বিমানের সংখ্যা ১১টি। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ৪টি, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের ১টি ও স্মার্ট এভিয়েশন থেকে পাঁচ বছরের লিজে আছে বোমবার্ডেয়ার ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ মডেলের ২টি বিমান আকাশে যাত্রী সেবা প্রদান করছে। ইতিমধ্যে অর্ডার করা বিমানের সংখ্যা আরও ৬টি। এগুলোর মধ্যে অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের  বিমান ৩টি ও  বোমবার্ডেয়ার ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ মডেলের ৩টি বিমান রয়েছে। নিচে উইকিপিডিয়ার হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী বেসরকারি তিনটি বিমান সংস্থার বিমানের সংখ্যা উল্লেখ করা হলো। নভোএয়ার ৮টি গন্তব্যে ৬টি বিমান দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এটিআর ৭২-৫০০ ৬টি বিমান রয়েছে তাদের। নতুন আরও ২টি বিমান তাদের বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ১৩টি গন্তব্যে ৮টি বিমান দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তাদের বহরে রয়েছে বোয়িং ৭৩৭-৭০০, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও বোমবার্ডেয়ার ড্যাস ৮ কিউ ৩০০ মডেলের বিমান।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ১৫টি গন্তব্যে ৭টি বিমান দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমান সংস্থাটি ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই প্রথম দুটি উড়োজাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তাদের বহরে রয়েছে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও বোমবার্ডেয়ার কিউ ৪০০ মডেলের বিমান। এ ছাড়া চার্টার এয়ারলাইন্স হিসেবে রয়েছে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স। এটির হাব এয়ারপোর্ট শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। বাংলাদেশ থেকে কার্গো সেবা  প্রদানকারী এয়ারলাইন্সগুলো হলো, বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্স, ইজি ফ্লাই এক্সপ্রেস, হ্যালো এয়ার (বাংলাদেশ) ও স্কাই এয়ার। সর্বাধুনিক বিমান হিসেবে বাংলাদেশ বিমানে যুক্ত হওয়া ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার নিয়ে সবার মধ্যেই কৌতূহল রয়েছে। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। এটি ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম। আকাশবীণায় আসন সংখ্যা রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন।

 

এমিরেটস এয়ারলাইন্স

১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে এমিরেটস এয়ারলাইন্স। এ সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিলাসবহুল বিমানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এমিরেটস। আরব আমিরাতের দুবাইকে কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করে এমিরেটস। বিশ্বের ১৮০টি গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়ে এই এয়ারলাইন্স। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন্স হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী তারা। বিশ্বের ৮১টি দেশে, ১৪০টি শহরে যাত্রী পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা সফল। এমিরেটস এখন বিশ্বের চার নম্বর বৃহৎ বিমান পরিবহন সেবা প্রদানকারী এয়ারলাইন্স। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে এয়ারবাস এ৩৮০ উড়ে যাওয়ার দৃশ্য এমিরেটসকে ব্র্যান্ড হিসেবে গোটা বিশ্বে পরিচিত করেছে। ২৫৬টি বিমান রয়েছে তাদের বহরে। এর মধ্যে ১০৩টি বিমানই এয়ারবাস এ৩৮০ মডেলের। বিশ্বের আর কোনো এয়ারলাইন্সের এতগুলো এই মডেলের এয়ারবাস নেই। ইতিমধ্যে বোয়িং বি ৭৭৭এক্স মডেলের বিমান অর্ডার করে এমিরেটস সবাইকে চমকে দিয়েছে।

 

আমেরিকান এয়ারলাইন্স

আমেরিকান এয়ারলাইন্স গ্রুপের এয়ারলাইন্সে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি। বিশাল এই এয়ারলাইন্সের নিজস্ব বিমান রয়েছে ৯৫১টি। তাদের পরিচালনায় বিমানের সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৪টি। ১০টি এয়ারপোর্ট থেকে তারা এই বিশালসংখ্যক বিমান পরিচালনা করে থাকে। তাদের প্রধান হাব এয়ারপোর্টগুলোর মধ্যে আলোচিত— মায়ামি, ওয়াশিংটন, শিকাগো, নিউইয়র্ক জনএফ কেনেডি বিমানবন্দর। সারাবিশ্বে জালের মতো ছড়িয়ে আছে তাদের ফ্লাইটগুলো। প্রায় ৩৫০টি গন্তব্যে আমেরিকা থেকে ছেড়ে যায় তাদের বিমানগুলো। ৯৫টি দেশীয় ও ৯৫টি আন্তর্জাতিক রুট বা আকাশপথ ব্যবহার করে। বিশ্বের ৫৫টি দেশে সরাসরি বিমান পরিচালনা করে আমেরিকান এয়ারলাইন্স লাখ লাখ যাত্রীর কাছে জনপ্রিয়  হয়ে ওঠে।

 

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স

বিশ্বের শীর্ষ এয়ারলাইন্স সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় এই এয়ারলাইন্সে রয়েছে এয়ারবাস এ৩৩০, এয়ারবাস এ৩৫০, এয়ারবাস এ৩৮০, বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৮৭ সিরিজের বিমান। বিমানের পাঁচ পরিবারের পাঁচটি মডেলের বিমান দিয়ে সাজানো সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। মাত্র ১২২টি বিমান দিয়ে সারা বিশ্বে রাজত্ব করছে তারা। নিরাপদ ও যাত্রীসেবায় নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে বলেই এত কম বিমান থাকা সত্ত্বেও তারা বিশ্বের সেরা এয়ারলাইন্স সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস, ইকোনমি ক্লাসের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স আলোচিত তাদের কেবিন ও কেবিন স্যুইট সেবার জন্য। বিলাসবহুল আয়োজন রয়েছে এই দুটি ক্লাসে। এয়ারবাস এ৩৮০ বিমানে নতুন করে কেবিন যোগ করে সেখানে রাখা হয়েছে এলসিডি টিভি, শোয়ার বিছানা, ব্যক্তিগত কেবিনেট। স্যুইটগুলোয় ডাবল বেডের বিছানা, নিজস্ব ঝাড়বাতি, শেলফ, এলসিডি টিভিসহ ব্যক্তিগত হোটেল রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন তারা প্রায় ৬৪টি গন্তব্যে ১২২টি বিমান নিয়ে যাত্রী পরিসেবা প্রদান করছে। ২০১৮ সালের সেরা এয়ারলাইন্স হিসেবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছি এটি। এ ছাড়া এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলোর সম্মানসূচক তিনটি ক্যাটাগরিতেই তারা সেরা নির্বাচিত হয়। এগুলো ছিল, বেস্ট ফার্স্ট ক্লাস, বেস্ট ফার্স্ট ক্লাস এয়ারলাইন্স সিট এবং বেস্ট এয়ারলাইন্স ইন এশিয়া। এয়ার এ৩৮০ উন্নত করে ২০২০ সালে নতুন রূপে আসতে চায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। তারা কমপক্ষে ৫টি বিমানে স্যুইট, বিজনেস ক্লাস এবং প্রিমিয়াম ইকোনমি সিট দিয়ে সাজাতে চাচ্ছে এয়ারবাস এ৩৮০ মডেলের বিমানটিকে। দ্বিতল বিমানের আদলে স্যুইট ও বিজনেস ক্লাসকে রাখা হবে। ক্যাটারিংয়েও সবার চেয়ে এগিয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। স্যুইট ও বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণকারীদের জন্য বিশেষ খাবার অর্ডার করার সুযোগ রয়েছে তাদের। যারা অল্প খরচে ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্যও রয়েছে কম মূল্যে ফাইভস্টার রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন খাবার।

 

কাতার এয়ারওয়েজ

বিলাসবহুল বিমান পরিসেবার কথা উঠলে শুরুতেই থাকবে কাতার এয়ারওয়েজ। বিশ্বের সেরা এয়ারলাইন্স সংস্থার তালিকাতেও রয়েছে এই এয়ারলাইন্স। বিমান নিরাপদে নামানো পাইলটদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে। সেই চ্যালেঞ্জে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে তারা। এ ছাড়া সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও বিশ্বস্ত কাতার এয়ারওয়েজ। দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে হাব বা পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। ১৫০টির বেশি গন্তব্যে ২২০টি বিমান দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজ। তাদের বিমানবহরে প্রায় সব ধরনের যাত্রী বহনকারী বিমান রয়েছে। এয়ারবাস এ৩২০-২০০, এয়ারবাস এ৩৩০-২০০, এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০, বোয়িং ৭৭৭-৮, বোয়িং ৭৭৭-৯, বোয়িং ৭৮৭-৮, বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের বিমান রয়েছে তাদের। কাতার এয়ারওয়েজ তাদের কিছু বিমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ওয়াইফাই সেবা দিয়ে আলোচনায় এসেছিল। মোবাইল বন্ধ থাকলেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার এই সুবিধা যোগ করা হয় এয়ারবাসের কয়েকটি বিমানে। তবে কাতার এয়ারওয়েজ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বিশেষ ফ্লাইট চালু করার জন্য। শুধু ধনকুবের জন্য তারা মিডল ইস্ট এয়ারলাইন্স, রয়েল এয়ার মারোক ও গল ট্রান্সপোর্টসের সঙ্গে চুক্তি করে। লাউঞ্জ সেবায় কাতার এয়ারওয়েজ বিমানের সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্ট, ব্যক্তিগত মদের বার নিয়ে আসেন ধনকুবেরদের জন্য। এ ছাড়া সেভেন স্টার ক্লাস যাত্রীদের জন্য তারা প্রদান করে সেভেন স্টার হোটেলে থাকা সব ধরনের আরাম ও বিনোদন সুবিধা।

 

টার্কিস এয়ারলাইন্স

বিশ্বের ১২০টি দেশে যাত্রী পরিবহন করে টার্কিস এয়ারলাইন্স। প্রথম সারির এই এয়ারলাইন্স সেবা প্রদানকারী সংস্থাটিতে কাজ করে ৩০ হাজারের বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিশ্বের নানা প্রান্তে তাদের ৩২৭টি বিমান উড়ে যায়। ৩০২টি গন্তব্যে এখন টার্কিস এয়ারলাইন্স যাত্রী পৌঁছে দিচ্ছে। প্রায় ৮৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত টার্কিস এয়ারলাইন্স বিশ্বের অন্যতম পুরনো ও বিশ্বস্ত এয়ারলাইন্স কোম্পানি। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও আফ্রিকা— সবখানেই তাদের ফ্লাইট রয়েছে। একটি এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি গন্তব্যে উড়ে যাওয়া বিমান টার্কিস এয়ারলাইন্স। তাদের ১৫টি কার্গো বিমান ৭৬টি গন্তব্যে মালামাল নিয়ে যায়। এয়ারবাস এ৩১৯-১০০,  এয়ারবাস এ৩২০-২০০, এয়ারবাস ৩২১ নিউ, এয়ারবাস এ৩৩০-২০০, এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০, বোয়িং ৭৩৭-৯০০ ইআর, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ বোয়িং ৭৭৭-৮, বোয়িং ৭৭৭-৯, বোয়িং ৭৮৭-৮, বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের বিমান দিয়ে সাজানো তাদের বহর। ইস্তানবুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে টার্কিস এয়ারলাইন্স তাদের যাত্রী পরিবহন সেবা প্রদান করে থাকে। ৪৫টিরও বেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি থাকায় তারা আকাশপথে বিশাল রাজত্ব গড়ে তুলেছে। কানাডা, চীন, ব্রাজিল, হাওয়াই, ইরান, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে তাদের ফ্লাইট রয়েছে। রয়েল ব্রুনাই এয়ারলাইন্স, রয়েল মারোক, রয়েল জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধ থাকায় বিলাসবহুল ফ্লাইট পরিচালনা করে তারা। বিশ্বের প্রথম সারির এয়ারলাইন্স হিসেবে এটি বরাবরই আলোচিত।

 

ইতিহাদ এয়ারওয়েজ

ইতিহাদ এভিয়েশন গ্রুপের ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বিশ্বের ৮৪টি গন্তব্যে উড়ে যায়। আরব আমিরাতের এই বিলাসবহুল বিমান পরিসেবা কোম্পানিটিতে রয়েছে ১১০টি বিমান। এয়ারবাস এ৩২০-২০০, এয়ারবাস এ৩২১-২০০, এয়ারবাস ৩২১ নিও, এয়ারবাস এ৩৩০-২০০, এয়ারবাস এ৩৩০-৩০০, এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০, এয়ারবাস এ৩৫০-১০০০, বোয়িং ৭৭৭-৮, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, বোয়িং ৭৮৭- ৮, বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের সর্বাধুনিক বিমান দিয়ে সাজানো ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। তাদের এয়ারবাস এ৩৮০ মডেলে ইতিহাদ রেসিডেন্স (আবাসন) সুবিধা রয়েছে। এখানে ১২৫ বর্গফুটের একটি কক্ষ ব্যবহার করতে পারেন বিলাসী যাত্রীরা। আছে ফার্স্ট অ্যাপার্টমেন্ট সুবিধা। এখানে রয়েছে রোলিং চেয়ার, টিভি, মদের বার, কেবিনেট সুবিধা। ইতিহাদের বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলে ফার্স্ট স্যুইট সুবিধাও রয়েছে। ব্যক্তিগত ওয়ারড্রোব, মদের বার, খাওয়ার টেবিল, বিছানা সবই পাওয়া যায়। ২০০৬ সালে ইতিহাদ দুবাইয়ের ধনকুবের যাত্রীদের জন্য রয়্যাল প্রোগ্রাম নামে এয়ারলাইন্স সেবা প্রদান শুরু করে। এই বিমানে ব্যক্তিগত চাহিদামতো যাত্রীর জন্য গোটা বিমান ভাড়া দেওয়া হয়। বিমানে বসানো হয় সুইমিং পুল, ছোট সিনেমা হল, ক্যাসিনো, মদের বার, ওয়ারড্রোব, খাওয়ার টেবিল ও দামি বিছানা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর