শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩

ব্ল্যাক ম্যাজিক কাহিনী

রণক ইকরাম
প্রিন্ট ভার্সন
ব্ল্যাক ম্যাজিক কাহিনী

সভ্যতার আদি থেকেই আত্মা কিংবা অতিপ্রাকৃত জাদুবিদ্যার চর্চা হয়ে এসেছে। এ ধরনের জাদুবিদ্যা মূলত অতীন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা। ইংরেজি ‘ম্যাজিক’ শব্দের উদ্ভব ফারসি শব্দ মাজি থেকে।  মাজিরা যেসব ক্রিয়াকর্ম পালন করতেন, গ্রিকরা সেসবকে ম্যাজিক বলে অভিহিত করতেন। আর ম্যাজিকের সঙ্গে আত্মার বিষয়টি চলে আসে অনিবার্যভাবে। কখনো অদৃশ্য বা অস্বচ্ছ বায়বীয় আবার কখনো বাস্তবসম্মত সপ্রাণ মানুষ বা জীবের আকারে। আর এসব ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী বা কোনো কাজ করার বিদ্যাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক, নেক্রোম্যান্সি বা কালো জাদু বলে। অন্যদিকে এক ধরনের বিশেষ ব্ল্যাক ম্যাজিক হচ্ছে ভুডু। ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। অন্যদিকে শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য- এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে।

 

আত্মার ধারণা থেকে কালো জাদু

বিদেশি সিনেমায় এমনকি ভারতীয় সিরিয়ালে প্রায়ই দেখা যায়, একজন দুষ্ট ব্যক্তি একটি পুতুলের গায়ে সুচ ফুটিয়ে আরেক জায়গায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করছেন কিংবা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। বাংলায় একে ফুঁক দেওয়া, কবজ করা অথবা বাণ মারা বলে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের ওঝা বলে।

আর এ প্রক্রিয়াটিই বিশ্বব্যাপী ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত।

পৃথিবীতে ধর্মের আবির্ভাবের আগেও মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক চর্চা ছিল। আবার ধর্মের আবির্ভাবের পরও এই চর্চা অব্যাহত ছিল। বহুকাল আগে পাশ্চাত্যের ধর্মহীন গোত্রের মধ্যে অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও কর্মকান্ডের চর্চা ছিল। এরা একেকটি গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার আরাধনা করতেন। আর নিজেদের প্রয়োজনে এই আত্মাকে ব্যবহার করতেন। এই বিশ্বাসের চর্চা মূলত ছিল আফ্রিকানদের মধ্যে। আর তাই বিশ্বজুড়ে এটি আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার গোপন অনুসারীরা তাদের এই চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতির সর্বপ্রাণবাদ ও পূর্বপুরুষ পূজার মধ্যে ভূত বা আত্মা-সংক্রান্ত ধ্যান-ধারণার প্রথম বিবরণ পাওয়া যায়। সে যুগে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা, অন্ত্যেষ্টি সংস্কার, ভূত তাড়ানো অনুষ্ঠান ও জাদু অনুষ্ঠান আয়োজিত হতো। আর এসব আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মৃত আত্মার সন্তুষ্টি আনয়ন। মূলত আত্মা-সংক্রান্ত সেই ধ্যান-ধারণা থেকেই ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর বিবর্তন।

 

শামানদের ইতিবৃত্ত

শামানদের মতে, আমাদের চারপাশে যত উপাদান রয়েছে সব কিছুর মধ্যে আছে আত্মার অস্তিত্ব। ‘ভুডু’ কথার অর্থও ‘আত্মা’। শব্দটির উৎপত্তি ফন জাতির কাছ থেকে। এরা ইউই সম্প্রদায়ভুক্ত। ভুডুচর্চার উৎপত্তি হাইতিতে। তবে আফ্রিকায় এর চর্চা ব্যাপক। ব্রাজিল, জ্যামাইকায়ও কিন্তু কম ভুডুচর্চা হয় না। তবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম। যেমন- হাইতিতে বলা হয় ভুডু, ব্রাজিলে ক্যানডোমবল, জ্যামাইকায় ওবিয়াহ ইত্যাদি। পশ্চিম অফ্রিকার মানুষ সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে ভুডুতে।

সেখানকার কমপক্ষে ২৫ লাখ মানুষ এ বিদ্যার অনুরাগী। এ চর্চা সবচেয়ে বেশি হয় আফ্রিকার ঘানায়। ঘানার ককুজানের অধিবাসীরা এ বিদ্যাটির সাংঘাতিক অনুরাগী। এরা অসুখ-বিসুখে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছে যাওয়ার চেয়ে ভুডু চিকিৎসকদের ওপর অনেক বেশি ভরসা করে।

শামানরাও তাই। আত্মার ওপর এদের বিশ্বাস গভীর। এদের ধারণা, আত্মা তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করবে। তাদের মধ্যে বংশ পরম্পরায় এ বিশ্বাস চলে আসছে। আফ্রিকায় যারা ভুডুচর্চা করেন, তারাও কিন্তু বংশানুক্রমে এ কাজ করে আসছেন। আফ্রিকান বাবা-মা তাদের সন্তানদের এ বিদ্যাচর্চায় উৎসাহ জোগান। প্রতিদিনই সকালে পূজারিরা স্থানীয় দেবতাদের উদ্দেশ্যে নৈর্বেদ্য অর্পণ করেন; তারপর নিজের কাজে বের হন।

শামানরা শুধু বিশ্বাস করেন আত্মা। তাদের কোনো দেবতা নেই। তবে ভুডুরা শুধু বিশ্বাস করেন আত্মা। তাদের কোনো দেবতা নেই। তবে ভুডু অনুসারীদের বিভিন্ন দেবতা আছে। যেমন- ফ্লিমানি কোকু হলো রোগমুক্তির দেবতা, হেভিও সো হলো বিদ্যুৎ এবং বজ্রের দেবতা, মেমি ওয়াটা ধনসম্পদের দেবী ইত্যাদি। দেবতার ওপর তাদের এত বিশ্বাস যে, তারা মনে করেন, আগুন তাদের ক্ষতি করতে পারে না। ছুরি দিয়ে পেট কাটলেও তারা ব্যথা পান না। তারা বলেন, দেবতারা তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

শামানরাও বলেন, আত্মা তাদের সব রোগমুক্তির পথ বাতলে দেয়। যারা এ সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, তারা বলেন, শামানদের রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা। এরা আত্মার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে স্বাস্থ্য, খাদ্য, উর্বরতা বিষয়ক সব সমস্যারও সমাধান করে দিতে পারেন। শামানদের ব্যাপ্তি সাইবেরিয়া থেকে ল্যাপল্যান্ড, তিব্বত, মঙ্গোলিয়া, উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা (বিশেষ করে আমাজন এলাকায়) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, এমনকি ভারতেও বিস্তৃত। পূর্ব ভারতে সোরা নামে এক উপজাতি আছে, জঙ্গলে বাস করেন। এরাও শামান সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। সোরা উপজাতির লোকেরা মৃতের সঙ্গে কথা বলেন। এখানে শামানের ভূমিকা সাধারণত পালন করেন মহিলারা। তারা দুই ভুবন অর্থাৎ পৃথিবী ও স্বর্গের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেন বলে শামান অনুসারীদের বিশ্বাস। মহিলা শামানকে কবর দেওয়া হয়। এরপর তার আত্মা চলে যায় অন্য ভুবনে। সেখানে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। লোকে মহিলাকে কথা বলতে দেখে।

সোরাদের মতে, মৃত্যু মানে কারও অস্তিত্বের ধ্বংস নয়। মৃত্যু তাদের কাছে নতুন আরেক জীবন মাত্র। মৃত্যুর পরও আত্মা যথেষ্ট শক্তিশালী থাকে, তাদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে- এমনটিই বিশ্বাস সোরা উপজাতির।

 

ডক্টর-উইচ বা রোজাদের দাপুটে প্রথা

আদিম সমাজে ওইভাবে ধর্মের চর্চা না থাকলেও যেসব লোক আধ্যাত্মিক চর্চা করতেন, তাদের আলাদা দাপট ছিল। সাধারণ মানুষ এদের প্রচ- ভয়ের চোখে দেখতেন। আদিম সমাজে এমন এক ধরনের মানুষ ছিল যাদের উইচ-ডক্টর বা রোজা নামে ডাকা হতো। এরা এমন ব্যক্তি ছিলেন যারা ব্ল্যাক ম্যাজিক জানতেন। অতীন্দ্রিয় শক্তির বলে প্রেতাত্মাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। আর প্রেতাত্মাদের দিয়ে সম্ভব-অসম্ভব যে কোনো কাজ করে ফেলতে পারতেন খুব সহজেই। সে কারণে ওই সময় রোজারা একাধারে চিকিৎসক, জাদুকর এবং পুরোহিতের ভূমিকা পালন করতেন। বর্তমানকালেও আদিম-সামাজিক ব্যবস্থায় বসবাসকারীদের মধ্যে উইচ-ডক্টর বা রোজাদের প্রভাব দেখা যায়। আদিম জাতিদের মধ্যে রোজাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো।

রোজারা তাদের ডাকিনীবিদ্যা খাটিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারত। চোর বা হত্যাকারী ধরা ও শাস্তি প্রদানে রোজাদের অপরিহার্য ভূমিকা ছিল। এ ছাড়াও তারা জাদুবিদ্যার সাহায্যে রোগ নির্ণয় এবং এর প্রতিকার করতেন। তারা তাদের শিশুদের রোগাক্রান্ত করতে পারতেন এবং মানুষের মৃত্যুও ঘটাতে পারতেন। মানুষের মৃত্যু ঘটানোর জন্য তারা নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। কখনো মানুষের একটি ছোট্ট আকৃতির পুতুল তৈরি করে তাতে পিনবিদ্ধ করতেন। আবার কখনো কোনো লোকের চুল বা নখের টুকরো সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখতেন। এগুলো যখন আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেত মানুষটিও ক্রমেই মৃত্যুমুখে পতিত হতো। রোজারা প্রায়ই রোগের চিকিৎসার জন্য গাছ-গাছড়া, লতাপাতা ব্যবহার এবং রোগের সংক্রমণ দূর করার জন্য পানি ব্যবহার করতেন। কখনো তারা জাদুকরী পাথরসহ পানি ছিটিয়ে দিতেন। তারা জাদুকরী গান, প্রার্থনা এবং আশ্চর্য ভঙ্গিমায় নৃত্য করতেন। এর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মনকে প্রভাবিত করা। রোজারা সব সময় রঙিন পোশাক পরতেন, মুখোশ ধারণ এবং মুখমন্ডল চিত্রিত করতেন। কেউ কেউ পশুর চামড়াও পরিধান করতেন। বস্তুত মানুষকে সম্মোহিত করতেন। আর লোকজন বিশ্বাস করতে বাধ্য হতো যে, তাদের সৌভাগ্যের জন্য রোজারাই দায়ী।

 

এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে...

ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সভ্যতার লোক নয়। ইতিহাস বলে, বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের একটি অংশ কালো জাদুর চর্চা করে আসছেন। কালো জাদু তাই কোনো দেশ-কাল-পাত্রে সীমাবদ্ধ নয়। ইহুদিরা মিসরে বন্দি অবস্থায় অবস্থানের সময়ই মিসরীয় জাদুবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। অবশ্য তাদের নিজেদেরও আলাদা বৈশিষ্ট্যময় জাদু বিশ্বাস ছিল। ইহুদি জাদুকররা বাষ্পøানের মাধ্যমে বলি আর উপহার দিয়ে অতিপ্রাকৃত শক্তিকে বশ করার চেষ্টা করতেন। এদের জাদুচর্চায় স্থূল যৌনাচার হতো। এ ছাড়া অল্পবয়স্ক বালকদের ব্যবহার করত অতীন্দ্রিয় শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। কালো জাদুর ইতিহাস বলে, ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশেষ দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন কিং সলোমন। তার ‘দ্য কি অব সলোমান্দ’ বইটি পরবর্তীকালে জাদুবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ বই হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও জাদুবিদ্যা আর ধর্মের একটা জটিল সংমিশ্রণ দেখা যায়। এখনকার সমাজেও এমন অনেক বৈদিক জাদুবিদ্যাগত প্রক্রিয়া এখনো চালু আছে। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে উৎখননে প্রাপ্ত রিং স্টোনগুলো জাদুবিদ্যায় ব্যবহার হতো বলে জন মার্শাল ধারণা করেন। এ ছাড়া জাপানের প্রাচীন শিন্টো ধর্মের মধ্যে জাদুবিদ্যা চর্চার কথা জানা যায়। জাপানিরা বিশ্বাস করেন, চালের মধ্যে ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রতিহত করার বিশেষ শক্তি আছে। এ ছাড়া রাস্তার সংগমস্থলও তাদের কাছে বিশেষভাবে পবিত্র। এসব স্থানে তারা এখনো জননেন্দ্রিয়র প্রতীক চিহ্ন স্থাপন করে। বিশ্বাস করে এই প্রতীক অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখবে!

জাপানিদের মতো চীনাদেরও ভূত-প্রেত সম্পর্কে বেশ ভালোই ভয়ভীতি ছিল। মজার ব্যাপার হলো- চীনের ঘরবাড়ি ও পুল নির্মাণে একটা বিশেষ দেবতা চীনাদের প্রভাবিত করেছে। এই দেবতার নাম হলো শা। শা হলো একটা অপদেবতা।

চীনারা বিশ্বাস করেন এই অপদেবতা সব সময় সোজা রেখা বরাবর চলে। তাই একে প্রতিহত করতে ছাদে আঁকা হতো বক্রতা আর কোণ! গ্রিকরা জাদুবিদ্যার জন্য বিশেষ বর্ণমালার সৃষ্টি করেছিল। এগুলো লেখা হতো পবিত্র কালি দিয়ে। লেখার সময় বারবার পাঠ করা হতো।

 

শয়তানের প্রতীক

ব্ল্যাক ম্যাজিকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতীক ও সংকেতচিহ্নের ব্যবহার। অনিষ্টকারী শয়তানের প্রতীককে ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানরা কাজে লাগিয়ে এসেছেন যুগ যুগ ধরে। শয়তানের প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন সভ্যতার মানুষের যা বিশ্বাস ছিল সেটি হচ্ছে শিং। ব্ল্যাক ম্যাজিক চর্চায় শিং তাই অপরিহার্য। এক সময় বিখ্যাত জাদুকর ছিলেন যোহান রোসা। তার একটা মন্ত্রপূত আংটি ছিল। যাতে একটা প্রেত্মাতাকে আটকে রেখেছিলেন আর তাকে দিয়েই সব কাজ করাতেন।

তার মৃত্যুর পর প্রকাশ্য জনসভায় আংটিটি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। গর্ভবতী নারীদের প্রসব বন্ধ করা থেকে শুরু করে যৌনাকাক্সক্ষা চিরতার্থ করার মতো বীভৎস সব জাদু বিধানের চর্চা হতো তখন। ওই সময় বিশ্বাস করা হতো, বশীকরণের মাধ্যমে মানুষকে দাস বানিয়ে রাখা যায়। যে কোনো বিপজ্জনক কাজে যাওয়ার আগে ‘প্রয়োজনীয় মন্ত্রপূত জামা’ পরে যাওয়ার রীতি ছিল। কুমারী মেয়েরা বড়দিনের এক সপ্তাহ ধরে ঘরে এ ধরনের জামা বুনত। ‘বাণ’ ছোড়ার কথা বাংলাদেশে অপরিচিত নয়, মধ্যযুগের এই (Magical Arrow) ধারণাটির ব্যাপক প্রচার ছিল।

 

কত রকম জাদুবিদ্যা

জাদুবিদ্যার প্রচলন সব সময়ই কৌতূহলোদ্দীপক। সে জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমাজবিদ-নৃতাত্ত্বিকরা প্রচলিত জাদু বিধানাবলি পর্যালোচনা করে এর শ্রেণিবিন্যাস করার চেষ্টা করেছেন। যেমন- স্যার জেমস জর্জ ফ্রেজারের মতে, জাদুবিদ্যার বিধানগুলো প্রধানত দুই রকমের। হোমিওপ্যাথিক এবং কনটেজিয়াস ম্যাজিক।

হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক সব সময়ই শত্র“ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্যবহƒত। এ ক্ষেত্রে শত্র“র প্রতিমূর্তি [মোম, মাটি, কাঠ, কাপড়] বা ছবি ইত্যাদি তৈরি করে পুড়িয়ে বা ছুরি দিয়ে কেটে ধ্বংস করা হয়। ধারণা, মূর্তিটি যে যন্ত্রণা পাচ্ছে, শত্র“ও তেমন যন্ত্রণা বা আঘাত পাচ্ছেন। একে ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে। আবার অনেক সময় মানুষের উপকার বা ভালোর জন্যও জাদু ব্যবহার করা হয়। যেমন- ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে এমন এক জাদুর বিধান আছে। কোনো নারীর সন্তান হচ্ছে না, তখন একটা কাঠের ছোট শিশু বানিয়ে নিঃসন্তান রমণীটি কোলে বসিয়ে আদর করে। ফলে তার সন্তান হবে- এমন ভাবা হয়। কখনো কখনো চিকিৎসায়ও এ ধরনের জাদুর প্রয়োগ দেখা যায়।

অন্যদিকে কনটেজিয়াস ম্যাজিক হচ্ছে, মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশবিশেষ যেমন- চুল, নখ, থুথু বা পরিধেয় বস্ত্রের মাধ্যমে জাদু করে মানুষের ক্ষতি বা উপকার করা। এ ক্ষেত্রে শত্র“র আঙুলের নখ, চুল, ভ্রু, থুথু- এসব সংগ্রহ করে মোমের সাহায্যে শত্র“র একটা অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়। প্রতিমূর্তিটি ছয় দিন ধরে মোমের তাপে ঝলসাতে হবে এবং সাত দিনের দিন মূর্তিটি পুড়িয়ে ফেললে শত্র“র মৃত্যু হবে!

জাদুবিদ্যার ধরন আর প্রকারভেদ নিয়ে অনেকে অনেক মত দিয়েছেন। তাদের সব মতবাদ একসঙ্গে করলে বলা যায়, জাদুবিদ্যা প্রধানত তিন ধরনের।

প্রথমত, সৃজনধর্মী জাদু বা হোয়াইট ম্যাজিক। ফসলের ভালো উৎপাদন, বৃষ্টি নামানো, গাছে ভালো ফল হওয়া, প্রেম বা বিয়ে ইত্যাদির উদ্দেশ্যে এ জাদু ব্যবহƒত হয়।

দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধক জাদু। এই জাদুকেও হোয়াইট ম্যাজিকের মধ্যেই ফেলা যায়। এটা বিপদ-আপদ এড়ানো, রোগব্যাধি দূর করা আর কালো জাদুর প্রভাব এড়াবার কাজে ব্যবহার করা হয়। সর্বশেষ প্রকারটিই হচ্ছে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা ধ্বংসাত্মক ম্যাজিক। এটি রোগব্যাধি সৃষ্টি, সম্পত্তি ধ্বংস, প্রাণনাশের কাজে ব্যবহার করা হয়। ডাইনিবিদ্যায় এর প্রয়োগ বেশি দেখা যায়। সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আজও এর প্রভাব দেখা যায়। রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির ওপর।

জাদুবিদ্যার প্রাচীন ইতিহাস যদি আমরা খুঁজে দেখতে চাই, তাহলে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে সেই প্যালিওলিথিক যুগের গুহামানবদের গুহাচিত্রের দিকে। অরিগেনেসিয়া নামক গুহায় বেশ কিছু মুখোশ পরা মানুষ আর জন্তু-জানোয়ারের ছবি দেখা যায়, যেখানে মানুষগুলোর হাতের আঙুলের প্রথম গিঁট পর্যন্ত কাটা! যদিও নৃতাত্ত্বিকরা এদের কুষ্ঠরোগাক্রান্ত মানুষ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে জাদুবিদ্যা বিশারদদের মতে, মৃত্যুকে জয় করার জন্যই হাতের আঙুল কেটে তা নিবেদন করার রীতি সে আমলে প্রচলিত ছিল। দেহের অংশবিশেষ দিয়ে গুণ [ব্ল্যাক ম্যাজিক] করার রীতি এ দেশেও দেখা যায়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও নানা আঙ্গিকের জাদুবিদ্যাচর্চার প্রমাণ পাওয়া যায় সমসাময়িক ধর্মগুরু আর জনগণের মধ্যে। জাদুবিদ্যার এই চর্চা কখনো থেমে থাকেনি। গোপনে একদল ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করে যাচ্ছেন।

 

ভুডু বনাম শামান

ভুডু (Voodoo) হচ্ছে এক ধরনের ব্ল্যাক ম্যাজিক বা ডাকিনীবিদ্যা। শোনা যায়, ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য হলো- এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়। ভুডু এক ধরনের অপবিদ্যা। যারা ভুডুবিদ্যা জানেন, তারা নাকি ইচ্ছা করলেই যাকে খুশি তার ক্ষতি করতে পারেন। অন্যদিকে শামান সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে। শামানকে কেউ বলে জাদুকর, কেউ কবিরাজ। শামান কথাটি এসেছে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুসভাষী মেষপালকদের কাছ থেকে। অষ্টাদশ শতাব্দীর ভ্রমণকারীরা প্রথম শামানদের ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে অবহিত করেন। জানা যায়, শামানরা এমন ধরনের মানুষ যাদের রয়েছে অবিশ্বাস্য শক্তি। মৃত ব্যক্তির আত্মার কাছ থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করে তারা। শামানদের প্রধান বাসস্থান সাইবেরিয়া হলেও সোভিয়েতদের অত্যাচারে তারা দেশত্যাগে বাধ্য হন। ছড়িয়ে পড়েন বিশ্বে। শামানরা বর্তমানে জনপ্রিয় উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপে। শামানরা তাদের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড প্রদর্শনের জন্য ভ্রমণ করছেন চিলির সান্তিয়াগো থেকে কোরিয়ার সিউল পর্যন্ত। যদিও অনেক দেশের সরকার শামানিক চর্চাকে অবৈধ ও বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের  মৃত্যুদন্ডের ইতিহাস
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের মৃত্যুদন্ডের ইতিহাস
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
সর্বশেষ খবর
কুমিল্লার হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
কুমিল্লার হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

এই মাত্র | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

১৬ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

২ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

৩৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৩৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

৩৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

৪১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

৫৬ মিনিট আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

৫৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত
রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে