শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৪ মার্চ, ২০১৬

সোনার বাংলা শ্মশান কেন?

হাশেম খান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সোনার বাংলা শ্মশান কেন?

১৯৭০ সালের এক সন্ধ্যায়।  পায়চারি করছি খোলা বারান্দায়। বিদ্যুৎ নেই অনেকক্ষণ ধরে। ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ থাকা না থাকা বা একবার গেলে কখন আসবে, বিদ্যুতের অনিশ্চিত সংস্কৃতির ইতিহাস দীর্ঘকালের। আলোর জন্য বিকল্প ছিল হারিকেন। এটা সব বাড়িতেই দুই-তিনটা রাখতে হতো। হারিকেন জ্বালিয়ে কাজে বসেছিলাম। ছবি আঁকতে গিয়ে দেখি হারিকেনের আলোতে কুলোচ্ছে না। বাসায় মোমবাতিও পেলাম না। হারিকেন ও তার সঙ্গে তিনটা মোমবাতি জ্বালালে বেশ আলো হয়। পায়চারি করছিলাম যদি এখুনি বিদ্যুৎ চলে আসে?

ইত্তেফাকের সাহিত্য পৃষ্ঠার তিনটি গল্পের ছবি ও বেশ কিছু প্রবন্ধের শিরোনাম লিখে আজ রাতের ৮টার মধ্যে দিতে হবে। সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। বেশিরভাগ কাজই হয়ে গেছে। সামান্য কিছু বাকি। না? বিদ্যুৎ আসবে না। মোমবাতি কেনার জন্য বারান্দা থেকে সিঁড়িতে মাত্র পা দিয়েছি এমন সময় বাড়ির প্রধান ফটকের বড় লোহার কড়া দুটো বেশ শব্দ করে জানান দিল কেউ একজন এসেছে। একটু জোরেই বললাম—দরজা খোলা আছে। ঠেলে চলে আসুন। ছোটখাটো মানুষটি বেশ দ্রুত ঢুকে পড়ল। আলো আঁধারিতে চিনতে অসুবিধে হলো না। কিছু মানুষ আছে যারা সহজেই আপন হয়ে যায়। যাদের সান্নিধ্য সুখকর ও আনন্দের। এই মানুষটিও তাই। ইনি নূরুল ইসলাম। সহজেই হয়ে উঠেছেন নূরুল ইসলাম ভাই। আওয়ামী লীগের নিষ্ঠাবান এক কর্মী। প্রচার কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সামনে এসে বললেন—বাইরে যাচ্ছেন? যাওয়া হবে না জরুরি কাজে আসছি। খুবই জরুরি। আসার পথেই বুঝলাম বিদ্যুৎ নেই। তাই বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। এই নেন! কথাগুলো বলে আমার হাতে তুলে দেন চারটি বড় ও মোটা মোমবাতি। আমি অবাক! এগুলো বিদ্যুৎ? পরক্ষণেই তার রসিকতা বুঝে হেসে ফেললাম। তিনিও হাসলেন।

—ঘরে চলেন। জরুরি কাজটা বুঝাই। খুবই জরুরি। মুজিব ভাই পাঠাইছেন। নূরুল ইসলাম যে খানিকটা উত্তেজিত তার ত্রস্ততা লক্ষ্য করি। হারিকেনের আলোতে ফুলস্কেপ কাগজের ভাঁজ করা পৃষ্ঠাটা তুলে ধরে বলেন পড়ে দেখেন। ‘বৈষম্য বিষয়— পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান, তারপর বিভিন্ন বিষয়ের একটি তালিকা ছক করে লেখা। উপরে লেখা সোনার বাঙলা শ্মশান কেন?’

—পড়লাম। দুই পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে বৈষম্য চলেছে তার একটি তালিকা। তবে নূর ইসলাম ভাই শিরোনামের বক্তব্যটা খুবই সময় উপযোগী হয়েছে।

—হুররে। আমাদের শিল্পীরও পছন্দ হয়েছে।

নূর ইসলাম ভাই হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বলতে থাকেন—হাশেম ভাই নির্বাচনের প্রচারের জন্য গত দুই-তিন মাস ধইরা কত পোস্টার বানাইছি, কত লিফলেট তৈরি করছি আপনাকেও কত কষ্ট দিচ্ছি। কমতো আঁকেন নাই। কিন্তু জুতসই একটা পোস্টারের কথা ভাবতে ভাবতে গত দুই রাত জাইগা এই বিষয়টা তৈরি করছি। এই বিষয়টা আইজ মুজিব ভাইরে দেখালাম। (নূরুল ইসলাম শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিব ভাই বলেই সম্বোধন করতেন)। মুজিব ভাই পুরাটা পড়লেন। একবার না দুবার। তারপর তালিকাটা মেলে ধরে বললেন— তালিকা থেকে এই দুইটা বাদ দিয়ে বাকি দশটা রাখ। খুব ভালো বিষয়। পোস্টারটা আমাদের জনগণ ভালোভাবে নেবে। দেশের মানুষের কাছে পাকিস্তানের স্ব্বৈরশাসকদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে যাবে। ওরা যে কতরকমভাবে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের ঠকাচ্ছে, পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে পশ্চিম পাকিস্তানের শহর-বন্দরকে গড়ে তুলছে, রাস্তাঘাট নতুন করে সুন্দর করে তৈরি করছে। চাকরি-বাকরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি থেকে উন্নততর অবস্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষরা এই পোস্টারের মাধ্যমে বুঝতে পারবে স্ব্বৈরশাসকরা বাঙালিদের কত অবহেলা করে।

নূরুল ইসলাম জানতে চাইলেন— পোস্টারের বিষয়টা আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনার জন্য তোলা হবে কিনা। বঙ্গবন্ধু বললেন— ওয়ার্কিং কমিটিতে তোলা যায়। বিষয়টা নিয়ে কেউই আপত্তি করবেন না। দেরি করলেও চলবে না। পোস্টারটা ছেপে ফেলা যাক। তারপর সবাই দেখুক। নূর ইসলাম যত তাড়াতাড়ি পার আজ রাতেই প্রেসে দিয়ে ছাপিয়ে ফেল। এরপর মুজিব ভাই আমার খসড়া করা কাগজটা নিয়ে এই যে দেখেন কোণায় কী লিখেছেন। বলে নূর ইসলাম কাগজের কোণাটা নির্দিষ্ট করে দেখায়। আমি ফুলস্কেপ কাগজের পাতাটা হারিকেনের খুব কাছে নিয়ে ভালো করে দেখলাম। লেখা আছে ‘নূর ইসলাম— পোস্টারটি খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ, তাই আজ রাতেই ছাপার ব্যবস্থা কর। প্রেসকে বলবা কাগজের টাকা আজ রাতে দিবার পারুম না। আগামীকাল দুপুরের পর দিব। প্রেসকে আমার এই নোটটা দেখাবা। আপাতত ১০ হাজার পোস্টার ছাপ।’ তারপর ছিল তার সই— ‘শেখ মুজিবুর রহমান।’

সময় দ্রুত এগোচ্ছে, বিদ্যুতের তখনো দেখা নেই। আমাকে ইত্তেফাক অফিসে পৌঁছতে হবে। পোস্টারের তালিকাটা অনেক বড়, অনেক লেখা। হাতে লিখতে হলে অনেক সময় লাগবে। বিপদেই পড়ে গেলাম। নূরুল ইসলাম ভাইকে আমতা আমতা করে বলি।

—ইত্তেফাকের কাজটা আমাকে তক্ষুনি শেষ করতে হবে—ওরা অপেক্ষায় আছে। অবশ্য খুব বেশি বাকি নেই।

—কতক্ষণ লাগবে?

—আধা ঘণ্টা

—তাইলে ওদের কাজটা শেষ করেন। তারপর সবগুলো কাজ আমারে বুঝইয়া দেন— আমি গিয়া দিয়া আসি। আপনার ইত্তেফাকে যাইয়া সময় পার করার দরকার নাই।

গোপীবাগ থেকে ইত্তেফাক অফিস অবশ্যই খুব কাছে। হারিকেন ও ৪টা বড় মোমবাতি জ্বালিয়ে ইত্তেফাকের ইলাস্ট্রেশন ও শিরোনামগুলো এঁকে শেষ করলে নূর ইসলাম ইত্তেফাকে চলে গেলেন। আমি ৩০ ইঞ্চি লম্বা এবং পাশে ২০ ইঞ্চি একটি কার্টিজ কাগজ নিয়ে মেঝেতে বসে গেলাম। পোস্টারের সাধারণ মাপ এই ডবল ক্রাউন। বড় টেবিল আমার নেই তাই মেঝেতে বসেই আঁকতে হবে।

পোস্টারটা কীভাবে আকর্ষণীয় করি ভাবতে থাকি। কাগজে ছোটখাটো ড্রইং করতে থাকি। অনেক বক্তব্য লেখাসর্বস্ব। এত লেখা সমন্বয় করে পোস্টারের জন্য আকর্ষণীয় কোনো নকশা করা খুবই কষ্টকর। কতটুকু পারব— তা একটার পর একটা খসড়া করতে থাকি। এদিকে সময় নেই তাই খুব বেশি চিন্তা করে যে কয়েকটা খসড়া করে বেচে নেব তার উপায় নেই।

কিছুক্ষণের মধ্যেই নূরুল ইসলাম ফিরে এসেই বললেন—কিছু একটা দাঁড় করাতে পারলেন? আজকে আর বিদ্যুৎ আসবে না। পাকি সরকার পূর্ব পাকিস্তানরে আন্ধারে রাইখা পাকিস্তানরে আলোতে ভাসাইয়া দিচ্ছে। সারা রাইতে অগো শহর বন্দর অলিগলি এমনকি গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুতের বাতি দিনের মতো আলো দিতাছে। সামনের ইলেকশনে পশ্চিমাদের গদি থেকে নামাইয়া আওয়ামী লীগরেই বসাইতে হইব।

নূরুল ইসলামের হাতের প্যাকেট থেকে সুস্বাধু খাবারের গন্ধ বেরোচ্ছে। আমার পাশে বসে পড়ে বললেন দেশপ্রিয় মিস্টান্ন ভাণ্ডার থেকে নিয়ে এসেছে। গরম পরোটা আর সবজি। এই খাবারটা ওদের খুব জনপ্রিয়। আমরা অনেকেই দেশপ্রিয় খাবারের ভক্ত। খুশি হয়েই বললাম—একটু পরেই রাতের খাবার খাব। আপনি খাবেন সেটাও রুস্তমকে বলে দিয়েছি। কি দরকার ছিল আবার দোকান থেকে খাবার কেনার।

—এই পোস্টারটা আঁকতে আঁকতে দুজনে মিলে খাব।

তিনি আয়েশ করে বসে রুস্তমকে ডাকেন— প্লেট দিয়ে যাও, চামচ দেয়ে যাও, পানি দিয়ে যাও ইত্যাদি।

—নূর ইসলাম ভাই মাথায় যে কোনো নকশা টকশা আসছে না। এতো লেখা হাতে লিখতে গেলে অনেক সময়, অন্তত কালকের দিনটা সময় দেন। প্রেসের টাইপ বসিয়ে অফসেট মেশিনের বড় ক্যামেরায় টাইপগুলো বড়-ছোট একটা প্রতীকী ‘থিম’ তৈরি করে পোস্টারটা বানাই।

সব্বোনাশ—মুজিব ভাইকে বলেছি আপনাকে দিয়া পোস্টারের নকশা করিয়ে আজকেই প্রেসে দিব। প্রেসের টাইপ দিয়া না শিল্পীর হাতের লেখা যাবে পোস্টারে, আপনার কথা শুইনা মুজিব ভাই খুব খুশি হইছে। বলেছে একদম ঠিক আছে। তবে দেরি করা যাইব না। আজ রাইতেই প্রেসে দিতে হইব। কেন আপনাকে দেখালাম না মুজিব ভাই লেইখা দিচ্ছে আজ রাইতেই ছাপতে দাও।

এমন সময় বারান্দা থেকে কিছু পায়ের আওয়াজ কানে আসে। কারা এলো এ সময়। খোলা দরজা দিয়ে ঢুকলেন আমার বড় ভাই ডা. সুলেমান খান ও স্বপন ভাবী। আমাদের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকের এক তলায় থাকেন। রোজই একবার সময় করে ছোট ভাই বোনদের খোঁজখবর নিয়ে যান। নূরুল ইসলাম ভাইকে দেখে খুশি হন। তার দিকে হাত বাড়িয়ে মোলাকাত করতে করতে বলেন—কিছু একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে মনে হচ্ছে? তা নূরুল ইসলাম সাহেব নির্বাচন তো খুবই কাছে। সারা দেশে নির্বাচনমুখী একটা জোয়ার এসে গেছে। গণতন্ত্রের দিকে দেশ ধীরে ধীর এগোচ্ছে শেষ রক্ষা হলে ভালো। কারণ সামরিক শাসকদের বিশ্বাস করা যায় না। গত ১৪ বছরে দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন ও গণজাগরণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা স্বায়ত্ত শাসনের দাবি। স্বায়ত্ত শাসনের বিষয়টা শেখ মুজিবের কারণেই মানুষ বুঝতে পেরেছে বেঁচে থাকার জন্যই তাই এবারের নির্বাচনে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি আমাদের কমিউনিস্ট পার্টিসহ প্রগতিবাদী রাজনীতিকরা আস্থাশীল। নূরুল ইসলাম পোস্টারের বিষয় লেখা কাগজটা ডা. সুলেমানের হাতে দিয়ে বললেন—একটা নতুন পোস্টার তৈরি করছি আমরা। বিষয়টা দেখুন। পোস্টারের বিষয়টা ভালো করে পড়ে নিয়ে সুলেমান বললেন— করেছেন কী। অসাধারণ বিষয়। ২২ বছর ধরে পাকিস্তানের মৌলবাদ ও স্বৈরাচার সরকারের অমানুষিক দুঃশাসনের তালিকা। পূর্ব পাকিস্তানের এই বৈষম্যের শিকার হয়েও এখন আরও শক্তিশালী হবে এবং সামরিক শাসনকে সহজেই বিদায় জানাবে। নূরুল ইসলাম সাহেব আওয়ামী লীগকে বলুন এই বৈষম্যের পোস্টারের খবর ইংরেজি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিক পাক সামরিক সরকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে যে মানুষ বলে গণ্য করে না এবং কীভাবে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা কমিউনিস্ট পার্টি থেকেও এ কাজটা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নূরল ইসলাম সাহেব। আপনারা কাজ করুন আমি আসছি।

এবার পোস্টারটা আঁকতে হয়। সময় একদম নেই। সাড়ে ১০টার মধ্যে না হলে প্রেস ধরতে অসুবিধা হবে। আড়াই ঘণ্টা হয়ে গেল বিদ্যুৎ তখনো নেই। মোমবাতিও ধীরে ধীরে পুড়ে কমে যাচ্ছে। নূরুল ইসলাম ভাই হঠাৎ উঠে দাঁড়ালেন। কী একটা জরুরি বিষয় মনে পড়েছে। তার হাবভাব তাই মনে হলো। বললেন—হাশেম ভাই আপনার পকেটে ২০টা টাকা আছে? আগামীকাল দিয়ে দেব। একটা কাজ ভুলে গিয়েছিলাম। আপনি কাজটা শেষ করেন আমি অল্পক্ষণের মধ্যেই আসছি।

হঠাৎ তার ২০ টাকা কেন জরুরি প্রয়োজন মনে হলো বুঝতে পারলাম না। যাই হোক ফিরে এলে জানা যাবে। সে সময় ২০ টাকা দিয়ে অনেক কাজ করা যেত। পোস্টারটি আঁকার একটি সহজ ও স্বাভাবিক চিন্তা মাথায় এসে যায়। আঁকতে ও লিখতে শুরু করি। নিবিষ্ট মনে লিখে যাচ্ছি একটা একটা করে বৈষম্যের বিষয়। নির্দিষ্ট নকশা ছকের মধ্যে সেগুলোকে সাজাচ্ছি। একটা সময়ে এসে শেষ হলো আমার পোস্টার আঁকা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম। পা ঝাড়লাম অনেকক্ষণ বসে থাকাতে পা খানিকটা আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ আলো জ্বলে উঠল। চারদিকে ঝলমলে উজ্জ্বল। আর তক্ষুনি ঘরে পা রাখল নূরুল ইসলাম। তিনি চলে এসেছেন। ঘড়ি দেখলাম। রাত ১০টা ২০ মিনিট।

—বাহ্ আমিও ঢুকলাম আর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ এসে গেল। তারপর আমার আঁকা পোস্টারের দিকে তাকিয়ে পরক্ষণে উল্লসিত হয়ে বলে উঠলেন— আপনার আঁকাও শেষ। খুব সুন্দর খুব সুন্দর...

আমার দিকে তাকিয়ে একটু থেমে হাসি হাসি মুখেই কিছু একটা বলতে গিয়ে থামলেন। ভুরুটা একটু কুঁচকালেন। আমি বুঝে ফেললাম তিনি কী বলতে চান। বলুন না নুরুল ইসলাম ভাই, কী বলতে চান। আমি বুঝতে পেরেছি। পোস্টারে শুধুই লেখা। সাদামাঠা লেখা। নকশা কই ছবি নেই। কেমন লাগবে তাই না?

—না না আপনি যা আঁকছেন সেটাই তো নকশা। ছবির কথা নকশার কথা আপনিই বলেছিলেন হাশেম ভাই।

—নুরুল ইসলাম ভাই এ বৈষম্য দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও শাসকদের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ প্রত্যেকটি বর্ণে, প্রত্যেকটি বৈষম্যের কথায়। আমি অক্ষরগুলোকে খুব সহজ ও সাবলীলভাবে লিখেছি। কোথাও কাঁপা কাঁপা এটুকু নড়ে চড়ে যেন ওরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এই ক্ষোভের মধ্যে আছে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ। ছক আঁকতে গিয়েও কোনো স্কেল ব্যবহার করিনি। লেখাগুলোও সেজন্য ধরে ধরে লিখিনি। স্বাভাবিকভাবে লিখেছি। এর মধ্যে কোনো নকশা, ছবি ব্যবহার করলে উপরের বৈশিষ্ট্যগুলো নষ্ট হতো বলে আমি মনে করি। তাই পোস্টারটির বিষয়ের আবেগ ও প্রতিক্রিয়াকেই গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সাদামাঠা নকশায় পোস্টারটি তৈরি করেছি। এত ব্যাখ্যার দরকার কি হাশেম ভাই। আপনি শিল্পী, আপনি স্বাধীনভাবেই নিজের চিন্তাকে প্রকাশ না করলে এই পোস্টার বলেন বা যে কোনো ছবির আবেদন সফল হবে না।

আপনি ২০ টাকা নিয়ে হঠাৎ হাওয়া হয়ে গেলেন কোথায়? আরে প্রেসে ৪-৫ জনকে বসিয়ে রেখে এসেছিলাম। ওরাতো সারারাত ধরে পোস্টারটা ছাপবে। প্রেসের মালিক যে রকম কিপটা ওদের ঠিকমতো খাওয়াবে না। বলে ওরাতো বাড়তি খাটার জন্য টাকা পাবে সেখান থেকেই খরচ করে খাবে? ওরাতো সন্ধ্যা থেকেই বসে আছে। বসে বসে বিরক্ত হয়ে যদি চলে যায়? তাই ছুটে গেলাম সবাইকে পেট ভরে খাওয়ার জন্য মোরগ পোলাও দিলাম, ফানটা দিলাম আর সারা রাতের কাজের ফাঁকে ফাঁকে চা বিস্কুট খাওয়ার জন্য সব কিনে দিয়ে এলাম। প্রেসে মালিক পোস্টার ছাপার কাগজ নিয়ে এসেছে সেটাও দেখে এলাম।

নূরুল ইসলামের সব দিকেই খেয়াল। খেটে খাওয়া মানুষ, সাধারণ মানুষ, তাদের প্রতি তিনি সব সময়ই যত্নবান তা নূরুল ইসলাম ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই দেখে এসেছি। রিকশায় কখনো দরদাম ঠিক করে উঠতেন না, ভাড়া দেওয়ার সময় প্রায়শই ঠকতে হতো। রিকশাওয়ালারা তাই সুযোগ বুঝে বেশি ভাড়া চাইতো। হাসিমুখেই তিনি সাধ্যমতো বেশি ভাড়াই দিতেন, কখনো কখনো রিকশাওয়ালার চেহারা স্বাস্থ্য, তার ক্লান্তদেহ, ঘাম ইত্যাদি বিচার করে যা চাইতো তাই দিতে দিতে বলতেন বেশি ভাড়া দিলাম— একটা কলা কিন্না খা, এক গেলাস দুদ খাবি, একটা আন্ডা খাবি যা। পারলে বৌ বাচ্চার জন্য কলা কিন্না নিস। নে আরও দিলাম। অথচ অবাক হওয়ার বিষয় নূরুল ইসলাম কখনই সচ্ছল ছিলেন না। সারা জীবন ভর তার ধ্যান ধারণা কাজ দেশের মানুষের জন্য, রাজনীতি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য হয়ে বিশ্বাসভাজন ও আস্থাশীল কর্মী হিসেবে। আওয়ামী লীগের সব নেতার কাছেই তার গ্রহণযোগ্যতা অপরিসীম। বেগম ফজিলাতুননেসা তাকে সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। নূরুল ইসলামও ‘মুজিব ভাই’ বলতে ছিলেন ছায়ার মতো তার পাশে থেকেছেন সারা জীবন। বেগম মুজিবকে সম্বোধন করতেন ভাবী বলে। প্রায়শই গল্প করেই বলতেন মুজিব ভাই তো জেলেই থাকতেন। পুরো সংসার, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সব ঝামেলাকেই সামলাতেন ভাবী। কী পরিমাণ কষ্ট যে তিনি করেছেন তা কাউকে বলতে চাইতেন না। অন্যদিকে শুধু নিজের সংসার নয়, আত্মীয় স্বজনের প্রয়োজন এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক কাজেই তিনি নীরবে করে যেতেন। ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ পোস্টারটি প্রথম দিন ছাপা হয় ১০ হাজার কপি। রাস্তায় দেয়ালে লাগানোর পর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অনেক মহিলা ও কিশোর কিশোরীকে দেখেছি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাগজে বৈষম্যের’ বিষয়টি টুকে নিচ্ছে।

নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে এর পর পোস্টারটি ছোট আকারে বা ‘লিফলেটের’ মতো করে লাখ লাখ কপি ছেপে মানুষের মাঝে বিলি করা হয়। বড় আকারেও পোস্টারটি কয়েক লাখ ছেপে বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পাকিস্তান স্বৈরশাসকদের হঠকারিতা ও অমানবিকতার মুখোশটি তুলে ধরা হয়। ধীরে ধীরে এই পোস্টারের আবেদন দেশে বিদেশে বিপুল আলোড়ন তোলে। যার ফলাফল দেখি ১৯৭০ এর নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর পতন যারা ছিল স্বৈরশাসকদের ও সাম্রাজ্যবাদী সাম্প্রদায়িক আধিপত্যবাদী মোর্চার লালিত পালিত দল। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। পরবর্তীকালেও এই ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ শিরোনামের পোস্টার আমাদের নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী মানুষদের প্রেরণা ও শক্তি হিসেবে বিজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

এই মাত্র | রাজনীতি

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : ফখরুল
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : ফখরুল

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির

১২ মিনিট আগে | রাজনীতি

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি
চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি

২৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ

৩৫ মিনিট আগে | শোবিজ

গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

৩৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড
২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল
লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের
মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ
জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাকসু নির্বাচন: অনলাইনে উস্কানি ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে কমিশন
শাকসু নির্বাচন: অনলাইনে উস্কানি ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে কমিশন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন
শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের
লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা