পলিনেট হাউজে চারা উৎপাদনে সফল হয়েছেন ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভার চরপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম। সাধারণত তীব্র খরা, অতিবৃষ্টি, শীত কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে বীজ তলা নষ্ট হয় ও ব্যাহত হয় চারা উৎপাদন। এসব সমস্যা এড়াতে নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ায় পলিনেট হাউজে সফলতার সাথে চারা উৎপাদন করা যায়। যার বাস্তবতা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে পাওয়া গেছে কৃষক নজরুলের পলিনেট হাউজে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষক নজরুল ইসলামকে একটি আধুনিক পলিনেট হাউজ দেওয়া হয়েছে। ফুলপুর পৌর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়িয়ে রোগবালাইমুক্ত এসব চারা উৎপাদন করছেন। হয়ে উঠেছেন সফল উদ্যোক্তা। নিজের জমিতে চাষের পাশাপাশি চারা বিক্রি করেও বেশ লাভবান হচ্ছেন এ উদ্যোক্তা। এ মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, ক্যাপসিকাম ও লাউয়ের চারা উৎপাদন করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আয় করেছেন নজরুল। এছাড়া বর্তমানে পলিনেট হাউজে ক্যাপসিকাম, জারবেরা ও গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ করছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু বলেন, পলিনেট হাউজে উচ্চমূল্যের ফসল চাষ করার পাশাপাশি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও চারা উৎপাদন করা যায়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কৃষি ডিপ্লোমা কোর্সের ইন্টার্নির শিক্ষার্থীদেরকে সরেজমিনে নিয়ে আধুনিক কৃষির সাথে পরিচয় করানো হলো।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফারুক আহাম্মেদ বলেন, পলিনেট হাউজে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় কোকো পিট টবে উৎপাদিত চারার গুণগত মান ভালো হয়। তাই ফলন বৃদ্ধিতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে এসব চারার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
বিডি প্রতিদিন/এএম