অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার কমিটি। কমিটিতে সদস্য সংখ্যা মাত্র ১৪ জন।
বুধবার কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু সাদিক (কায়েম)।
এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটির সভাপতি মো. আবু সাদিক (কায়েম)। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। পরের দিন সেক্রেটারি এস এম ফরহাদও প্রকাশ্যে আসেন। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
সভাপতি ও সেক্রেটারি বাদে অন্য ১২টি পদে যারা রয়েছেন-সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন খান (পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন), প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ২০১৭-১৮ সেশন), ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন), অফিস সম্পাদক ইমরান হোসাইন (ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন), বায়তুল মাল সম্পাদক আলাউদ্দিন আবিদ (তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ ২০১৫-১৬ সেশন), দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হামিদুর রশিদ জামিল (আরবি বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন), সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নূর (আরবি বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন),বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইকবাল হায়দার (ফলিত রসায়ন কেমিকৌশল বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন), শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক রিয়াজুল মিয়া (আইন বিভাগ ২০১৭-১৮ সেশন), ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ২০১৮-১৯ সেশন), স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন (অর্থনীতি বিভাগ ২০১৯-২০ সেশন)।
কমিটির বিষয়ে সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটিটি জানুয়ারিতেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ২৪-এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ