৬ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৪৮

১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ

ফাইল ছবি

রোপা আমন। বৃষ্টিনির্ভর ফসল। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন কুমিল্লার কৃষক। ধানের চারার বয়স বেশি হলে ফসল উৎপাদন কম হয়। আশঙ্কা দেখা দেয় রোপা আমন আবাদে। তাই বোরো মৌসুমের মতো সেচ পাম্প চালিয়ে কুমিল্লার মাঠে রোপা আমনে সবুজের ঢেউ তুলেছেন কৃষকরা। কুমিল্লার ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে এখন রোপা আমনের মাঠে সবুজ হাসি দেখা যাচ্ছে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা কাকিয়ার চর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে দোল খাচ্ছে সবুজ ফসল। কেউ জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন। কেউ পোকা দমনের চেষ্টা করছেন। তবে মাঠে যাওয়ার পর কৃষকরা জানালেন ভিন্ন কথা। কাকিয়ার চর এলাকার কৃষক মো. হারুন মিয়াসহ কয়েকজন জানান, এবার রোপা আমন ধান আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই মৌসুমে এত কম বৃষ্টি আর হয়নি। রোপা আমন ধান চাষ নিয়ে বেকায়দায় পড়ি। পরে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের অনুরোধে সেচ পাম্প মালিকরা সেচ পাম্প চালু করেন। তারা পানি দেওয়ার পর রোপা আমন ধানের চারা লাগাই। এই প্রথম সেচ দিয়ে রোপা আমন ধানের চাষ করি। পাম্পচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা ২০ বছর ধরে সেচপাম্প চালাই। সাধারণত বোরো মৌসুমে পাম্প চালাই। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে ২৫০ একর জমিতে সেচ দেই। নিমসার ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ ভুইয়া বলেন, এবার খরার কারণে রোপা আমন লাগান যাচ্ছিল না। তাই কৃষকদের তাগিদ দিয়ে পাম্প চালকদের উদ্বুদ্ধ করে ধান লাগানো হয়। সময়মতো আবাদ হওয়ায় ধানের ভালো ফলন পাওয়া যাবে, সঙ্গে তারা পরবর্তী ফসল সময়মতো লাগাতে পারবেন। বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন,  বুড়িচং উপজেলায় এ বছর রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমি। আষাঢ় ও শ্রাবণ ২ মাসে ৭২ ও ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। দেরিতে ধান রোপণ করা হলে ফসল কমে যায়। তাই উপ-পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় ভাদ্র মাসে আমরা মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ৫৩৫টি সেচ পাম্প চালানোর ব্যবস্থা করি। এতে আমরা শতভাগের বেশি জমিতে রোপা আমন ধান লাগাতে সক্ষম হই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ৪২ বছরের মধ্যে এবার প্রথম কুমিল্লায় বর্ষাকালে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। এতে বৃষ্টিনির্ভর রোপা আমন চাষ করা যাচ্ছিল না। এবার রোপা আমন আবাদে আমাদের বড় ধরনের সংগ্রাম করতে হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে প্রশাসন, পাম্প মালিক, কৃষক ও কৃষির মাঠ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সেচযন্ত্র চালুর ব্যবস্থা করেছি।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর