যতই প্রতিবন্ধকতা থাকুন না কেন, ইচ্ছে থাকলেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন নিঝুম হাসান শ্রুতি। দৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা থাকলেও শ্রুতি হেরে যাননি। মনের জোর ও পরিবারের উৎসাহে পড়াশুনা করছেন স্নাতক শেষ বর্ষে। কাজ করেছেন অনলাইন নিউজ পোর্টালে। শুধু তাই নয়, সংবাদ পাঠিকা হয়ে কাজ করেও চমকে দিয়েছেন খুলনার এই তরুণী।
নিজের সফলতার গল্পে শ্রুতি বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নিজের ইচ্ছে শক্তিই বড়। আমার ইচ্ছেই আজ এ পর্যন্ত এসেছি। যার অনুপ্রেরণা ছিলেন বড় বোন হীরা।’
শুধু শ্রুতিই নয়, এমন সাফল্যের গল্প শোনালো শিশু মো. শোয়েব ও তাদের অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে বসুন্ধরা শুভসংঘ খুলনা জেলা শাখার মতবিনিময়ে তাদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। বিকেল ৫টার দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বানরগাতি আলামিন মহল্লায় সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিশু শোয়েব বলেন, ‘আজ খুব ভাল লাগছে। সকলে আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা সকলের ভালবাসা পেলে কাউকে কষ্ট দিতে চাইনা। সবার ভালবাসা চাই।’
সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইশরাত আরা হীরা নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়, সম্পদ। তাদেরকে সঠিকভাবে দেখভাল করা গেলে তারাও সমাজ পরিবর্তনে রাখতে পারে অগ্রণী ভূমিকা। তাদেরকেও সমাজের মূল ধারার সাথেই লেখাপড়া, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।'
অন্যান্য বক্তারা অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদেরও সমাজের আর দশটি শিশুর ন্যায় চলতে দিতে হবে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নৈতিক দায়িত্ব বোধের জাগরণ ঘটাতে হবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘের খুলনা জেলা সভাপতি বিপুল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময়কালে বক্তব্য দেন দৈনিক কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক কৌশিক দে, শুভসংঘের সহ-সভাপতি দয়াল কৃষ্ণ সানা, অনিমেষ মজুমদার ও রঞ্জন মন্ডল, নাগরিক নেতা সাবির খান, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পুতুল, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু শম্পা আক্তার।
বিডি প্রতিদিন/এমএস