বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী ও সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ-ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপে অন্তত ৫১ জন আহত অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ববির একটি বাসে ভাঙচুর করেছে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এরপর ববি শিক্ষার্থীরা বিএম কলেজ এলাকায় গিয়ে কলেজের তিনটি বাস ভাঙচুর করে।
মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত আড়াইটায় হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিলো।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
ওসি বলেন, সোমবার রাতে বিএম কলেজ সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাফিকে মারধর করে ববি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বটতলা এলাকায় অবস্থানকালে দুইজন ববি শিক্ষার্থীকে মারধর করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। আহত দুই ববি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছি। দুই ববি শিক্ষার্থীর মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দুই সহপাঠীকে মারধর করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তিনটি বাসে চড়ে ববি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে নগরীর বটতলা এলাকার দিকে রওনা দেন। একটি বাস বটতলা এলাকায় পৌঁছানোর পথে শিক্ষার্থী বোঝাই বাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় ২৫ জন ববি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইটি বাস আসার পথে অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে আরও শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের সমন্বয়ককে মারধর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের উপর হামলা চালিয়ে বিএম কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত করা হয়েছে। লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে তিনটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল