আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের কাছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় গণহত্যায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিপ্লবে কমপক্ষে ৭০০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগভিত্তিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। তবে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য যথাযথ নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হয়। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা হয়। সাক্ষাৎকালে করিম এ এ খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, তিনি এ বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নতুন গতি আনতে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। গত বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ প্রস্তাব দেন। এ সময় সেখানে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরও বক্তব্য দেন।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার নিমিত্ত জাতিসংঘপ্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন ও করণীয়, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট নিরসনে যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা জোরদার এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আন্তরিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা। করিম খান বলেন, ‘এ তিন দফা যথার্থ।’