শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১১ মে, ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

পাকিস্তান ও ভারতের সামরিক সংঘাতের ইতিহাস বেশ পুরোনো। এর প্রধান কারণ কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ। এ ছাড়া দেশ ভাগ, ধর্ম ও আদর্শিক কিছু বিভেদ দেশ দুটিকে বারবার যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘাতে জড়াল তারা।  পেহেলগামে হামলার মধ্য দিয়ে শুরু; এখন রীতিমতো বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। এ সংঘাতের শুরু, অস্থিতিশীলতা, প্রত্যেকের সামরিক অবস্থানসহ প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে আজকের আয়োজন-

 

পেহেলগামে

দুই দেশের মধ্যে যত যুদ্ধ

হিন্দু-মুসলিম দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে জড়িয়েছে...

১৯৪৭ সালের দেশভাগ : দুই শতাব্দীর ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট জন্ম নেয় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান। এ বিভাজন বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ঘটে। ফলে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্থানচ্যুত হন। কাশ্মীরের শাসক তখন সিদ্ধান্ত নিতে না পারায়, পাকিস্তানপন্থি যোদ্ধারা কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে। রাজা ভারতের সহায়তা চাইলে ভারতও সামরিক হস্তক্ষেপ করে। শুরু হয় দুই দেশের প্রথম যুদ্ধ। ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয় যুদ্ধবিরতি রেখা দিয়ে; যা পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি নামে পরিচিতি পায়।

১৯৬৫ সালের দ্বিতীয় যুদ্ধ : পাকিস্তান ১৯৬৫ সালের আগস্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালালে যুদ্ধ শুরু হয়। হাজার হাজার প্রাণহানির পর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ : ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার দাবিতে শুরু হয় গণআন্দোলন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তা দমন করতে অভিযান চালায়। ৯ মাসব্যাপী সশস্ত্র সংগ্রামে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। লক্ষাধিক মানুষ ভারতে শরণার্থী হন। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

১৯৮৯-৯০ সালে কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা : ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী দশকগুলোতে বিপুলসংখ্যক সেনা, বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। ভারত অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান এ বিদ্রোহীদের আর্থিক সহায়তা ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে।

১৯৯৯ সালের কারগিল সংঘাত : কারগিল অঞ্চলে পাকিস্তান-সমর্থিত বাহিনী ভারতের সামরিক পোস্ট দখলে নেয়। এ সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক অস্ত্র আংশিক প্রস্তুত রেখেছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য উঠে আসে। ওয়াশিংটনের চাপ ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের কারণে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত পিছু হটে। ১০ সপ্তাহের সংঘর্ষে প্রায় এক হাজার প্রাণহানি হয়।

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা ও বিমান হানা : কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন ভারতীয় নিরাপত্তা সদস্য নিহত হন। সে সময় ভারতে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছিল। ভারত এর জবাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানোর দাবি করে। পাকিস্তান একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়ে দেয়। পাইলটকে আটক করে। পরে কয়েক দিনের মধ্যে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

২০২৫ সালের অপারেশন সিঁদুর : সর্বশেষ গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার জেরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে ভারত। হামলায় ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার দাবি করে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ১০ জন নিহত হয় বলে দাবি করে ইসলামাবাদ।

 

কী নিয়ে বিরোধ

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের কথা। বিভক্তির মধ্য দিয়ে ভারত প্রজাতন্ত্র ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান স্বাধীন দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এরপর থেকে দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধ হয়। মূলত ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের মূল কারণ কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। ভারত-পাকিস্তান প্রথম যুদ্ধ হয় ১৯৪৭-১৯৪৮ সালে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়। জম্মু ও কাশ্মীর দেশীয় রাজ্যের অবসান ঘটে।

 

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অস্থিরতার কারণ

কাশ্মীরের ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশ আসলে কার অধীনে থাকা উচিত, তা নিয়ে মতভেদ গভীর ও তীব্র। কেউ চান স্বাধীনতা, কেউ চান পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হতে। ধর্ম একটা বড় কারণ। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য। সেখানে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল ৭০ শতাংশের ওপরে। এখন তা কমে ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। ১৯৮৯ সাল থেকে অঞ্চলটিতে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন চলছে। এতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কাশ্মীরে সশস্ত্র আন্দোলনে জড়িতদের জঙ্গি আখ্যা দেয় ভারত। ভারত দীর্ঘদিন ধরে তাদের মদত দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যদিও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে। ২০১৯ সালে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল করে।

 

পাল্টাপাল্টি হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘ : জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতের সামরিক অভিযানের বিষয়ে মহাসচিব খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি দুই দেশকে সামরিক দিক থেকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের ভার বিশ্ব বহন করতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্র : ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করি, এ পরিস্থিতি দ্রুত শেষ হবে। ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্ব একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোবে।

চীন : চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান এমন দুই প্রতিবেশী, যাদের আলাদা করা যায় না। তারা চীনেরও প্রতিবেশী। চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। আমরা ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার, শান্ত ও সংযত থাকার এবং জটিল পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

রাশিয়া : রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রাশিয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও তার যে কোনো বহিঃপ্রকাশের তীব্র নিন্দা করে। এটিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সমাধানের পক্ষে। আমরা আশা করছি, দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে চলমান মতবিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে।

ফ্রান্স : ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারো দিল্লি ও ইসলামাবাদকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে একটি ফরাসি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের অভিশাপ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য ভারতের আকাক্সক্ষা আমরা বুঝি। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধি হওয়া থেকে এড়াতে এবং অবশ্যই বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই সংযমের আহ্বান জানাচ্ছি।

জাপান : বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানও সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, আমাদের দেশ এ ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করে। কিন্তু এ পরিস্থিতি আরও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দিকে দুই দেশকে পরিচালিত করতে পারে। একটি পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘাতের দিকে তারা এগিয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই সংযম প্রদর্শনের এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার আহ্বান জানাচ্ছি।

পেহেলগামে

কাশ্মীরের কত অংশ কার দখলে

পাকিস্তান কাশ্মীরের এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। বাকি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত। অধিকৃত এলাকার লাইন অব কন্ট্রোল জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত করে। ভারত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের (১ লাখ ১ হাজার ৩৮৭ বর্গ কিলোমিটার) নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর (১৩ হাজার ৩৯৭ বর্গ কিলোমিটার) ও গিলগিত-বালতিস্তান (৭২ হাজার ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার) অঞ্চলদ্বয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

 

সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে

বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি-সংক্রান্ত ইউরোপভিত্তিক বিশ্লেষণধর্মী সংবাদমাধ্যম আমর্ডফোর্সেসডটইইউ জানায়, ১২৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের বর্তমান সামরিক বাজেট প্রায় ৫৬ বিলিয়ন ডলার। পক্ষান্তরে ১৯ কোটি লোকের দেশ পাকিস্তানের সামরিক বাজেট ১০ বিলিয়ন ডলার।

পরমাণু বোমা : সংবাদমাধ্যমটির হিসাবে ভারতের হাতে রয়েছে ১১০ থেকে ১২০টি পরমাণু বোমা। আর পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১২০ থেকে ১৩০টি পরমাণু বোমা।

সৈন্য সংখ্যা : ভারতের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ২১ লাখ ৪০ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার সৈন্য। এ ছাড়া যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মিলবে ৩১ কোটি সেনা। অপরদিকে পাকিস্তানে সক্রিয় সৈন্য রয়েছে ৬ লাখ ৫৩ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার সৈন্য। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশটিতে মিলবে ৪ কোটি সেনা।

স্থলবাহিনী : ভারতের স্থলবাহিনীর হাতে রয়েছে ৪ হাজার ৪২৬টি ট্যাঙ্ক। সামরিক যান রয়েছে ৫ হাজার ৬৮১টি। রকেট আর্টিলারি রয়েছে ২৯২টি। পাকিস্তানের স্থলবাহিনীর রয়েছে ২ হাজার ৭৩৫টি ট্যাঙ্ক। সামরিকযান রয়েছে ৩ হাজার ৬৬টি। রকেট আর্টিলারি রয়েছে ১৩৪টি।

বিমান বাহিনী : ভারতের যুদ্ধবিমান রয়েছে ২ হাজার ২১৬টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ায় তৈরি মিগ-২১, মিগ-২৭, মিগ-২৯, সুখোই-৩০এমকেআই, ব্রিটেন-ফ্রান্সের তৈরি জাগুয়ার এবং ফ্রান্সের তৈরি মিরেজ ২০০০। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান রয়েছে ১ হাজার ১৪৩টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চীনের তৈরি এফ-৭পিজি এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ ফেলকন।

নৌবাহিনী : ভারতের নৌবাহিনীর রয়েছে ১৫টি সাবমেরিন, ১৫টি ফ্রিগেট, ১১টি ডেস্ট্রয়ার এবং বিমানবহনকারী জাহাজ ২টি। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের রয়েছে ৫টি সাবমেরিন এবং ৯টি ফ্রিগেট।

 

সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে

ভারতের অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ। ভারত-শাসিত এই কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা হয় চলতি বছরের এপ্রিলের ২২ তারিখ। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত। এর ঠিক ১৫ দিন পরে মাঝরাতে ২৫ মিনিট ধরে পাকিস্তানের নির্দিষ্ট কিছু স্থাপনা লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ভারত। ভারত তাদের এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নাম দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর। ভারতের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নতুন মাত্রায় এক সামরিক অভিযান শুরু করার কথা জানায় পাকিস্তান। এর নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস। দুটি দেশের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একাধিক ড্রোন হামলার অভিযোগ করেছে দুই দেশই।

 

পরমাণু যুদ্ধের পূর্বাভাস!

ভারত, পাকিস্তান দুই দেশের হাতেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। সাধারণ মানুষ তো বটেই সমর বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, বড় আকারে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। পাকিস্তানি বিজ্ঞানী পারভেজ হুডভাই বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা সবসময় আছে। অন্যান্য কারণ থাকলেও কাশ্মীরই হবে যুদ্ধের প্রধান কারণ। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানে ভারতের হামলা এবং পাল্টা জবাবের উত্তেজনার মধ্যে অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিবিসি বাংলার বছর ছয়েক আগের এক প্রতিবেদন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণার তথ্যে পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে ২০২৫ সালে পরমাণু যুদ্ধ লেগে যাওয়া ও প্রাণহানির পূর্বাভাস রয়েছে সেই প্রতিবেদনে। কাকতালীয়ভাবে ২০২৫ সালে এসেই যুদ্ধাবস্থার মুখোমুখি দুই দেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধে জড়াতে পারে ২০২৫ সালে; যার সূত্রপাত হবে কাশ্মীর বিরোধের জের ধরে। আর যুদ্ধ কীভাবে শুরু হবে, তার কিছু কাল্পনিক দৃশ্যপটও দেখান গবেষকরা। যেমন- কাশ্মীরে আক্রমণ করবে ভারত। তারপর শুরু হয়ে যাবে পারমাণবিক যুদ্ধ। তবে উভয় দেশে যদি বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন নেতারা ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে হয়তো এ রকম কিছু হবে না। গবেষণার সঙ্গে জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অ্যালান রোবোক বলেন, ভারত ও পাকিস্তান তাদের পরমাণু অস্ত্রভান্ডার বাড়িয়ে চলেছে। শুধু সংখ্যার বিচারেই নয়, এসব অস্ত্রের বিস্ফোরণের শক্তিও তারা ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে। ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই এ যুদ্ধের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। যুদ্ধ শুরুর দৃশ্যকল্প কীভাবে তৈরি করা হয়েছে? এমন প্রশ্নে অ্যালান রোবোক বলেন, কিছু পেশাজীবীকে নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়েছে; যেখানে এসব সম্ভাব্য কারণের কথা উঠে এসেছে। তবে তিনি বলেন, এগুলো কিছু দৃশ্যকল্প। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো কিছু হয় না। নেতারা ঠান্ডা মাথায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখেন। কিন্তু কখনো কখনো পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে!

 

সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে

রাফায়েল বিশ্বে প্রথম শ্রেণির অত্যাধুনিক এবং মূল্যবান যুদ্ধবিমান।  সম্প্রতি সীমান্ত সংঘর্ষে পাকিস্তান একটি ভারতীয় রাফায়েল ভূপাতিত করেছে বলে ফ্রান্সের গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই ফাইটার  জেটের গৌরবময় ইতিহাসে প্রথমবার যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংসের ঘটনা এটি।

 

পরমাণু যুদ্ধ হলে কী হবে

পারমাণবিক বোমা শুধু মানুষই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই হুমকি। এর ব্যাখ্যায় জলবায়ু বিজ্ঞানী অ্যালান রোবোক বলেন, পারমাণবিক বোমার ফলে আগুন লেগে যাবে। সেই আগুন থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া তৈরি হবে, সেটা ছড়িয়ে পড়বে সারা পৃথিবীতে। এ ধোঁয়ার কারণে আমাদের এ গ্রহে সূর্যের আলোও ঠিকমতো এসে পৌঁছাতে পারবে না। ফলে পৃথিবী অনেক ঠান্ডা আর অন্ধকারময় হয়ে পড়বে। ধোঁয়া যখন পৃথিবীর আরও ওপরের আবহমণ্ডলে চলে যাবে, তখন সেটা সূর্যের আলোতে উত্তপ্ত হয়ে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে; যা সেখানে স্থায়ী হবে কয়েক বছর। বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তেজস্ক্রিয়তার ঘটনা ঘটবে। এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খাদ্য উৎপাদনের ওপর। ফলে যুদ্ধের পরও অনাহারে আরও বহু মানুষের মৃত্যু হবে।

 

কোন দেশের মিত্র কে

চলমান ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে ইসরায়েল। ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, নিরীহদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করে লুকিয়ে থাকার কোনো স্থান নেই। ভারতের হামলার পরপরই ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের এ মন্তব্য এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিপরীতে পাকিস্তানের প্রতি সংহতি জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তুরস্ক। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের চরম উত্তেজনায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে টেলিফোন করেছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। এ সংকটে উভয় দেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে থাকতে রাজি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

২৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

৫৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা