আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম বলেছেন, ‘বিচারব্যবস্থায় কারও একক অধিকার নেই এবং কারও একক প্রয়াসেও তা চলতে পারে না। সমষ্টিগত প্রয়াসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পূর্বশর্ত। তাই বিচারক থেকে শুরু করে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে।’ গতকাল নিজের বিদায় সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। আপিল বিভাগের ১ নম্বর বিচারকক্ষে (প্রধান বিচারপতির এজলাস) বেলা সাড়ে ১১টার পর এক বিদায়ি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আইনজীবী ও আগত বক্তিদের উপস্থিতিতে এ সময় আদালত কক্ষ ছিল পূর্ণ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা এ সময় বেঞ্চে ছিলেন। ১৯৫৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করা আপিল বিভাগের এই বিচারপতির ৬৭ বছর পূর্ণ হয় গতকাল। শেষ কর্মদিবসে প্রথা অনুসারে এই বিচারপতিকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। সংবর্ধনায় প্রথমে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বিদায়ি বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিমের কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি আরও বলেন, ‘সুবিচার বা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে বিচারালয়ের সর্বনিম্ন কর্মকর্তা থেকে সর্বোচ্চ পদধারীকেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একজন বিচারক সুচিন্তিত মতামত প্রকাশের জন্য বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হলে তা প্রতিহত করতে এ অঙ্গনে যাদের কল্যাণকর পদচারণ তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা মোকাবিলা করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম গত ১৩ আগস্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর আইনে এলএলবি, এলএলএম এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাই কোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি জিয়াউল করিম।