বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এ দেশে ধর্মবর্ণ- নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি- এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যে কোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানব কল্যাণ। আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্বর হিংসাযুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে- হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমঅধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে। আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশে^র অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরতে বাংলাদেশের চারদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। কয়েক শতাব্দী ধরে উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের দুর্গাপূজা সব সময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারের গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন। তিনি বলেন, এই উৎসব প্রতিটি গৃহে সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও শান্তিতে ভরে তুলে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সংহতি প্রসারিত করুক। এ দেশে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। আমি এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।