বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত পতনের মুখোমুখি হচ্ছে। বুধবার তেলের দামে আরও একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে, যা পূর্বের দিনেও বড় আকারে কমেছিল।
লিবিয়ায় রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তেলের দামে এ পতনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বুধবার সকালে বাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রুডের নভেম্বরের ডেলিভারির দাম ৩৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭৩ দশমিক ৩৮ ডলারে নেমে এসেছে। আগের সেশনে এই দাম ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমে যায়। একই সময়ে, অক্টোবরের জন্য ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৬৯ দশমিক ৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে আগের দিন এটি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছিল।
এই পরিস্থিতিতে, দুই বেঞ্চমার্কের দামই গত ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লিবিয়ার রাজনৈতিক সংকট সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনায় তেলের দাম কমছে, কারণ দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ার অস্থিরতার কারণে তেল উৎপাদন কমে গেছে, যা বাজারে চাপ সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল অর্থনৈতিক পূর্বাভাস তেলের বাজারে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির এই দুটি বড় শক্তির দুর্বল পারফরম্যান্সের কারণে তেলের চাহিদা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা বাজারে আরও চাপ সৃষ্টি করছে। অর্থনীতির এই ধীরগতি এবং বৈশ্বিক চাহিদার অস্থিতিশীলতা তেলের দামে চলমান পতনের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে।
এমতাবস্থায়, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত। যদিও লিবিয়ার সংকটের সমাধান একটি সম্ভাব্য ইতিবাচক দিক, তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি তেলের দামের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল