দেশে চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল সচিবালয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্যাসের রিজার্ভ কমে আসার কারণে দেশে জ্বালানি সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। তাই বর্তমান সরকার গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে সাতটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশে ৫০টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে ১৫টি খনন করা হয়েছে যেখান থেকে প্রতিদিন ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিলেছে। তবে পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে এখন ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫টি কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে ১১টি কূপ খনন করবে বাপেক্স। বাকি ২৪টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হবে। এখন থেকে জিটুজিও করা হবে না, প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলমান গ্যাস সংকট কীভাবে কাটবে এ প্রসঙ্গে অনেকটাই অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০টি কূপ খনন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্থলভাগের ৬৯টি কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হবে। এর মধ্যে ৩৩টি কূপে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। আরও ১০টি রিগ ভাড়ার মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হবে। বাকি ২৬টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। ফলে গ্যাস সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। এখন থেকে কোনো প্রকল্পের সময় ও অর্থ আর বাড়ানো হবে না বলে যোগ করেন তিনি।