পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বলেছেন, আমাদের উপদেষ্টা (পরিবেশ মন্ত্রণালয়) মহোদয়ের ভিশন হচ্ছে এই প্রজন্মকে একটা দূষণমুক্ত নদী দেখানো। আমাদের দেশে কি দূষণমুক্ত কোনো নদী আছে? কেউ কি আমরা দেখাতে পারবো? প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। আর কত মিটিং করবো আমরা?
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নারায়ণগঞ্জের নদীগুলোর দূষণরোধে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ড. আব্দুল হামিদ বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর দূষণ রোধে সবাইকে কাজ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাপোর্ট দেওয়া হবে। নাগরিকদের প্রত্যাশা ছোটো খাটো কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তা দেখা দরকার। আমরা (পরিবেশ অধিদপ্তর) কাউকে ইটিপি করে দেই না। কিন্তু কোনো প্রকার সহযোগিতা লাগলে আমরা তা দেবো। আপনারা তো উদ্যোক্তা। আইন অনুযায়ী কিছু বাধ্যবাধকতার মধ্য দিয়ে তো আপনাদের যেতে হবে। একটা বিধির মধ্যে সকলকে আসা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ছোট ডাইংগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। বড় কারখানাগুলোকে একটা সিস্টেমের মধ্যে আমরা আনতে পারি কিন্তু ছোটগুলোর ব্যাপারে ভাবতে হবে। প্রতিটি সেক্টরে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সবকিছু তো আর আইনকানুনে হয় না, জনসচেতনতারও প্রয়োজন হয়। শুধুমাত্র ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিলেই যে দূষণ বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যাপারটা তা না। সুতরাং দেশের পরিবেশ রক্ষায় সকলের ভূমিকা প্রয়োজন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ডিএনডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মেজর এসএম সাকিব আজওয়াদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু ও পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. হোসাইনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল