সারা দেশে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বহাল করেছে সরকার।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারফিউর এ সিদ্ধান্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর হবে। এর আগে শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। তবে ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা এবং নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকার কথা বলা হয়েছিল। আর অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে কারফিউ শিথিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানানো হয়। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৯ জুলাই সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। প্রথমে ওই দিন রাত ১২টা থেকে কারফিউ শুরু হয়। পরে এলাকাভেদে আলাদাভাবে বিরতি (শিথিল) দিয়ে কারফিউ চালানো হচ্ছে। গতকাল থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। এতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অনেকের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। জানমাল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় কারফিউ জারি করা হয়েছে- আইএসপিআর : দেশে চলমান সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পুনরায় অবনতি হওয়ায় গতকাল হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের আলোকে তার প্রতিশ্রুত দায়িত্ব পালন করবে। এ ব্যাপারে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।