বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

পৃথিবী কাঁপানো যত গুজব

সাইফ ইমন

পৃথিবী কাঁপানো যত গুজব

মধ্যযুগে ইহুদি খ্রিস্টানরা শিশুদের রক্ত খেত

গুজবের সঙ্গে ধর্মীয় সম্পৃক্ততা থাকলে তা অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যুগে যুগে এ ধরনের গুজব পরিস্থিতি ঘন ঘন দেখা যায়। এমনকি এসব গুজবের ওপর ভিত্তি করে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাও সংঘটিত হয়েছে। ধর্ম নিয়ে একটি গুজবের ঘটনা মধ্যযুগের। তখন গুজব ছড়িয়েছিল রোগমুক্তির আশায় ইহুদিরা খ্রিস্টান শিশুদের রক্তে গোসল করে, যার ফলে বহু দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। ১৩২১ সালে ফ্রান্সে গুজব রটে যে, শরীরের মাংস পচে যাওয়া বা কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ইহুদি রোগীরা ইচ্ছাকৃতভাবে কুয়ার পানিতে এই রোগের জীবাণু মিশিয়ে দিচ্ছে। আরও বলা হয়, মুসলিমদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইহুদিদের অর্থায়নে কুষ্ঠরোগীরা পানিতে এই রোগের জীবাণুর বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে। এ কাজে স্বয়ং শয়তান জড়িত বলেও অপপ্রচার চালানো হয়। এই গুজব দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা শুরু হয়। জনতার রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বহিরাগত, বিদেশি, ভিক্ষুক, তীর্থযাত্রীদের ওপর। মানুষের মধ্যে বদ্ধমূল বিশ্বাস ছিল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে ইহুদিরা খ্রিস্টান শিশুদের বলি দেয়। কালো প্লেগের যুগে এই ধরনের গুজব বিশাল ক্ষতি ডেকে এনেছিল। জিপসি, কুষ্ঠ ও সোরিয়াসিসের রোগীদের মেরে ফেলা হয়েছিল অকাতরে। সে সময় অসংখ্য মানুষকে নানা কায়দায়, বিশেষ করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

 

ইনফ্লুয়েঞ্জা জীবাণু জার্মান সেনাবাহিনীর অস্ত্র

১৯১৮-২০ সালে আড়াই কোটি থেকে ৫ কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু জার্মান সেনাবাহিনী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য আবিষ্কার করে- অনেকেই বিশ্বাস করতেন এই তত্ত্ব। সে সময় বিশ্বজুড়েই নেমেছিল অন্ধকার। এখনকার মতো যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না সে সময়। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও হয় বেশি। তাই সে সময় জার্মানবিদ্বেষীরা দাবি করা শুরু করে ইনফ্লুয়েঞ্জা জীবাণু জার্মান সেনাবাহিনীর তৈরি। তারাই পরিকল্পিতভাবে এই জীবাণু ছড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই সে সময় এই কথা বিশ্বাস করেছিল। এবার করোনাকালেও এমনটি ঘটেছে। ২০১৫ সালে ভ্যাংকুভারে টেড কনফারেন্সে বিল গেটস বলেছিলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে যদি কোনো কারণে ১ কোটি মানুষ মারা যায়, সেটি কোনো সংক্রামক ভাইরাসের কারণেই হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যেহেতু পাঁচ বছরের মাথায়ই সেটা ঘটেছে তাই একদল দাবি করছে যে, বিল গেটসই করোনাভাইরাস তৈরি করেছেন পরবর্তী সময় এর ভ্যাকসিন বিক্রি করে টাকা কামানোর জন্য। যেখানে বিল গেটস তাঁর ফাইন্ডেশনের মাধ্যমে সব অর্থ দান করে দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে। আবার ভিডিও ছড়িয়েছিল যে, ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা করোনার ভয় থেকে মুক্ত, তাদের আসলে কিছুই হবে না, তাই করোনা প্রাদুর্ভাবের পর অনেক  চীনা নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন। এটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 

পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার গুজব

পৃথিবী ধ্বংস নিয়ে অনেক রকম গুজব চলে আসছে মানুষের মুখে মুখে। এর মধ্যে অন্যতম চীনের অনেক মানুষ তথাকথিত ‘মায়ান অ্যাপোকলিপস’-এ বিশ্বাসী। মায়ান পঞ্জিকায় উল্লেখ রয়েছে কোনো এক ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হবে। এই ধারণাকে ভিত্তি করে ২০১২ নামে একটি সিনেমাও  হয়েছে। এ নিয়ে লিফলেট প্রচার করা কয়েকজনকে চীনা পুলিশ গ্রেফতার করে। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের প্রায় অর্ধেক ‘স্রষ্টা সর্বশক্তিমান’  নামের একটি  গোষ্ঠীর সদস্য।  গোষ্ঠীটি ইস্টার্ন লাইটনিং নামে পরিচিত। এরপরও এমন গুজবের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগে প্রকাশিত হয় ১০১৫ সালে পৃথিবী ধ্বংসের নতুন তথ্য। কন্সপিরাসি তাত্ত্বিকরা যেখানে দাবি করছেন তিন মাসের মধ্যেই ধ্বংস হতে চলেছে পৃথিবী, বিলীন হতে চলেছে মানবসভ্যতা। তাত্ত্বিকদের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ছিল পৃথিবীর  শেষতম দিন।

 

 

মিথ্যাকে সত্য বানানো জোসেফ গোয়েবলস

মিথ্যাকে সত্য বানানোর রাজা জোসেফ গোয়েবলস। মিথ্যাকে সত্যের মতো গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপন করা, গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কলাকৌশল দেখিয়েছেন তিনি। গুজব ছড়ানো ও বিভ্রান্ত খবর পরিবেশনার কথা উঠলে তার নাম উচ্চারিত হবেই। হিটলারের সময় তিনি ছিলেন নাৎসিদের প্রপাগান্ডামন্ত্রী ও প্রচারণা বিশেষজ্ঞ। মিথ্যাকে এমনভাবে প্রচার করে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে গোয়েবলস নাৎসিবাদ ও হিটলারকে জার্মানিতে তুমুল জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। তিনি দ্য লিটল ডক্টর নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময় গোয়েবলস ডিক্টেশন দিয়ে একটি ডায়েরি লিখিয়েছিলেন। গোয়েবলস তার লেখনী, সভা-সমাবেশের পোস্টার, স্লোগান, বক্তৃতা, ছবি, সিনেমা ইত্যাদির মাধ্যমে ভুল তথ্য সংযোজন করে প্রচার করতেন।

 

 

ভারতে বানরমুখো মানুষের আক্রমণ

বানর মানবের কথা অনেক বইপুস্তকে অনেকেই বলেছেন। কিন্তু এগুলো গল্প-উপন্যাসেই পড়তে ভালো লাগে। বাস্তবে এমন কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব নেই। যদিও গুজব উঠে ভারতে বানর মানব রয়েছে। ২০০১ সালের কথা। এ ধরনের ঘটনার দেখা হরহামেশা মেলে না। তাই এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি দিল্লির। সে বছর দিল্লিতে বানরের মতো দেখতে একটি জীবের রিপোর্ট দেখা যায়। এ নিয়ে তখন ব্যাপক হৈচৈ তৈরি হয়। অনেকে বলেন, জীব বা ব্যক্তিটি লম্বায় ৪ মিটার। লোকটি কালো পশমের একটি ধাতুর হেলমেট আর ধাতুর থাবা ব্যবহার করত। অনেকটা রোবটের মতো। ১৩ মে ২০০১ সালে এটি ১৫ জনকে আহত করে এবং প্রচুর আতঙ্ক তৈরি করতে সমর্থ হয়। আশপাশের অনেকেই জন্তুসম এই জীবের মুখোমুখি হয়েছিল বলে দাবি করে। প্রত্যেকেই তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে। তবে কেউই এর ছবি তুলতে পারেনি। যেমন করে এসেছিল, ঠিক তেমন করেই হারিয়ে যায় এই অদ্ভুত জীবটি। ফলে এর পেছনে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কি না সে তথ্য জানা যায়নি।

 

পৃথিবীর বাসিন্দা ছিল কুকুরমুখো মানুষ

ইতিহাসের বহু গল্প, উপকথা কিংবা ভ্রমণকাহিনিতে এমন কিছু রহস্যময় প্রাণীর কথা উল্লেখ রয়েছে যাদের অনেক সময়ই সত্য বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আদতে যার কোনো অস্তিত্বই নেই। এমনকি মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমাণ করতেও ইতিহাসে রয়েছে নানা প্রমাণ, নানা দলিল। বিখ্যাত বহু পর্যটকও এসব অস্তিত্বহীন প্রাণীর কথা উল্লেখ করেছেন। তেমনই এক প্রাচীন রহস্যময় প্রাণী জাতি হলো ‘সাইনোসেফালি’ বা কুকুরমুখো মানুষ। কুকুর বা শিয়ালের মতো মাথাওয়ালা মানুষ হিসেবেও এরা পরিচিত। বহুকাল আগে পৃথিবীর বুকে বিচরণ ছিল এই রহস্যময় কুকুরমুখো মানুষের। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দে বিখ্যাত গ্রিক ডাক্তার সিটেসিয়াস সাইনোসেফালিদের বিশদ বিবরণসহ চমৎকার একটি প্রতিবেদন লেখেন। অনেকের বিশ্বাস কুকুরমুখো মানুষগুলো গুহায় বাস করত। তীর-ধনুক নিয়ে শিকারকে তাড়া করত। এরা ছিল খুব দ্রুত গতিসম্পন্ন। খুব দ্রুতই এরা শিকার ধরে ফেলতে পারত। এদের মধ্যে নারীরা মাসে একবার গোসল করত, তবে পুরুষরা কখনো গোসল করত না।

 

চাঁদ নিয়ে যত গুজব

১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে প্রথম চাঁদে গিয়ে যখন নেমেছিলেন মার্কিন নভোচারীরা, সেই ঘটনা বিশ্বজুড়ে দেখেছেন কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু পৃথিবীতে এখনো এমন বহু মানুষ আছেন যারা বিশ্বাস করেন মানুষ আসলে কোনো দিন চাঁদে যায়নি। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জরিপ চালিয়েছে। তাদের জরিপে সব সময় দেখা গেছে, চাঁদে মানুষ যাওয়ার ব্যাপারটিকে সাজানো ঘটনা বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ শতাংশ মানুষ। চাঁদ নিয়ে এমন গুজবের অভাব নেই। আমাদের দেশেই মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রতিকৃতি চাঁদে দেখা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। একে বেদাত এবং ফেৎনা বলে অভিহিত করেছেন আলেম- ওলামা ও ইসলাম নিয়ে গবেষকরা। আবার রয়েছে চাঁদে প্রাণ থাকার বর্ণনা!

১৮৩৫ সালের ২১ আগস্ট থেকে দ্য নিউইয়র্ক সান একটি ধারাবাহিক প্রবন্ধ শুরু করে। সেখানে দাবি করা হয় চাঁদে প্রাণ আছে। এই ফিচারটি লিখতে গিয়ে একটি ভুল তথ্য সংযোজন করা হয়। বিখ্যাত নভোচারী স্যার জন হার্শেলের মন্তব্য হিসেবে সেখানে বলা হয়, চাঁদে প্রাণ থাকা বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়েছে। কীভাবে নভোচারীরা চাঁদে প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন সে বর্ণনাও ছাপা হয়। সঙ্গে ছিল পেইন্টিং।  ০যেখানে ৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা বলা হয়। এটা যে গুজব ছিল এখন সবাই জানে।

 

ডাইনি অভিযোগে শত শত হত্যা

১০ আগস্ট বিশ্ব ডাইনি হত্যাবিরোধী দিবস। ইউরোপে ৩০০ বছরে অন্তত ৩০ লাখ মানুষকে ডাইনি হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল ৬০ হাজার। তবে আফ্রিকাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে উইচ হান্ট বা ডাইনি নিধন এখনো চলছে। প্রায়ই যত্রতত্র শোনা যায় এমন অমানবিক ঘটনা। ১৯৯৮ সালের শরতে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে জাদুকরী মানুষের গুজব বেশ কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসীর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। গুজবে কান দিয়ে দেশটির বানিয়াঙ্গি অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদে কালা জাদুকরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে যেসব মানুষের ওপর কালা জাদুকরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয় জেলা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গুজবে উন্মত্ত জনতা পুলিশ স্টেশন থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় অভিযুক্তদের এবং নৃশংসভাবে গণপিটুনি দিয়ে তাদের হত্যা করে। এমন নজির ইতিহাসে আরও অনেক রয়েছে। ভারতে এ নিয়ে আইন করা হয়েছে। ডাইনি অপবাদ দিলে অভিযুক্তকে ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং ডাইনি অপবাদে কাউকে অত্যাচার করা হলে ৫ থেকে ১০ বছর কারাদন্ড ও ১ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

 

করোনা নিয়ে যত গুজব

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিলে মানুষ কুমিরে রূপান্তরিত হতে পারে বা নারীর দাড়ি গজাতে পারে। এমনকি পুরুষকণ্ঠ নারীকণ্ঠেও পরিণত হতে পারে। এমনকি আপনি মানুষ থেকে কুমির বা অতিমানব হয়েও যেতে পারেন...

                -ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

 

থার্মাল স্ক্যানারে শনাক্ত হয় করোনা রোগী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানার খুব একটা কার্যকর নয়। শুধু জ্বর এলেই এটি রোগী শনাক্ত করতে পারে। তাই থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে সুপ্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত সম্ভব নয়।

করোনা চিকিৎসায় নিউমোনিয়ার ওষুধ ব্যবহার

করোনা চিকিৎসায় নিউমোনিয়ার ওষুধ বেশ কার্যকর এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এরও বিরোধিতা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

প্রাণী থেকে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস

প্রাণী থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। এমন খবরে চীনের বিভিন্ন জায়গায় পোষা প্রাণী হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রাণী থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করলে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচা সম্ভব।

‘হ্যান্ড ড্রাইয়ার’ করোনা প্রতিরোধে কার্যকর

অনেকে মনে করেন হ্যান্ড ড্রাইয়ারের গরম ধোঁয়ায় ধ্বংস হবে করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে শুধু ‘হ্যান্ড ড্রাইয়ার’ দিয়ে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য বারবার হাত ধোয়া জরুরি।

রসুন ও তিলে কমে করোনাভাইরাস

রসুন খেলে করোনাভাইরাস হবে না এমন একটি কথাও সম্প্রতি শোনা গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে রসুন একটি পুষ্টিকর খাবার হলেও রসুনের করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কোনো সামর্থ্য নেই।

অ্যালকোহল ব্যবহারে থাকবে না করোনা

অ্যালকোহল ব্যবহারে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা যাবে। এমন ধারণা ভুল বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিছু রাসায়নিক পদার্থ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেও সেগুলো মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তবে অ্যালকোহলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

করোনা প্রতিরোধে ইউভি ল্যাম্প

ইউভি ল্যাম্প বা আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি দিয়ে মানুষের শরীর থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার সম্ভাবনাকে এক কথায় নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর