শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৭ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

ইতিহাস বদলে দেয়া ভাষণ

প্রিন্ট ভার্সন
ইতিহাস বদলে দেয়া ভাষণ

একটি ভাষণ একটি জাতির ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, হয়ে উঠতে পারে আশা-আকাক্সক্ষার মূর্ত প্রতীক। বিভিন্ন কারণে এসব ভাষণের কোনো কোনোটি আবার ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে। ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ তালিকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ তালিকার মাধ্যমে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে। এমন ঐতিহাসিক ভাষণগুলো আলোকবর্তিকার মতো, যা ক্রান্তিকালে মানুষকে দিয়েছে মুক্তির পথ।  রাজনৈতিক কারণে অমর হয়ে থাকা এমন কয়েকটি ভাষণের কথা জানাচ্ছেন- মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মার্চ, ১৯৭১

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম

একাত্তরের ৭ মার্চ। ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বাবা-মা, স্ত্রী, পাঁচ সন্তান নিয়ে এক সাধারণ জীবনযাপন করছিলেন এই মহান নেতা। তাঁর কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ছিলেন বেশ বিচলিত। সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেও আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা, ৩ মার্চে নির্ধারিত সংসদ অধিবেশন ভেঙে দেওয়া, দেশব্যাপী চলমান অসহযোগ আন্দোলন ও হরতাল, জনগণের প্রত্যাশার চাপ, সব মিলিয়ে জীবনের এক কঠিন দিন পার করছিলেন তিনি।

এরই মধ্যে ৭ মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স মাঠে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আয়োজন করা হয় বিশাল জনসমাবেশ। ওই দিন দুপুরে ভাত খেয়ে বিছানায় গেলেন একটু বিশ্রামের জন্য। প্রিয়তমা স্ত্রী পাশে বসলেন পানের বাটা নিয়ে। সহজ-সরল এই গৃহবধূ নিজ স্বার্থ আর সন্তানের মায়া ত্যাগ করলেন দেশের মায়ায়। বঙ্গবন্ধুর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, কাউকে ভয় করবে না। দেশের মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে।

তোমার যা বলা উচিত তাই বলবে, নিঃসঙ্কোচে বলবে, নির্ভয়ে বলবে। সঞ্জীবনী সুধার মতো কাজ করল প্রিয়তমা স্ত্রীর এই অনুপ্রেরণা। বেরিয়ে পড়লেন বঙ্গবন্ধু। রেসকোর্স ময়দান তখন লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ। চারদিকে গগনবিদারী স্লোগান। মঞ্চে উঠলেন বঙ্গবন্ধু। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আবদুর রাজ্জাকের বর্ণনায়- স্লোগান মুখরিত মঞ্চে বঙ্গবন্ধু সামনে এগিয়ে গেলেন এবং বললেন, ‘মাইকটা দে’। তারপর শুরু করলেন তাঁর কিংবদন্তিতুল্য ভাষণ। প্রথমে তুলে ধরলেন তাঁর দুঃখভরা হƒদয়ের কথা। কারণ দেশে বিভিন্ন শহরের রাজপথ তখন রক্তে রঞ্জিত আর আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত স্বাধীনতা, বেঁচে থাকা আর অধিকার আদায়ের কান্না। একে একে বর্ণনা করলেন প্রথম থেকে তাঁর নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রস্তাব, যাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। বায়ান্ন থেকে একে একে প্রায় প্রতিটি বছরে যে রক্তপাত ঘটিয়েছে তারা তারও বর্ণনা দিলেন। এই বর্ণনা থেকে বাদ যায়নি ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর ষড়যন্ত্রের কথাও। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, জনগণের অধিকারই তাঁর কাম্য। এই অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক হরতাল ও সর্বগ্রাহী আন্দোলনের ডাক দেন। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। তাঁর অবর্তমানেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আর সবশেষে তাঁর অগ্নিঝরা কণ্ঠে ফুটে ওঠে স্বাধীনতার ঘোষণা- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মন্ত্রের মতো কাজ করে তাঁর এই ঘোষণা। অচল হয়ে পড়ে সমগ্র দেশ, শুরু হয় প্রতিরোধ। এরই ধারাবাহিকতায় আসে ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ আর ৩০ লাখ জীবন, নারীর সম্ভ্রম, অমূল্য সম্পদ ধ্বংসের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। দুঃখজনক হলেও সত্যি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সৈন্যের হাতে শহীদ হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইউনেস্কো ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ তালিকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে  স্থান দিয়েছে।

 

মহাত্মা গান্ধী

আগস্ট, ১৯৪২

ভারত ছাড়...’

১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন মাঝপথে। বিশ্বযুদ্ধের দাবানলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে মানবসভ্যতা। পূর্ব থেকে পশ্চিম আর উত্তর থেকে দক্ষিণ-সর্বত্র বাজছে যুদ্ধের দামামা। কেউ লড়ছে গণতন্ত্র রক্ষায়, কেউ নিজ ভূখ- রক্ষায়, আবার আগ্রাসী শক্তি ধ্বংসলীলায় মত্ত একের পর এক দেশ জয়ের নেশায়। এমনি এক প্রেক্ষাপটে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে দেখা গেল এক বিপরীত চিত্র। হিংসা নয়, বিদ্বেষ নয়, আক্রমণ নয়- ত্যাগ আর ভালোবাসাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ব্রিটিশদের ভারতবর্ষ থেকে বিদায় করা এবং ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব সংগ্রামের ডাক দিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, যিনি মহাত্মা গান্ধী নামেই ইতিহাসে বেঁচে আছেন। জš§ ২ অক্টোবর ১৮৬৯ সাল। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে ভারতীয় আইনে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ করে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান ২৪ বছর বয়সে। সেখানকার বর্ণবাদ প্রথা তাঁকে তীব্রভাবে আঘাত করে। পরে ভারতে ফিরে আসেন ১৯১৫ সালে। জড়িয়ে পড়েন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। যুদ্ধ শেষ হলেও অপরিবর্তিত থাকে ভারতীয়দের ভাগ্য। গান্ধী উপলব্ধি করেন পরাধীন জাতির ভাগ্যে কখনো পরিবর্তন ঘটে না। তাই শুরু করেন ‘ব্রিটিশ খেদাও’ বা ‘কুইট ইন্ডিয়া’ আন্দোলন। ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে ইংল্যান্ডের স্যুটকোট ফেলে গায়ে তুলে নেন দেশীয় চরকায় বোনা তাঁতের ধুতি ও চাদর। অনেকেই তখন ভেবেছিলেন গান্ধীর দর্শনে মহাপরাক্রমশালী ব্রিটিশদের কখনো বিতাড়ন করা যাবে না। তারা মনে করতেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের বিকল্প নেই। ব্রিটিশবিরোধী বিদেশি কিছু শক্তিও মদদ জোগায় তাদের। কিন্তু গান্ধী তাঁর অহিংস আন্দোলনের প্রতি ছিলেন অবিচল। শত-সহস্র প্রতিকূলতা এবং হুমকির মুখেও নিজ দর্শন থেকে এক চুলও নড়েননি মহাত্মা গান্ধী। এমনি এক প্রেক্ষাপটে ১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট মহাত্মা গান্ধী তৎকালীন বোম্বের গাওলিয়া ট্যাক ময়দানে ব্রিটিশদের প্রতি ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান- যা ভারত ছাড় বা কুইট ইন্ডিয়া বক্তৃতা নামে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নথুুরাম গডসে নামের এক হিন্দু জাতীয়তাবাদীর গুলিতে এই মহান  নেতার মৃত্যু ঘটে।

 

আব্রাহাম লিংকন

১৯ নভেম্বর, ১৮৬৩

জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা সরকার এবং জনগণের জন্য সরকার

মাত্র ৩ মিনিটে ২৭২ শব্দের এক ভাষণ দিয়ে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ষোড়শ রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন। ১৮৬৩ সালের ১ থেকে ৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার গেটিসবার্গে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। তাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে যুদ্ধের প্রায় চার মাস পর এক স্মরণসভায় লিংকন এই বক্তৃতা দেন। প্রচলিত নিয়মে অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ছিলেন পেশাদার এবং বাকপটু অ্যাডওয়ার্ড এভার্ট, যিনি প্রায় দুই ঘণ্টা বক্তৃতা করেন। পরবর্তী সময়ে লিংকন বক্তৃতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা শুরু করেন। ফটোসাংবাদিক এবং ফটোগ্রাফাররা ঠিকমতো ক্যামেরা সেট করার আগেই ৩ মিনিটের মাথায় তিনি বক্তৃতা শেষ করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি স্মরণ করেন তাঁর পূর্ব-পুরুষদের, যারা ৪৭ বছর আগে স্বাধীনতা ও সবার মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমেরিকা মহাদেশের গোড়াপত্তন করেন। মাঝে তাঁর কণ্ঠে ফুটে ওঠে গৃহযুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির করুণ আর্তনাদ। আর বক্তৃতা শেষ করেন এক ঐতিহাসিক উক্তি দিয়ে, যা গণতন্ত্রের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংজ্ঞা হিসেবে আজও বিবেচিত। তিনি বলেন- ‘জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা সরকার এবং জনগণের জন্য সরকার’ পৃথিবী থেকে কখনো হারিয়ে যাবে না। এই বক্তৃতার পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপস্থিত জনতা। এমনকি হাততালি দিতেও ভুলে যান তারা। অনেকের ক্যামেরা সচল করার আগেই শেষ হয়ে যায় ৩ মিনিটের বক্তৃতা অথচ আজ প্রায় ১৫০ বছর পরও রাজনীতি বিজ্ঞানের গবেষকরা বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন গণতন্ত্রের মোক্ষম সংজ্ঞাদাতা আব্রাহাম লিংকনকে। বাকপটু অ্যাডওয়ার্ড এভার্ট দুঃখ করে বলেন, আমি যদি আমার দুই ঘণ্টার বক্তৃতায় লিংকনের ৩ মিনিটের বক্তৃতার মূল কথার কাছাকাছি কিছু বলতে পারতাম, তাহলে জীবন ধন্য হতো। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল জন উইকস বোথ নামের এক রাজনৈতিক কর্মীর গুলিতে নিহত হন  ইতিহাসের এই অমর বক্তা।

 

উইনস্টন চার্চিল

১৩ মে, ১৯৪০

দেওয়ার মতো কিছুই নেই আমার।  আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্রু আর ঘাম

দুই আঙুল উঁচিয়ে ভি বা বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন ইংল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং যুদ্ধকালের সফল রাজনৈতিক নেতা ও শাসক উইনস্টন চার্চিল। সামরিক জীবন এবং রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য বক্তৃতা দিলেও ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে তার ১৩ মে ১৯৪০ সালের ভাষণটি।

উল্লেখ্য, এই ভাষণের ১০ দিন আগে ৩ মে ১৯৪০ সালে ইংল্যান্ড জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৪০ সালে এই যুদ্ধ ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে এক নাটকীয় পরিবর্তন আনে। বক্তব্যের শুরুতে তিনি তাঁর নিজের এবং যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ‘ওয়ার ক্যাবিনেট’ এর দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে বিরাজমান যুদ্ধ এবং যুদ্ধ প্রস্তুতিরও বর্ণনা দেন চার্চিল। এক ফাঁকে ক্ষমা চেয়ে নেন পরিবেশের কারণে প্রচলিত নিয়মে দীর্ঘক্ষণ বক্তৃতা দিতে পারবেন না বলে। যুদ্ধের জন্য সবার সমর্থন-সহায়তা কামনা করে উচ্চারণ করেন সেই অবিস্মরণীয় বাণী, যার মূল কথা- যারা এই সরকারে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তাদের আমি বলেছি আর এই মহান সংসদকেও বলছি, ‘দেওয়ার মতো কিছুই নেই আমার, আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্র“ আর ঘাম, আমাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা, আমাদের মাসের পর মাস যুদ্ধ করতে হবে আর কষ্ট সইতে হবে।

তোমরা যদি জিজ্ঞাসা কর আমাদের নীতিমালা বা পলিসি কী, তাহলে বলব, আমাদের একটাই নীতি- জল, স্থল ও আকাশপথে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। আমাদের সবটুকু সামর্থ্য আর ঈশ্বর-প্রদত্ত শক্তি নিয়ে আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে এক নিষ্ঠুর দানবের বিরুদ্ধে। এটাই আমাদের নীতি, আর যদি প্রশ্ন কর আমাদের লক্ষ্য কী? আমি এক কথায় উত্তর দেব- বিজয়।  পথ যতই দীর্ঘ কিংবা দুর্গম হোক, বিজয় ছাড়া আমাদের বাঁচার কোনো পথ নেই।’

 

মার্টিন লুথার কিং

২৮ আগস্ট, ১৯৬৩

আমি স্বপ্ন দেখি...’

৭ মার্চ, দিনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পরিচিতি লাভ করেছে এক রক্তাক্ত দিন হিসেবে। ১৯৬৫ সালের ৭ মার্চ ছিল রবিবার। বর্ণবাদের বিষবাষ্পে উত্তাল পুরো যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের অহিংস আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সেলমা থেকে এগিয়ে চলেছে প্রাদেশিক রাজধানী মন্টোগোমারির দিকে। এমনি সময় প্রতিপক্ষ শ্বেতাঙ্গ আর পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালায় এই মিছিলের ওপর। রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। আর ৭ মার্চ ১৯৬৫ দিনটি পরিচিতি পায় ‘ব্লাডি সানডে’ বা রক্তাক্ত রবিবার হিসেবে। তবে যে ভাষণের জন্য মার্টিন লুথার কিং চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন, তা উচ্চারিত হয় ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরে। ওই দিন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় ওয়াশিংটন।

লুথার কিংয়ের সহকর্মী, বেকার যুবক, স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনতা, ধর্মীয় নেতা, শ্রমিক নেতা এবং কৃষ্ণাঙ্গ নেতাদের নেতৃত্বে মানুষের ঢল নামে ওয়াশিংটন স্মৃতিসৌধ লিংকন স্কোয়ার পর্যন্ত। বব ডিলন আর জন বয়েজের বিপ্লবী গানের সুরে উত্তাল জনসমুদ্রে একে একে বক্তব্য রাখলেন অন্য নেতারা। সর্বশেষে এলো মার্টিন লুথার কিংয়ের পালা। প্রথমে সন্তোষ প্রকাশ করলেন স্বাধীনতার জন্য আয়োজিত মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশে যোগদানের সুযোগ পাওয়ার জন্য। তুলে ধরলেন শ্বেতাঙ্গদের বৈষম্যমূলক আচরণ আর কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতন ও বঞ্চনার কথা। বললেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ নিগ্রোরা পুলিশের বর্ণনাতীত নির্যাতনের শিকার হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ ভ্রমণক্লান্ত নিগ্রোরা শহরের হোটেল বা মোটেলে বিশ্রামের অধিকার না পাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রাপ্তি নেই, যতক্ষণ আমাদের শিশুরা ‘কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য’ লেখা সাইনবোর্ড দেখবে। আমি জানি, তোমরা কেউ এসেছ দূর-দূরান্ত থেকে। কেউ জেলের কুঠুরি থেকে। কেউ পুলিশের টর্চার সেল থেকে। তোমরা যার যার ঘরে ফিরে যাও। কিন্তু কাদা পানিতে ডুব দিয়ে থেক না। হয়তো আজ বা আগামীকাল আমাদের জন্য সংকটময় হবে। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি, এই স্বপ্ন গাঁথা আছে আমেরিকার অস্তিত্বে।  আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন এই জাতি জাগ্রত হবে এবং মানুষের এই বিশ্বাসের মূল্যায়ন করবে, সব মানুষ জš§সূত্রে সমান। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে জেমসং আর্ল রে নামের এক আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান এই কৃষাঙ্গ মহানায়ক।

 

প্যাট্রিক হেনরি

২৩ মার্চ, ১৭৭৫

আমাকে স্বাধীনতা দাও, নয়তো মৃত্যু

মার্চ মাস স্মরণীয় হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বীপরাজ্য ভার্জিনিয়ার মানুষের কাছে। ১৭৭৫ সালের ২৩ মার্চ তৎকালীন ভার্জিনিয়া রাজ্যের শাসক প্যাট্রিক হেনরি রিমেন্ডের সেইন্ট জন চার্চে উপস্থিত স্থানীয় নেতা, আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন ও জর্জ ওয়াশিংটন এবং সর্বস্তরের জনগণের উদ্দেশে ব্রিটিশ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ডাক দেন। যুগ যুগ ধরে বিপ্লবের যে চেতনা ভার্জিনিয়াবাসীর হৃদয়ে ছাইচাপা আগুনের মতো জ্বলছিল, তাই যেন স্ফুলিঙ্গ হয়ে ধরা দেয় প্যাট্রিক হেনরির এক উচ্চারণে- ‘আমাকে স্বাধীনতা দাও, নয়তো মৃত্যু’। যুদ্ধের ডাক দেওয়ার আগে শান্তি প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে হেনরি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় যা কিছু তিনি করেছেন, তা কাজ করেনি, কাজ করছে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না। তাই সমাধানের একটাই পথ তিনি দেখেন, তা হলো- যুদ্ধ করা, যা অচিরেই নয় এখনই শুরু করতে হবে। কারণ যুদ্ধ এড়ানোর কোনো পথ নেই। তাই তাকে সাহসিকতার সঙ্গে আলিঙ্গন করতে হবে। এই যুদ্ধে পিছপা হওয়ার অর্থ দাসত্বকে মেনে নেওয়া। তাই হেনরি পরাধীনতার শিকলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এই শিকলে জং ধরে গেছে। শিকলের ঝনঝনানি শব্দ শোনা যাচ্ছে। অবশ্যম্ভাবী যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে দুবার উচ্চারণ করেন, ‘তাকে আসতে দাও, তাকে আসতে দাও’। যুদ্ধরত অন্যদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, আমাদের ভাইয়েরা লড়াই শুরু করেছে। সুতরাং অলস বসে থাকার সময় নেই। ভদ্রতা দেখানোর সময় নেই। এরপর তিনি ছুড়ে দেন এক ঐতিহাসিক প্রশ্ন, ‘জীবন কি এতই প্রিয় আর শান্তি কি এতই মধুর যে, শিকল আর দাসত্বের দামে তাকে কিনতে হবে?’ এ প্রশ্নের স্বঘোষিত উত্তরই যেন তার অমর বাণী, ‘আমি জানি না অন্যরা কোন পথ বেছে নেবে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে বলব- আমাকে স্বাধীনতা দাও, নয়তো মৃত্যু’। প্যাট্রিক হেনরির এই আবেদনে ব্যাপক সাড়া ফেলে উপস্থিত জনতার মাঝে। বৃথা যায়নি হেনরির  সাহসী উচ্চারণ।

 

নেলসন ম্যান্ডেলা

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩

স্বাধীনতা অর্জনের কোনো সহজ পথ নেই

সর্বগ্রাসী বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সফল সংগ্রামের আরেক নাম নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার কুনু গ্রামে এক উপজাতীয় নেতার ঘরে ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরিণত বয়সে আইনের ছাত্র হিসেবে ম্যান্ডেলা আইন পেশাকে বেছে নিতে চাইলেও আইনেরই অপপ্রয়োগে তাঁকে দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর বরণ করতে হয় কারা জীবন। যার শুরু ১৯৬২ সালে আর শেষ হয় ১৯৯০ সালে।

কৃষ্ণাঙ্গ এই নেতার মূল সংগ্রাম ছিল কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর শ্বেতাঙ্গদের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে। শাসকের রক্তচক্ষু, নির্যাতন, জেল-জুলুম এমনকি মৃত্যুকে উপেক্ষা করে তিনি কেবল নিজেই সংগ্রাম করেননি, বরং তাঁর অপূর্ব বক্তৃতার দ্বারা উজ্জীবিত করেন পৃথিবীর সব শোষিত মানুষকে। তাই ম্যান্ডেলা কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার নেতাই নন, যে কোনো অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এক সার্থক প্রতীক, এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহু ভাষণ দেন, যা একাধিকবার শাসকদের ভিত কাঁপিয়ে তোলে। কখনো সংগ্রাম, কখনো আত্মত্যাগ, কখনো বা একাত্মতার জন্য ক্ষমা করার আহ্বান সংবলিত তাঁর প্রতিষ্ঠিত ভাষণ ইতিহাসের মূল্যবান সম্পদ। তবে ১৯৫৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেলসন ম্যান্ডেলার বক্তৃতাটি স্মরণীয় হয়ে আছে অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে। এই বক্তৃতার অনেকটুকুই পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে চলা আইনি যুদ্ধে কখনো তাঁর নিজ কণ্ঠে আবার কখনোবা তাঁর আইনজীবীদের কণ্ঠে বারংবার উচ্চারিত হয়েছে। ম্যান্ডেলা ২১ সেপ্টেম্বরের এই বক্তৃতা শুরু করেন ১৯১২ সাল থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর চলমান শ্বেতাঙ্গদের নির্যাতনের কথা দিয়ে, যা সমালোচিত হয়েছে ঘরে-বাইরে, প্রাদেশিক ও জাতীয় সমাবেশে, ট্রেনে-বাসে, কলকারখানায়, খেত-খামারে, গ্রামগঞ্জে, শহরে, স্কুলে এবং জেলখানায়। ছন্দময় এবং কাব্যিক এই বক্তৃতায় ম্যান্ডেলা শত প্রতিকূলতার মাঝেও জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিজেদের শক্তি সম্পর্কে সচেতনতাকে তাঁদের জন্য এক বিজয় বলে উল্লেখ করেন। তবে সবচেয়ে বড় বিজয় বা স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে ম্যান্ডেুলা উল্লেখ করেন তাঁর অমর বাণী,  ‘স্বাধীনতা অর্জনের কোনো সহজ পথ নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

২২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা