চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। আগামী সোমবার মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারেন তিনি। সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণসংক্রান্ত ১৯ আগস্ট যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল, সেই প্রজ্ঞাপন থেকে ‘চট্টগ্রাম’ বাদ দিয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ফলে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে ডা. শাহাদাত হোসেনের আর কোনো আইনি বাধা নেই। শপথ নেওয়ার পর মাত্র দেড় বছরের কম সময় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন শাহাদাত। তবে সময় স্বল্প হলেও নতুন মেয়রের হাত ধরে বন্দর শহরের আমূল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন নগরবাসী। ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক বলেন, মেয়রদের অপসারণ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ফলে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে আর কোনো বাধা নেই। আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। আশা করছি সোমবার নাগাদ শপথ গ্রহণ হতে পারে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শপথ পাঠ করাতে পারেন। জানা যায়, ২০২১ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয়জনকে বিবাদী করে মামলাটি করেছিলেন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গত পয়লা অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেন আদালত। ওই দিন আদালত ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরকারকে নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৯ অক্টোর ডা. শাহাদাতকে বিজয়ী ঘোষণা করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করা হয়। ছাত্রদলের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এমবিবিএস পাস করার পর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০১ সালে নগরীর বাকলিয়া থানা বিএনপির সদস্য সচিব, ২০০৪ সালে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৭ সালে থানা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ও আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়াও বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও করা হয়েছিল ডা. শাহাদাতকে। পরে নগর বিএনপির সভাপতি পদ পেতে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন।