বগুড়া জেলাজুড়ে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। ভালো ফলন পেয়ে খুশি কৃষক। পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বগুড়া সদর, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, শিবগঞ্জ, শেরপুর ও ধুনট উপজেলার মাঠজুড়ে চোখে পড়ে আমন ধান। পাকা ধান কাটতে হাতে কাঁচি নিয়ে মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা। নতুন ধান বাড়িতে তোলার খুশিতে কৃষানিরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন আঙিনা। অনেকে কাটা ও মাড়াই শেষে ধান বাজারে বিক্রিও শুরু করছেন। বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ন্যায্যমূল্য না পেলে চাষাবাদে আগ্রহ হারাবেন তারা। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২০ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯০ হেক্টরে। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩১৬ মেট্রিক টন। জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা সহজেই ধান ঘরে তুলতে পারবেন। সদর উপজেলার দোবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আমিনুর প্রামাণিক জানান, অন্যের পাঁচ বিঘা জমি বছরভিত্তিক চুক্তি নিয়ে বিআর ৪৯ জাতের ধান আবাদ করে কাটা শুরু করেছেন। বিঘাপ্রতি ১৬-১৮ মণ ধান পেলেও দাম নিয়ে চিন্তা তার। ভালো দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই