বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেছেন, কেউ যদি মনে করে এই সরকার ১৭ জনের, তবে ভুল হবে। এই সরকারের সাথে ১৮ কোটি জনগণ রয়েছে। কেউ যদি প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখে তবে তা হবে আত্মঘাতি। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কোনও ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। কারও ইন্ধনে যদি কেউ সেই অপচেষ্টা করে তবে তারও কড়া জবাব দেওয়া হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৬টায় সিলেট নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সমন্বয়করা একথা বলেন। সমন্বয়করা সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও কাউন্সিলরদের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে নগরভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমন্বয়করা বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। এরপর নতুন করে দেশ বিনির্মাণের কাজ করছে ছাত্র-জনতা। ছাত্রদের প্রস্তাবিত বর্তমান সরকার একটি দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন ও প্রকৃত স্বাধীন দেশ গড়তে চায়। কিন্তু হাসিনার পতনের পর পার্শ্ববর্তী দেশের ষড়যন্ত্রে গুজব রটিয়ে সাধরণ হিন্দু সম্প্রদায়কে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, এই সরকার ১৭ জনের নয়, সরকারের সাথে ১৮ কোটি ছাত্র-জনতা রয়েছে। কেউ যদি প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখেন তবে তা হবে আত্মঘাতি।
সমন্বয়করা আরও বলেন, সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নেই। সারা দেশের মানুষ একই পরিবারের সদস্য। আমরা সবাই বাঙালি। ৫ আগস্ট থেকে ছাত্র-জনতা, এমনকি মাদরাসার ছাত্ররাও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা দিচ্ছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সংগঠনের নেতারাও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন এবং এ সরকারের সঙ্গে রয়েছেন।
সিসিক মেয়র, কাউন্সিলর ও প্রধান নির্বাহীসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সমন্বয়করা বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরকে দুর্নীতিমুক্ত করার আন্দোলন চলছে। তাই স্বৈরাচারের অধীনে যত প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে এবং যারা বিজয়ীরূপে চেয়ারে বসেছেন তাদের আমরা আর চেয়ারে দেখতে চাই না।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও সিলেটের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব, সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিম, দেলওয়ার হোসেন শিশির, হাফিজুর রহমান, জহিরুল ইসলাম ও সহ-সমন্বয়ক ফয়ছল হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ