শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ আপডেট:

বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে পীর-আউলিয়া

মোস্তফা কাজল
প্রিন্ট ভার্সন
বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে পীর-আউলিয়া

ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আমরা জানি, ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদিত হলে এক স্বস্তির হাওয়া প্রবাহিত হয় আরব ভূখন্ডে। বহু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকেন। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দল আসতে থাকে মদিনা মুনাওয়ারায়। এ সময় চারদিকে ইসলাম প্রচারে সাড়া পড়ে। চীন-সুমাত্রাগামী বাণিজ্য নৌবহরে যাওয়ার পথে কোনো কোনো সাহাবি বাংলার বন্দরে যাত্রাবিরতি দিয়ে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেন। ৬৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে এ দেশে ব্যাপকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু হয়। ইসলাম প্রচারকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- হজরত বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.), হজরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহ.), হজরত শাহজালাল (রহ.), হজরত শাহ পরান (রহ.), হজরত খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (রহ.) এবং হজরত শাহ আলী বাগদাদি (রহ.) প্রমুখ। এসব নিয়ে আজকের আয়োজন-

 

হজরত শাহপরান

হজরত শাহপরানের মাজার সিলেট শহরের একটি পুণ্য তীর্থ বা আধ্যাত্মিক স্থাপনা। মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলায় আসা ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহজালাল (রহ.)-এর অন্যতম সঙ্গী ও অনুসারী ছিলেন শাহপরান (রহ.)। সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় অবস্থিত এই আউলিয়ার আস্তানা। শাহজালালের দরগাহ থেকে প্রায় আট কিমি. দূরত্বে শাহপরানের মাজার অবস্থিত। শাহজালালের দরগাহর মতো এ মাজারেও প্রচুর দর্শনার্থী ও ভক্তের আগমন ঘটে। ঐতিহাসিক মুমিনুল হকসহ অনেকেই লিখেছেন, সিলেট বিভাগ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় শাহপরানের দ্বারা মুসলিম ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার হয়েছে। সিলেট শহরের পূর্বদিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার ওপর একটি প্রকান্ড বৃক্ষের নিচে রয়েছে শাহপরানের কবর। মাজার টিলায় ওঠা-নামার জন্য মাজার প্রাঙ্গণে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় আট থেকে ১০ ফুট উঁচু দেখায়। এই সিঁড়িটি মোগল আমলে নির্মিত বলে লোকমুখে শোনা যায়। মাজারের পশ্চিম দিকে মোগল বাদশাহদের স্থাপত্য কীর্তিতে নির্মিত তিনটি গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে প্রায় ৫০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন। মাজার টিলা থেকে প্রায় ১৫-২০ ফুট দক্ষিণ-পশ্চিমে মহিলা পর্যটক এবং ভক্ত ও আশেকানদের জন্য একতলা বিশিষ্ট দালান রয়েছে। উক্ত দালানের অল্প পরিসর দক্ষিণ-পূর্বে আরেকটি ঘর দেখতে পাওয়া যায়। এই ঘরখানা মূলত বিদেশি পর্যটকের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ঘরের পাশেই একটি পুকুর আছে। যা অজু-গোসলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শাহপরানের পূর্বপুরুষগণ মূলত বুখারির অধিবাসী ছিলেন। তাঁর ঊর্ধ্বতন চতুর্থ পুরুষ শাহজামাল উদ্দিন, বুখারি থেকে ধর্ম প্রচারে প্রথমে সমরখন্দ ও পরে তুর্কিস্তানে এসে বসবাস করেন। শাহপরানের পিতা মোহাম্মদও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মাতা হজরত শাহজালালের আত্মীয় সম্পর্কে বোন ছিলেন। সেই হিসেবে শাহপরান হচ্ছেন শাহজালালের ভাগ্নে। শাহপরানের বয়স যখন ১১ বছর তখন তিনি তাঁর পিতাকে হারান। পরবর্তীকালে তাঁর আত্মীয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবিরের কাছে ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। শাহজালাল যখন এ দেশের উদ্দেশে যাত্রার উদ্যোগ নেন, এ সময় শাহপরান খবর পেয়ে মামার সাহচার্য লাভের আশায় হিন্দুস্তানে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর হজরত শাহজালালের আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহপরান সিলেটের নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তীকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকা পেলে হজরত শাহজালালের নির্দেশে তিনি (শাহপরান) সিলেট শহর থেকে ছয় মাইল দূরবর্তী দক্ষিণকাছ পরগনাস্থিত খাদেমনগর এলাকায় এসে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে বসতি স্থাপন করেন। এখানেই জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করে বর্তমান মাজার টিলায় চিরনিদ্রায় শায়িত হন। শাহজালাল সিলেট আগমনকালে দিল্লি থেকে আসার সময় নিজামউদ্দিন আউলিয়া প্রদত্ত এক জোড়া কবুতর সঙ্গে আনেন। কবুতর জোড়া সিলেট নিয়ে আসার পর বংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং শাহজালালের কবুতর বলে জালালি কৈতর নামে খ্যাত হয়। কথিত আছে, ধর্মীয় অনুভূতির কারণে এই কবুতর কেউ শিকার করতেন না। শাহপরান বিষয়টি আমলে না নিয়ে, প্রতিদিন একটি করে কবুতর খেতেন। কবুতরের সংখ্যা কম দেখে শাহজালাল অনুসন্ধানে মূল ঘটনা জেনে রুষ্ট হন। এ কথা শাহপরান জানতে পেরে গোপন করে রাখা মৃত কবুতরের পালক হাতে উঠিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে বললেন; আল্লাহর হুকুমে কবুতর হয়ে শাহজালালের কাছে পৌঁছে যাও। সঙ্গে সঙ্গে পালকগুলো একঝাঁক কবুতর হয়ে শাহজালালের কাছে পৌঁছে গেল।

শাহজালাল ভাগ্নেকে ডেকে বললেন- তোমার অলৌকিক শক্তি দেখে আমি সন্তুষ্ট হয়েছি। এভাবে কেরামত প্রকাশের কারণে মানুষ ভুল ব্যাখ্যায় পতিত হতে পারে। এরপর শাহপরানকে খাদিমনগর এলাকায় ইসলাম প্রচারের নির্দেশ দিয়ে সেখানে পাঠিয়ে দেন। শাহপরান খাদিমনগরে ইসলাম প্রচারে তাঁর জীবনের শেষ পর্যন্ত নিজেকে ব্যস্ত রাখেন এবং এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হন।

 


হজরত শাহজালাল

৩৬০ আউলিয়ার দেশ বাংলাদেশ। এ দেশে ইসলাম প্রচারে রয়েছে ওলি-আউলিয়াদের অনন্য অবদান ও কৃতিত্ব। তাঁদের ত্যাগ ও নিরলস চেষ্টার ফলে এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ হয়ে ওঠে। শিরকি ও একাধিক উপাসকের পথ ছেড়ে এক আল্লাহর প্রতি ইমান ও বিশ্বাস স্থাপন করেন। এই ওলি-আউলিয়াদের প্রাণপুরুষ ও নেতা ছিলেন হজরত শাহজালাল (রহ.)। যিনি ঘুমিয়ে আছেন সিলেটের মাটিতে। আজো লাখো ভক্তের ভালোবাসা ও দোয়ায় সিক্ত হচ্ছে তাঁর কবর। তিনি ইসলাম প্রচারক হিসেবে বাংলাদেশের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন। বেঁচে আছেন এ দেশের মানুষের হৃদয় ও মননে। হজরত শাহজালাল (রহ.) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি ও দরবেশ ছিলেন। তিনি ৬৭১ হিজরি সনে বা ইংরেজি ১২৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন আরব ও আজমের হেজাজ ভূমি তৎকালীন ইয়েমেন প্রদেশের কুনিয়া নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতার নাম শায়খ মুহাম্মদ (রহ.)। তিনি প্রখ্যাত সুফি জালাল আদ-দীন মুহাম্মদ রুমি (রহ.)-এর সমসাময়িক ছিলেন। তাঁর মাতার নাম সৈয়দা ফাতিমা হাসিনা সাইদা। মাত্র তিন মাস বয়সে তাঁর স্নেহময়ী মাতা এবং পাঁচ বছর বয়সে তাঁর বাবা ইন্তেকাল করেন। মাতৃ ও পিতৃহারা শিশু জালালের দায়িত্ব নেন মামা হজরত সৈয়দ শায়খ আহমদ কবির সুহরাওয়ার্দী (রহ.)। হজরত শাহজালাল (রহ.) একদিন স্বপ্নযোগে রসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে তৎকালীন ভারতবর্ষের গৌড় রাজ্যে ইসলাম প্রচারের আদেশপ্রাপ্ত হন। হজরত শাহজালাল (রহ.) এই স্বপ্নের কথা সৈয়দ আহমদ কবির (রহ.) কে বলেন। এ কথা শুনে তিনি হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর হাতে এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেন, ‘যে স্থানের মাটির রং ও গন্ধ এই মাটির সঙ্গে মিলে যাবে সেখানেই তুমি অবস্থান করবে। সেখানে থেকে তুমি ধর্ম প্রচার শুরু করবে।’ সৈয়দ আহমদ কবির (রহ.)-এর দোয়া নিয়ে হজরত শাহজালাল (রহ.) ইসলাম ধর্ম প্রচার অভিযানে আরবের মক্কা থেকে বিদায় নেন।

হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ইসলাম প্রচারকালে যে কজন সঙ্গী ছিলেন তার মধ্যে প্রধান ছিলেন হাজী ইউসুফ, হাজী খলিল, হাজী দরিয়া এবং চশনী পীর। হিন্দুস্তান আসার আগ পর্যন্ত সমরবান্দ থেকে সৈয়দ ওমর, রোম থেকে করিমদাদ, বাগদাদ থেকে নিজামউদ্দীন, ইরান থেকে জাকারিয়া ও শাহ দাউদ এবং সৈয়দ মুহাম্মদ প্রমুখ তাঁর অনুগামী হলেন। তাদের নিয়ে হজরত শাহজালাল ভারতবর্ষে প্রবেশ করলেন। এরপর মুলতান থেকে আরিফ, গুজরাট থেকে জুনায়েদ, আজমির থেকে মুহাম্মদ শরিফ, দাক্ষিণাত্য থেকে সৈয়দ কাসিম, মধ্য প্রদেশের হেলিম উদ্দিন প্রমুখ মুরিদ হয়ে তাঁর সঙ্গে চললেন। এভাবে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি পর্যন্ত এসে পৌঁছলেন। তখন শিষ্যদের সংখ্যা ছিল ২৪০ জন। ভারতে পৌঁছার পর তিনি খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)-এর (১১৪১-১২৩০) মাজার জিয়ারত করেন। পরবর্তীতে তিনি সুলতানুল মাশায়েখ হজরত নিজামউদ্দীন আউলিয়া (রহ.)-এর (১২৩৮-১৩২৫) আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। বিদায়কালে তিনি হজরত শাহজালালকে দুই জোড়া কবুতর উপহার দেন, যা জালালি কবুতর নামে পরিচিত। হজরত শাহজালাল সিলেট এলাকাসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন। তিনি উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক ছিলেন।

হজরত শাহজালাল তাঁর শেষ জীবন পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করে গেছেন। ইসলাম প্রচারে তিনি অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর অতুলনীয় ব্যবহার ও অনন্য গুণাবলিতে আকৃষ্ট হয়ে বহু হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ইসলামের শান্তির বাণী গ্রহণ করেন। যখন তিনি সিলেটে আস্তানা করেন, তখন তাঁর সাহচর্য পাওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসতে থাকেন। তিনি এসব মানুষকে ইসলাম ধর্ম ও জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন। একই সঙ্গে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনার্থে তিনি তাঁর শিষ্যদের বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচারের আদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দেন। এর মধ্যে হজরত শাহপরান সিলেট, হজরত শাজ মালেক ঢাকায়, সৈয়দ আহমদ ওরফে কল্লা শহীদ কুমিল্লায়, হজরত বুরহান উদ্দিন কাত্তান ও হজরত বদুরুদ্দীন চট্টগ্রামে, হজরত শাহ কামাল কাত্তানী (রহ.) সুনামগঞ্জ প্রমুখ। ইবনে বতুতার বর্ণনা অনুযায়ী হজরত শাহজালাল (রহ.) ১৫০ বছর বয়সে ১৩৪৭ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে সিলেটেই সমাহিত করা হয়।

 


হজরত শাহ আলী বাগদাদি

রাজধানীর মিরপুরবাসীর কাছে হজরত শাহ আলী বাগদাদি (রহ.) একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম। তিনি ২০ বছর বয়সে ১০০ জন সুফি সাধক ও দরবেশ নিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য বাগদাদ থেকে দিল্লি আসেন। সেই সময় তুঘলক বংশের শেষ সুলতান নাসিরউদ্দিন মামুদ শাহ দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ইরাক থেকে দিল্লি আসার পথে অমূল্য সম্পদ সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। তার মধ্যে ছিল হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র কেশধাম ও বড়পীর আবদুল কাদের জিলানি (রহ)-এর জুব্বা। তিনি নিজে ছিলেন একজন রাজপুত্র। তিনি মহান আল্লাহর প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তাঁর নির্দেশিত পথে মাতৃভূমি বাগদাদ ত্যাগ করেন। পরে দিল্লিতে এসে তিনি আল্লাহ ও রসুলের নির্দেশিত পথে ইলমে তাসাউফ অর্জন করেন। তিনি সৈয়দ আলাউদ্দিন শাহর এক রাজকন্যাকে বিয়ে করেন। এই তাপস শাহ আলী বোগদাদির (রহ.) পরিচয় দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়ে। ইসলাম প্রচারের উদ্দেশে তিনি ৮৩৭ হিজরি বা ১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে ফতেহাবাদে আগমন করেন। সেখান থেকে তিনি ঢাকার মিরপুরে চলে আসেন। মিরপুরে আসার পর তিনি বিধর্মীদের অত্যাচারের মুখোমুখি হন। তবু একটি মুহূর্তও তারা আল্লাহর বাণী প্রচার করা থেকে তাঁকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিশতিয়া তরিকার অনুসারী ছিলেন। তাঁর সময় পুরো মিরপুর গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। সে সময় সমগ্র মিরপুরে হাজার হাজার মূর্তিপূজারি মূর্তিপূজা ত্যাগ করে আল্লাহর কাছে সমর্পিত হয়। হজরত শাহ আলী বাগদাদি (রহ.) শেষ বয়সে মোরাকাবা করতে গিয়ে চল্লিশ দিন তাঁর হুজরাখানায় অবস্থান করছিলেন। শিষ্যরা চল্লিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর যখন দেখলেন তিনি আর হুজরাখানা থেকে বের হচ্ছেন না, তখন সবাই দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখলেন এই মহান ওলি দুনিয়ার মায়া পরিত্যাগ করে মহান রাব্বুল আলামিনের চিরপবিত্র দরবারে চলে গেছেন।

তিনি সারা রাত সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করতেন। বছরের ছয় মাস নফল রোজা রাখতেন। ঢাকার মিরপুর-১ নম্বর এ সুলতানুল আউলিয়া হজরত শাহ আলী বাগদাদি (রহ.) পবিত্র মাজার শরিফ রয়েছে।

 


হজরত শাহ মখদুম রুপোশ

চৌদ্দ শতকে একজন মুসলিম দরবেশ রাজশাহী অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেছিলেন। তিনি হলেন শাহ মখদুম রুপোশ। ‘মখদুম’ অর্থ ধর্মীয় নেতা। ‘রুপোশ’ অর্থ আচ্ছাদিত। শাহ মখদুমের আসল নাম ছিল আবদুল কুদ্দুছ জালালুদ্দীন। বিভিন্ন সময়ে ধর্ম এবং জ্ঞান সাধনায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য তার নামের সঙ্গে শাহ মখদুম ‘রুপোশ’ নামগুলো যুক্ত হয়। হজরত শাহ মখদুম হজরত আলী (রা.)-এর বংশধর ছিলেন। বড়পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানি তাঁর আপন দাদা। ১২৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি তার বড় ভাই সৈয়দ আহমদ ওরফে মীরন শাহকে নিয়ে বাগদাদ থেকে এ দেশে আসেন।

কাঞ্চনপুরের সন্নিকটে শ্যামপুরে খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি রাজশাহী জেলার চারঘাট থানায় চলে যান। প্রচলিত কাহিনি থেকে জানা যায়, চিশতিয়া তরিকার একটি উপদলের দরবেশদের মতো তিনি তার মুখমন্ডল এক টুকরা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতেন। এ কারণে তাঁকে রুপোশ বলা হতো। কিছুদিনের মধ্যেই তার আবাসস্থলের নামকররণ করা হয় মখদুম নগর। ১২৮৮ খ্রিস্টাব্দে শাহ মখদুম রুপোশ বাঘা অর্থাৎ মখদুম নগর থেকে রামপুর বোয়ালিয়ায় চলে আসেন। এখানে তার আগমনের সঙ্গে অনেক অলীক কাহিনি এবং তার কারামত সম্পর্কে প্রচুর কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। তিনি ওই এলাকার অত্যাচারী তান্ত্রিক রাজাকে পরাজিত ও নিহত করে শাহ তুরকান শহীদ হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। জনগণকে অত্যাচারী রাজার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। শাহ মখদুম বিভিন্ন স্থানে খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম (রহ.) এর দরগা রাজশাহী মূল শহরের দরগাহপাড়ায় অবস্থিত। হজরত শাহ মখদুম (রহ.)-এর দরগাকে মাজার বলা হয়। কারণ এটি হজরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহ.)-এর কবরের পাশেই অবস্থিত। কথিত আছে, শাহ মখদুম কুমিরের পিঠে চড়ে নদী পার হতেন, রাজশাহীতে এসেছিলেন কুমিরের পিঠে বসে। এ কারণে সবাই তাঁর বশ্যতা স্বীকার করতেন বলে জনশ্রুতি আছে। বর্তমানে শাহ মখদুমের কবরের পাশে সেই কুমিরটির কবর রয়েছে।

 


হজরত শাহ্ খাজা শরফুদ্দিন চিশতি

হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহির দ্বিতীয় স্ত্রী হজরত বিবি ইসমতের গর্ভে ও হজরত শাহ্ খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহির ঔরসে তিনি ৬২৮ হিজরি ১২৩০ খ্রিস্টাব্দে ভারতের আজমির শরিফে জন্মগ্রহণ করেন

 

শরফ হজরত শাহ্ খাজা শরফুদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরিব উন নওয়াজ হজরত খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহির দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন। হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহির দ্বিতীয় স্ত্রী হজরত বিবি ইসমতের গর্ভে ৬২৮ হিজরি মোতাবেক ১২৩০ খ্রিস্টাব্দে ভারতের আজমির শরিফে জন্মগ্রহণ করেন। হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিত ফাতেয়াইদুল ফুয়াদ এবং তাঁর খলিফা হজরত নাসির উদ্দিন চেরাগি রচিত খায়রুল মঞ্জিল পুস্তকের বর্ণনায় এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ওলি-এ-বাংলার প্রকৃত নাম ছিল খাজা হুসাম উদ্দিন  আবু সালেহ চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হজরত খাজা ফখর উদ্দিন আবুল খাইর চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হজরত শাহ্ খাজা গরিব উন নওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহির প্রথম স্ত্রী বিবি আমাতুল্লাহর গর্ভজাত এবং ওই একই মাতার গর্ভে তাঁর একমাত্র বোন হজরত বিবি হাফেজা জামাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা হজরত খাজা গিয়াস উদ্দিন আবু সাইয়েদ চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর গর্ভধারিণী মাতা বিবি ইসমতের গর্ভজাত ছিলেন। পিতৃকুলে এই ওলি মহান ওলি সাইয়েদ ছিলেন এবং বংশধারা পিতা হজরত খাজা গরিব উন নওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহির মাধ্যমে রসুল করিম হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রক্তধারার সঙ্গে সংমিশ্রিত ছিল। ওলি-এ-বাংলার পাঁচ বছর বয়সে ৬ রজব ৬৩৩ হিজরি ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পিতা হজরত খাজা গরিব উন নওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইন্তেকাল করেন। ফলে সে সময়ে তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হজরত খাজা ফখর উদ্দিন আবুল খাইর চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহির পরিচর্যায় তিনি লালিত-পালিত হন। পরে তিনি দিল্লিতে হজরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহির হাতে বাইয়াত হন। ৬৬৩ হিজরি ১২৬৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হজরত খাজা ফখর উদ্দিন আবুল খাইর চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হিন্দু দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে যুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন। ভ্রাতার শাহাদাতে হজরত হুসাম উদ্দিন খুবই মর্মাহত হন ও আজমির শরিফ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল ৪৫ বছর। এক রাতে তিনি পিতা হজরত খাজা গরিব উন নওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহির নিকট থেকে বাশারত লাভ করেন। পূর্বদিকের দেশে গমন করেন এবং দ্বীনের খেদমত করার নির্দেশ লাভ করেন। এই অবস্থায় কাউকে কিছু না জানিয়ে একদিন গভীর রাতে হেটে দিল্লির উদ্দেশে আজমির শরিফ ত্যাগ করেন। একই সময়ের কিছু পূর্বে হজরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বঙ্গদেশে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশে দিল্লির হজরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে ১২ জন আউলিয়া সহযোগে বঙ্গদেশের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে আরও বহু আউলিয়া দরবেশ তাঁর সঙ্গী হন। হজরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহির এই কাফেলার সঙ্গে হজরত হুসাম উদ্দিন মুলতান, ইরান, আফগানিস্তান, বিহার প্রভৃতি দেশ হেঁটে পাড়ি দেন। পরে বঙ্গদেশের সপ্তগ্রামে উপস্থিত হন। সপ্তগ্রাম তখন ছিল মুসলিম সুলতান শামস্ উদ দীন ফিরোজ শাহ্র রাজ্য লাখনৌতির অন্তর্গত। পরে শ্রীহট্টে বা সিলেটে হজরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহির সঙ্গে তিনি দুই বছর অবস্থান করেন। তাঁর সোহবতে ফয়েজ ও বরকত লাভ করেন। হজরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর নাম রাখলেন শরফুদ্দিন। সেই থেকেই হজরত হুসাম উদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হজরত খাজা শরফুদ্দিন চিশতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি নামে পরিচিত হন। এরপর ৭০৩ হিজরির ১৩০৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি হজরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে দ্বীন প্রচারের উদ্দেশে শ্রীহট্ট থেকে দক্ষিণবঙ্গের দিকে নৌকাযোগে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত হজরত শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা প্রতিষ্ঠিত খানকা শরিফে কিছুকাল অবস্থান করেন। পরে সুফি দরবেশদের পরামর্শে রমনা নামক এক গ্রামে অবস্থিত এক কালীমন্দিরের পাশে বসবাসকারী জনগণের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে নামেন। তিনি ওই এলাকার উদ্দেশে সোনারগাঁও থেকে নৌকায় রওয়ানা হন। নৌকার মাঝির জানা মতে তিনি ওই কালীমন্দিরের কাছাকাছি স্থানে আসার জন্য বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত এক খালপথের শেষ প্রান্তে আসেন। পরে গভীর জঙ্গলাকীর্ণ কিন্তু সরু এক পায়ে চলা পথের পাশে অবতরণ করেন। স্থানটি নির্জন ও লোকালয়শূন্য হওয়ায় তাঁর খুব পছন্দ হয়। এখানেই তিনি আস্তানা গাড়েন। এই খালটি দিয়েই ওলি-এ-বাংলা ওই স্থানে এসে নৌকা থেকে অবতরণ করেন। এখনো সেই কালীমন্দির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতর দাঁড়িয়ে আছে। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে এখানে শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় গুরুদুয়ারা নানকশাহী প্রতিষ্ঠিত হয়। ১১০০ খ্রিস্টাব্দে নেপালের বদ্রীনাথ যোশী মঠের শংকরাচার্য স্বামী গোলাপ গিরির নেতৃত্বে একদল তীর্থ দর্শনার্থী রমনা গ্রামে এসে সেখানে আস্তানা গড়ে তোলেন। কালীমন্দির প্রতিষ্ঠাকল্পে একটি কাঠঘর মন্দির নির্মাণ করে কালীপূজা শুরু হয়। তখন মানবসেবার ব্রত নিয়ে এই মহান ওলির কণ্ঠে ধ্বনিত হলো- আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এই উচ্চারণে সিরাতুল মুস্তাকিম স্পষ্ট হয়ে ওঠে পথভ্রষ্ট মানবকুলের সামনে। হিজরি ৭০৪ মোতাবেক ১৩০৬ খ্রিস্টাব্দে ওলি-এ-বাংলা এখানকার আস্তানা থেকে ইসলাম প্রচারে লিপ্ত হন। ওলি-এ-বাংলার চরিত্র মাধুর্য ও পুণ্যাত্মার পরিচয় পেয়ে হিন্দু জনগণ তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকেন। দীক্ষিত হতে থাকেন ইসলাম ধর্মে। তিনি এই অঞ্চলে ইসলামের বাণী প্রচার করতে থাকেন। শত শত হিন্দু তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।

এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, কালীমন্দিরের তান্ত্রিকরাও ওলি-এ-বাংলার নিকট ইসলামের ছায়া সুশীতলে আশ্রয় নেন। এই অঞ্চলে ধীরে ধীরে মুসলিম লোকালয় গড়ে ওঠে। ওলি-এ-বাংলার নামের চিশতি পদবির কারণে এলাকাটি চিশতিয়া মহল্লা নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এই চিশতিয়া মহল্লায় বাড়িঘর, মসজিদ ও কবরস্থান ছিল। প্রায় ৬০০ বছর পর ১৯০৫ সালে এই স্থানে পূর্ববাংলা প্রদেশের বড়লাটের বাসগৃহ নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ব্রিটিশ সরকার। এই এলাকার কবরস্থান নিশ্চিহ্ন করে গভর্নমেন্ট হাউস নির্মাণ করা হয়, যা আজকের পুরাতন হাই কোর্ট ভবনরূপে দাঁড়িয়ে আছে। উল্লেখ্য, শাহ্ চিশতির ইন্তেকালের পরে স্বামী হরিচরণ গিরি রমনা গ্রামের ওই কাঠঘর মন্দির ভেঙে পাকা মন্দিরের পত্তন করেন। ভাওয়াল রাজমহিষী রানী বিলাসমণি দেবী তা পাকা মন্দিরে পরিণত করেন। শাহ্ চিশতি তাঁর জীবদ্দশায় ইসলাম প্রচারে যে সংগ্রাম করে গেছেন, তারই ধারাবাহিকতায় রমনা ছাড়িয়ে ইসলামের মহান বাণী ধারেকাছের সর্বত্র পৌঁছে যায়। শত শত মানুষ ক্রমেই তাঁর সোহবতে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ইসলাম প্রচারে কঠোর সাধনার কারণে তিনি ওলি-এ-বাংলা নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ চালক নিহত
মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ চালক নিহত

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১৮ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
১৮ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিলবাওকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ম্যানইউ
বিলবাওকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ম্যানইউ

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আজ গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা; ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু
আজ গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা; ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু

৪১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

প্লে-অফ দৌড়ে ছিটকে গেল রাজস্থান
প্লে-অফ দৌড়ে ছিটকে গেল রাজস্থান

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

উত্তরায় হোটেলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক
উত্তরায় হোটেলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইরানের তেল কিনলেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প
ইরানের তেল কিনলেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক আইজিপি মো. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন
সাবেক আইজিপি মো. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলাপ
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলাপ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যারা সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করে তারা খোদার প্রিয় বন্ধু
যারা সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করে তারা খোদার প্রিয় বন্ধু

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী চোই
পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী চোই

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ নিয়ে যে বার্তা নাহিদের
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ নিয়ে যে বার্তা নাহিদের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মারা গেছেন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মারা গেছেন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটকে মুখর সিলেট
পর্যটকে মুখর সিলেট

৬ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

'রপ্তানি বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী হতে হবে'
'রপ্তানি বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী হতে হবে'

৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহে যশোরে আইইডিসিআরের টিম
মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহে যশোরে আইইডিসিআরের টিম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে : জামায়াত আমির
শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে : জামায়াত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর : সাবেক এমপি শম্ভুসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর : সাবেক এমপি শম্ভুসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে বজ্রপাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টঙ্গীতে বজ্রপাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধিকার আদায়ে প্রবাসীদের সচেতনতা জরুরি : ফয়েজ তৈয়্যব
অধিকার আদায়ে প্রবাসীদের সচেতনতা জরুরি : ফয়েজ তৈয়্যব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ
ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে উড়ে গেল ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট
পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে উড়ে গেল ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভয়ংকরতম দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, জরুরি অবস্থা জারি
ভয়ংকরতম দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, জরুরি অবস্থা জারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া
উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান
করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে বহু ইসরায়েলি সেনা
গাজা যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে বহু ইসরায়েলি সেনা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না : হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর
আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না : হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফরিদপুর জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে
ফরিদপুর জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’
ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সালমানকে প্রেমিক স্বীকার করতে চাইতো না ঐশ্বরিয়া, ছিল দ্বিচারিতা : সোহেল
সালমানকে প্রেমিক স্বীকার করতে চাইতো না ঐশ্বরিয়া, ছিল দ্বিচারিতা : সোহেল

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস
আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন
ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা যেসব অঞ্চলে
পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা যেসব অঞ্চলে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ
ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন
শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রাজশাহীতে বিক্ষোভ
যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রাজশাহীতে বিক্ষোভ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ দেখে লুকাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
পুলিশ দেখে লুকাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত
জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত

১৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়
দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি
গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা সপ্তম দিনেও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি
টানা সপ্তম দিনেও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

“রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি
“রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ
৩ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার
পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান, অথচ গ্যাস-বিদ্যুৎ পাচ্ছে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা: মেঘনা গ্রুপ চেয়ারম্যান
বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান, অথচ গ্যাস-বিদ্যুৎ পাচ্ছে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা: মেঘনা গ্রুপ চেয়ারম্যান

১৮ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

আবারও ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামছেন শোবিজ তারকারা
আবারও ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামছেন শোবিজ তারকারা

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক