ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- হাজতি মো. জাবেদ (২৩), হাজতি মো. সোহান (২৭) ও কয়েদি অনাদি হাওলাদার (৪৫)। জাবেদের বড় ভাই মো. ফারুক জানান, গত ৬ আগস্ট কারাগারের ভিতরে আসামিরা বিক্ষোভ করেছিল। সেখানে জাবেদ মুখে ও কানে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ওই দিনই কারারক্ষীরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে মিরপুর ডেন্টালে স্থানান্তর কার হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় ১১ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাবেদ। তার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার খাড়কি গ্রামে। জাবেদের স্ত্রী আকলিমা নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পেশায় জাবেদ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় চুরি-ছিনতাই মামলায় গত তিন মাস আগে আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন জাবেদ।
গত সোমবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দি (হাজতি) সোহানকে কারারক্ষীরা ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, গতকাল সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দি (কয়েদি) অনাদি হাওলাদারকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, সোহান মতিঝিল থানার মামলা নম্বর-১৪ (৭)২০২৪, জিআর-২০১/২৪, ধারা-৩৯৩/৩৯৮ পি সি মামলায় বন্দি ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বেলপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহীমের ছেলে। বর্তমানে মুগদা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। অনাদি হাওলাদারের বাবার নাম অধির হাওলাদার। তবে তিনি কোন মামলায় বন্দি ছিলেন তা জানা যায়নি।