রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দশম সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বের বিষয়টিকে অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় নিজ দফতরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি এ আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১৬ সালে এই সমাবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। রাবি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতিকে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার অনুরোধ জানালে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে সভাপতিত্ব করার বিষয়ে অনুশাসন প্রদান করেন। তাই এ সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতিত্ব করবেন। চ্যান্সেলরের অনুশাসনকে শ্রদ্ধাবোধের সঙ্গে গ্রহণ করা আমাদের সকলের জন্য বাঞ্ছনীয়। সে বিবেচনায় ১০ম সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব করার বিষয়টিকে অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি বেশকিছু সংবাদপত্রসহ অন্যান্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব করা প্রসঙ্গে যে সকল তথ্য, মন্তব্য ও বক্তব্য-বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে তা প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয়। এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে দূরভিসন্ধিমূলকভাবে সমাবর্তন তথা চ্যান্সেলরের অনুশাসনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে তা নিবন্ধিত স্নাতকদের ১০ম সমাবর্তন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতিকে আনতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার বিষয়ে অনুশাসন জারি করেছেন। এখন এই অনুশাসন পালনই আমাদের প্রধান দায়িত্ব।’
বিডি প্রতিদিন/০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম