► প্রথম বন্ধু : কিরে! এই সামান্য আঘাতেই একদম কাহিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে একবারও ঘরের বাইরে যাচ্ছিস না যে!
দ্বিতীয় বন্ধু : ব্যথা সেরে গেছে ঠিকই কিন্তু ঘরের বাইরে না যাওয়ার কারণ অন্য।
প্রথম বন্ধু : কারণটা কী?
দ্বিতীয় বন্ধু : না, মানে, যে ট্রাকটা আমাকে ধাক্কা দিয়েছিল সেটার গায়ে লেখা ছিল ‘আবার দেখা হবে’!
► একটা চোখ ফুলিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরল ছেলে। মা আঁতকে উঠে জিজ্ঞাসা করলেন, এ কি! কী হয়েছে?
: আসিফের সঙ্গে মারামারি করেছি।
: স্কুলে মারামারি করতে নেই। কাল স্কুলে যাওয়ার সময় মিষ্টি নিয়ে যাবে আর আসিফের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে। ঠিক আছে?
পরদিন ছেলে মিষ্টি নিয়ে স্কুলে গেল। কিন্তু ফিরল অন্য চোখটা ফুলিয়ে।
মা বললেন, আজ আবার কী হয়েছে?
: আসিফ আরও মিষ্টি চেয়েছে।
► প্রেমিকার বাবা : তুমি কি আমার মেয়ের সব ইচ্ছা পূরণ করতে পারবে?
প্রেমিক : জি পারব।
প্রেমিকার বাবা : এত শিওর হচ্ছ কি করে?
প্রেমিক : আপনার মেয়ে বলেছে, সে আমাকে ছাড়া কিছুই চায় না।
► বিমানটি লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যাচ্ছিল। ওই সময় বিমানের পাইলট মাইকে ঘোষণা দিলেন, ‘সম্মানিত যাত্রীগণ, আমাদের বিমানের একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। তবে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমাদের আরও দুটো শক্তিশালী ইঞ্জিন আছে। কিন্তু আমরা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছাব।’ ৩০ মিনিট পর পাইলট আবার চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘সম্মানিত যাত্রীগণ, আমাদের আরও একটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। তবে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, এখনো আমাদের আরও একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন ঠিক আছে। তবে আমাদের ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে নিউইয়র্ক পৌঁছাবে।’
শোনামাত্র বিমানের ভিতর এক সর্দার চিৎকার করে উঠলেন, ‘ওই ইঞ্জিনটা বিকল হলে কতক্ষণ আমাদের এখানে অপেক্ষা করতে হবে?’
► ক্রেতা গেছেন পর্দার দোকানে।
ক্রেতা : ভাই, আমাকে একটা পর্দা দিন তো।
বিক্রেতা : কয় গজ?
ক্রেতা : আরে গজ না! এক ফুট দিলেই হবে।
বিক্রেতা : এক ফুট পর্দা কোন জানালায় লাগাবেন?
ক্রেতা : কেন, আমার কম্পিউটারের ‘উইন্ডোজ’-এ!
► আমার মেয়েকে যে বিয়ে করতে চাও ওকে খাওয়াবে-পরাবে কী? তোমার মাসিক আয়টা কত শুনি।
: নিশ্চিত আয় মাসে হাজার খানেক, আর এদিক ওদিক করে...
: হাজার খানেক। জানো আমার মেয়ে আমার কাছ থেকে মাসে হাত খরচই পায় ১ হাজার টাকা।
: নিশ্চিত আয় বলতে আমি ওটাই বুঝিয়েছি।
সংগ্রহ : সানজিদা খানম, ডেমরা, ঢাকা।