২০১১ সাল, গাদ্দাফির স্বৈরশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল লিবিয়ার মানুষ। তাদের মানবাধিকার চরমভাবে নিগৃহীত হয়েছিল দীর্ঘ ৪২ বছর। তাই আরব বসন্তের শুরুতে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত গণবিক্ষোভ শুরু হয়। গাদ্দাফির পুলিশ তা নির্মমভাবে দমন করা শুরু করে। এতে বিদ্রোহ পূর্ণ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। আট মাসব্যাপী যুদ্ধ শেষে গাদ্দাফি সির্তে শহরে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়েন এবং নির্মমভাবে নিহত হন। এতে কার্যত গৃহযুদ্ধ শেষ হয়। গাদ্দাফির শেষ দিনগুলো ছিল ভয়ংকর। একসময়ের প্রতাপশালী এই নেতা সব হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর মধ্যে কোনোরকম ভাবাবেগ দেখতে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তাঁর সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা। চারদিক থেকে বিদ্রোহীদের দ্বারা অবরুদ্ধ শহরে এবং আকাশ থেকে ন্যাটোর বিরামহীন বোমাবর্ষণের মধ্যেও তিনি মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন অনেক। এরকম অনেক তথ্যই বিভিন্ন সময় পত্রিকার পাতায় উঠে এসেছে গ্রেফতার হওয়া গাদ্দাফির কাছের মানুষদের জবানবন্দিতে, যারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গাদ্দাফির সঙ্গে ছিলেন। আগস্ট মাস পর্যন্ত গাদ্দাফি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতেই ছিলেন। আগস্টের ২০ তারিখে বিদ্রোহীদের হাতে ত্রিপোলির পতনের প্রাক্কালে তিনি সপরিবারে ত্রিপোলি ত্যাগ করেন। তবে তাঁদের সবার গন্তব্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন। ত্রিপোলি থেকে বেরিয়ে গাদ্দাফি রওনা হয়েছিলেন ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উপকূলীয় শহর সির্তে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত ড্রাইভার এবং কয়েকজন বডিগার্ড। গাদ্দাফি সির্তে গিয়ে প্রথমে শহরের কেন্দ্রে কিছু অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে বিদ্রোহীরা সির্তে আক্রমণ শুরু করে। মর্টার এবং গ্র্যাড মিশাইলগুলো গাদ্দাফির বাসস্থানের আশপাশে এসে পড়তে শুরু করে। তখন উপায় না পেয়ে গাদ্দাফি ও তাঁর সঙ্গীরা ধীরে ধীরে শহরের কেন্দ্রস্থল ছেড়ে ভিতরের দিকে ডিস্ট্রিক্ট নাম্বার টুতে অবস্থান নিতে বাধ্য হন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সির্তে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন একটি শহরে পরিণত হয়। বিদ্রোহীরা চতুর্দিক থেকে ধীরে ধীরে শহরটিকে ঘিরে ফেলতে থাকে। গাদ্দাফি এবং তাঁর সঙ্গীরা ডিস্ট্রিক্ট টু-এর পুরনো আমলে তৈরি একতলা বাড়িগুলোতেই আশ্রয় নিতে থাকেন। দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার কারণে তাঁদের তখন যথেষ্ট খাবারও ছিল না। তাঁরা এলাকার মানুষের পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর খাবার সংগ্রহ করে সেগুলো খেয়েই জীবন ধারণ করতেন। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করলে গাদ্দাফি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। একপর্যায়ে এক কালভার্টের ভিতরেও অবস্থান করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে জানা যায়, গাদ্দাফি ও তাঁর দেহরক্ষীদের হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃত্যুর আগে নির্যাতন করা হয়েছিল গাদ্দাফিকে।
শিরোনাম
- পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
- নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
- ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র : আইন উপদেষ্টা
- দক্ষ জনশক্তি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রযুক্তি খাতের ভূমিকা অতুলনীয়: আইসিটি সচিব
- বেনাপোলে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে যুবক খুন
- যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, রাবিতে আনন্দ মিছিল
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
- সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
- আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
- বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন : নাহিদ ইসলাম
- “সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ–২০২৫” এর উদ্বোধন
- বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
- পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে সিলেটবাসী নিরব: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
- দাবি আদায় করেই জনতা ঘরে ফিরবে: জামায়াত আমির
- সুদানে কারাগার ও শরণার্থীশিবিরে আরএসএফ হামলা, নিহত অন্তত ৩৩
- সুন্দরবনে পুশইন ৭৮ জন, খাবার-ওষুধ দিয়ে সহায়তা কোস্টগার্ডের
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না আসায় ‘মার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা
- জনগণ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না : প্রিন্স
- মুন্সিগঞ্জ সদরে জমি নিয়ে বিরোধে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম
গাদ্দাফির শেষ দিনগুলো
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

পাল্টা হামলা: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’, ভারতের ২৬ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম